গাইবান্ধা প্রতিনিধি
আসছে বসন্তবরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। দিবস দুটি উপলক্ষে প্রতিবারের মতো গাইবান্ধার ফুল ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন স্থান থেকে আমদানি করেছেন নানান জাতের ফুল। তবে এবার লোকসানের আশঙ্কায় জেলার ফুল ব্যবসায়ীরা।
আজ রোববার এ নিয়ে কথা হয় জেলার ফুল ব্যবসায়ী ও ফুলচাষিদের সঙ্গে। জেলার বাগানমালিকেরা বলছেন, এবার ফুল ভালো দামে বিক্রি না করতে পারলে আর্থিক ক্ষতিতে পড়বেন তাঁরা। ফুলের দোকানগুলো প্রতিটি টাকার লিংকন ও মেরিন্ডা গোলাপ ১৫-২০, থাই গোলাপ ১৫-২৫, রজনীগন্ধা ১৫-২০, গ্লাডিওলাস ১৫-২৫, চন্দ্রমল্লিকা ৫-১০, প্রতি এক শ গাঁদা ৬০-৭০, এক আঁটি জিপসি ফুল ৩০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গাইবান্ধা পৌর শহরের হাতে গোনা কয়েকটি দোকান স্থায়ী ফুলে দোকান রয়েছে। বিশেষ দিনগুলোতে বেশ কয়েকটি অস্থায়ীভাবে ফুল বিক্রির জন্য দোকান দেয়। ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উৎসব ঘিরে ফুল কেনার হিড়িক পড়ত দোকানগুলোতে। দুই বছর করোনাভাইরাস থাকার কারণে এসব উৎসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। বিধিনিষেধ আরোপ প্রত্যাহার হওয়ার পরও বিশেষ দিন ছাড়া এই দোকানগুলোতে তেমন একটা ক্রেতা পাওয়া যায় না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে পৌর শহরের বিভিন্ন ফুলের দোকান ঘুরে দেখা যায়, ভালোবাসা ও পয়লা ফাল্গুন উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের ফুল দিয়ে পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ভালোবাসা দিবস ও পয়লা ফাল্গুন উপলক্ষে স্থানীয় দোকানের পাশাপাশি অস্থায়ী বেশ কয়েকটি দোকান বসিয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তবে দোকানে দোকানে ফুলের পসরা থাকলেও আশানুরূপ ক্রেতা নেই এসব দোকানে। ফলে দোকানিরা লাখ লাখ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
গাইবান্ধা গোরস্থান রোডের ‘মা ফুল ঘরের’ মালিক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবসের দুই থেকে তিন দিন আগে ফুল ভালো বিক্রি হতো। সেই আশায় এবার জেলার স্থানীয় ফুলবাগান ও যশোরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নানান রকমের ফুল সংগ্রহ করেছি। বিশেষ দিন ঘিরে কয়েক দিন আগ থেকে বিক্রি বেশি হওয়ার কথা, কিন্তু তার তো কোনো নমুনা দেখছি না। কী যে হবে এবার বুঝতে পারছি না।’
‘কনা ফুল ঘরের’ ব্যবসায়ী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও পয়লা ফাল্গুন উপলক্ষে যশোরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে লাখ টাকার ফুল এনেছি। দোকানে তো কোনো ক্রেতা আসছে না। করোনার আগে অন্য অন্য বছরগুলোতে এই বিশেষ দিনগুলোর সপ্তাহখানেক আগে থেকে রমরমা বিক্রি হতো। এবার ক্রেতাই আসছে না। তবে সোম, মঙ্গলবার ফুল বিক্রি হতে পারে বলে আশা করছি।’
শহরের আসাদুজ্জামান মার্কেটের ফুল ব্যবসায়ী সুশান্ত কুমার শ্যামল বলেন, ‘আগে ভালোবাসা দিবস ও বসন্তবরণ উৎসবে ফুল বিক্রি বেশি হতো। তখন ভালোই লাভ হতো। তবে বেশ কয়েক বছর থেকে এ ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে।’
জেলার ধাপের হাটের টগনদী ফুলের বাগানের মালিক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে ফুলের চাষ করে আসছি। করোনার পর থেকেই আজ পর্যন্ত এ চাষে শুধু ক্ষতিই হচ্ছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে বাগানে বেশ ফুল ধরছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা ফুল না কিনলে এগুলো কই বিক্রি করব। যদি কয়েকজন ব্যবসায়ী নেয়, সেগুলো আবার বাকিতে। বিক্রি করার পর টাকা দেওয়ার কথা বলে। অনেক ব্যবসায়ী বলেন, ঘরে ফুল রেখে নষ্ট হয়ে গেছে। বাজারে সব জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও ফুলের দাম বাড়ে না।’
সাংস্কৃতিক কর্মী বিষ্ণু কুমার বলেন, ‘ফুল হচ্ছে মানুষের ভালোবাসার প্রতীক। তবে বিশেষ দিন ঘিরেই এর চাহিদা বেশি হয়। করোনার পর থেকেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। মানুষের কাছে টাকা না থাকলে আনন্দ তার হৃদয়ে নাড়া দেয় না। এ জন্যই হয়তো বা ফুলের দোকানগুলোতে মানুষজন যাচ্ছে না।’
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘জেলায় দিন দিন ফুলচাষির সংখ্যা বাড়ছে। যারা জেলার বাইরে বিক্রি করতে পারছে, তারা বেশ লাভবান হচ্ছে। ফুলচাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দিতে মাঠপর্যায়েও কৃষি বিভাগের লোকজন কাজ করছেন। তবে এবার আবহাওয়া ভালো হওয়ায় ফুলের বৃদ্ধি দ্বিগুণ হয়েছে।’
আসছে বসন্তবরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। দিবস দুটি উপলক্ষে প্রতিবারের মতো গাইবান্ধার ফুল ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন স্থান থেকে আমদানি করেছেন নানান জাতের ফুল। তবে এবার লোকসানের আশঙ্কায় জেলার ফুল ব্যবসায়ীরা।
আজ রোববার এ নিয়ে কথা হয় জেলার ফুল ব্যবসায়ী ও ফুলচাষিদের সঙ্গে। জেলার বাগানমালিকেরা বলছেন, এবার ফুল ভালো দামে বিক্রি না করতে পারলে আর্থিক ক্ষতিতে পড়বেন তাঁরা। ফুলের দোকানগুলো প্রতিটি টাকার লিংকন ও মেরিন্ডা গোলাপ ১৫-২০, থাই গোলাপ ১৫-২৫, রজনীগন্ধা ১৫-২০, গ্লাডিওলাস ১৫-২৫, চন্দ্রমল্লিকা ৫-১০, প্রতি এক শ গাঁদা ৬০-৭০, এক আঁটি জিপসি ফুল ৩০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গাইবান্ধা পৌর শহরের হাতে গোনা কয়েকটি দোকান স্থায়ী ফুলে দোকান রয়েছে। বিশেষ দিনগুলোতে বেশ কয়েকটি অস্থায়ীভাবে ফুল বিক্রির জন্য দোকান দেয়। ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উৎসব ঘিরে ফুল কেনার হিড়িক পড়ত দোকানগুলোতে। দুই বছর করোনাভাইরাস থাকার কারণে এসব উৎসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। বিধিনিষেধ আরোপ প্রত্যাহার হওয়ার পরও বিশেষ দিন ছাড়া এই দোকানগুলোতে তেমন একটা ক্রেতা পাওয়া যায় না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে পৌর শহরের বিভিন্ন ফুলের দোকান ঘুরে দেখা যায়, ভালোবাসা ও পয়লা ফাল্গুন উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের ফুল দিয়ে পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ভালোবাসা দিবস ও পয়লা ফাল্গুন উপলক্ষে স্থানীয় দোকানের পাশাপাশি অস্থায়ী বেশ কয়েকটি দোকান বসিয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তবে দোকানে দোকানে ফুলের পসরা থাকলেও আশানুরূপ ক্রেতা নেই এসব দোকানে। ফলে দোকানিরা লাখ লাখ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
গাইবান্ধা গোরস্থান রোডের ‘মা ফুল ঘরের’ মালিক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবসের দুই থেকে তিন দিন আগে ফুল ভালো বিক্রি হতো। সেই আশায় এবার জেলার স্থানীয় ফুলবাগান ও যশোরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নানান রকমের ফুল সংগ্রহ করেছি। বিশেষ দিন ঘিরে কয়েক দিন আগ থেকে বিক্রি বেশি হওয়ার কথা, কিন্তু তার তো কোনো নমুনা দেখছি না। কী যে হবে এবার বুঝতে পারছি না।’
‘কনা ফুল ঘরের’ ব্যবসায়ী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও পয়লা ফাল্গুন উপলক্ষে যশোরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে লাখ টাকার ফুল এনেছি। দোকানে তো কোনো ক্রেতা আসছে না। করোনার আগে অন্য অন্য বছরগুলোতে এই বিশেষ দিনগুলোর সপ্তাহখানেক আগে থেকে রমরমা বিক্রি হতো। এবার ক্রেতাই আসছে না। তবে সোম, মঙ্গলবার ফুল বিক্রি হতে পারে বলে আশা করছি।’
শহরের আসাদুজ্জামান মার্কেটের ফুল ব্যবসায়ী সুশান্ত কুমার শ্যামল বলেন, ‘আগে ভালোবাসা দিবস ও বসন্তবরণ উৎসবে ফুল বিক্রি বেশি হতো। তখন ভালোই লাভ হতো। তবে বেশ কয়েক বছর থেকে এ ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে।’
জেলার ধাপের হাটের টগনদী ফুলের বাগানের মালিক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি ২০ বছর ধরে ফুলের চাষ করে আসছি। করোনার পর থেকেই আজ পর্যন্ত এ চাষে শুধু ক্ষতিই হচ্ছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে বাগানে বেশ ফুল ধরছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা ফুল না কিনলে এগুলো কই বিক্রি করব। যদি কয়েকজন ব্যবসায়ী নেয়, সেগুলো আবার বাকিতে। বিক্রি করার পর টাকা দেওয়ার কথা বলে। অনেক ব্যবসায়ী বলেন, ঘরে ফুল রেখে নষ্ট হয়ে গেছে। বাজারে সব জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও ফুলের দাম বাড়ে না।’
সাংস্কৃতিক কর্মী বিষ্ণু কুমার বলেন, ‘ফুল হচ্ছে মানুষের ভালোবাসার প্রতীক। তবে বিশেষ দিন ঘিরেই এর চাহিদা বেশি হয়। করোনার পর থেকেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। মানুষের কাছে টাকা না থাকলে আনন্দ তার হৃদয়ে নাড়া দেয় না। এ জন্যই হয়তো বা ফুলের দোকানগুলোতে মানুষজন যাচ্ছে না।’
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘জেলায় দিন দিন ফুলচাষির সংখ্যা বাড়ছে। যারা জেলার বাইরে বিক্রি করতে পারছে, তারা বেশ লাভবান হচ্ছে। ফুলচাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দিতে মাঠপর্যায়েও কৃষি বিভাগের লোকজন কাজ করছেন। তবে এবার আবহাওয়া ভালো হওয়ায় ফুলের বৃদ্ধি দ্বিগুণ হয়েছে।’
চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে ঢাকাগামী একটি ট্রেনের সঙ্গে সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁর নাম তুষার, তিনি দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশার চালক।
১ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগামীকাল শুক্রবার দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার শতাধিক গ্রামে ঈদুল আজহা উদ্যাপন করা হবে। জেলার সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা হানাফি মাজহাবের অনুসরণ করে হজের পরের দিন ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন।
৫ ঘণ্টা আগেসভায় যোগ দিতে সরকারি গাড়িতেই রাজশাহী এসেছিলেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা। সভা শেষ করে সোজা হাটে গিয়ে তিনি কোরবানির গরু কিনেছেন। তারপর সেই সরকারি গাড়িতেই তুলে নিয়ে গেছেন গরু। আজ বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেখা দিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পশুর হাট বসেছে। রাজধানীর ২১টি স্থানে ছড়িয়ে থাকা এসব পশুর হাটে আজ ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে জমে উঠেছে বেচাকেনা। আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকে হাটগুলোতে প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ করা গেছে। অফিস-আদালতের ছুটি শুরু হওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের পশুর
৫ ঘণ্টা আগে