Ajker Patrika

লাল কাপড়ে মোড়ানো খাঁচায় রংপুর উদ্যানে এল ‘রোমিও-জুলিয়েট’

রংপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১: ০৮
লাল কাপড়ে মোড়ানো খাঁচায় রংপুর উদ্যানে এল ‘রোমিও-জুলিয়েট’

গত বছর মাঘ মাসের শীতে রংপুর বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানার একমাত্র খাঁচাবন্দী বাঘিনী ‘শাওন’ মারা যায়। তখন থেকেই বাঘের খাঁচাটি শূন্য পড়ে ছিল। এদিকে দুই বছর আগে আজকের এই দিনে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জন্ম নেয় এক জোড়া বাঘ-বাঘিনী। তাদের নাম রাখা হয় রোমিও-জুলিয়েট। 

আজ মঙ্গলবার রংপুর চিড়িয়াখানায় কেক কেটে উদ্‌যাপন করা হয় তাদের জন্মদিন। কারণ রংপুরে স্থানান্তর করা হয়েছে রোমিও-জুলিয়েটকে। তাদের আগমনে প্রায় দেড় বছর পর পূর্ণ হলো এই উদ্যানের বাঘের খাঁচাটি। 

প্রায় দেড় বছর পর পূর্ণ হলো রংপুর বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানার বাঘের খাঁচা।সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা ৩টার দিকে লাল কাপড়ে মোড়ানো লোহার দুটি খাঁচা এসে পৌঁছায় রংপুর চিড়িয়াখানার ফটকে। পরে সেখান থেকে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বরণ করা হয় রোমিও-জুলিয়েটকে। সাড়ে ৩টার দিকে রংপুর চিড়িয়াখানায় রোমিও-জুলিয়েটের শুভাগমন ও জন্মদিন উপলক্ষে খাঁচার সামনে কেককাটা হয়। এরপরই বহুদিনের শূন্য খাঁচা পূর্ণ করে দুই বছর বয়সী এই টাইগার জুটি। 

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারি এই চিড়িয়াখানায় একটিমাত্র বাঘিনী ছিল। ২০০৩ সালের ৩০ জুন শাওন নামে ওই বাঘিনীর জন্ম হয়েছিল ঢাকার মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায়। সে হিসাবে মৃত্যুর আগে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ১৮ বছর ৭ মাস। ২০১০ সাল থেকে রংপুর চিড়িয়াখানায় তাকে সঙ্গীহীনভাবে খাঁচাবন্দী রাখা হলেও শেষ পর্যন্ত তাকে সুস্থ-সবলই দেখা গেছে। মৃত্যুর আগে কোনো রোগে আক্রান্ত ছিল না। বার্ধক্যের কারণে শাওনের মৃত্যু হয়েছিল। বাঘ সাধারণত ১৫ থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত বাঁচে। 

লাল পর্দায় মোড়ানো খাচায় আনা হয় রোমিও-জুলিয়েট নামের বাঘ-বাঘিনীকে।বাঘের খাদ্য সরবরাহকারী রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে খাঁচাটি শূন্য ছিল। আজ এক জোড়া বাঘ-বাঘিনীতে পূর্ণতা পেল। আমরা ভীষণ আনন্দিত। বাঘ দুটির জন্য মাংস সরবরাহসহ অন্য সবকিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের দিক থেকে বাঘের পরিচর্যায় কোনো ঘাটতি থাকবে না।’ 

চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর আম্বার আলী তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ১৬ দিন অভুক্ত থেকে মারা যায় চিড়িয়াখানার একমাত্র বাঘিনী ‘শাওন’। ফলে এত দিন বাঘশূন্য ছিল রংপুর চিড়িয়াখানা। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করছি এক জোড়া বাঘ আনার জন্য। অবশেষে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে বাঘ বহনকারী গাড়িটি এসে পৌঁছেছে। এখন দর্শনার্থী বাড়ছে, সঙ্গে বাঘের খাঁচার সামনে শিশু-কিশোররা বেশি ভিড় করছে।’ 

উল্লেখ্য, প্রায় ২২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই চিড়িয়াখানাটিতে ৩৩ প্রজাতির ২৬০টি প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে সিংহ, বাঘ, জলহস্তী, হরিণ, অজগর সাপ, ইমু পাখি, উটপাখি, বানর, কেশওয়ারি, গাধা, ঘোড়া, ভাল্লুক উল্লেখযোগ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত