গাইবান্ধা প্রতিনিধি
তীব্র রোদ আর প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। দেশের উত্তরের জেলা গাইবান্ধায় ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণীকুল। আজ সোমবার তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরমে শহরে মানুষের আনাগোনা কমে গেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ।
এদিকে তীব্র গরমে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। রাস্তায় রিকশা-ইজিবাইক, ঠেলাগাড়ি, ভ্যান রিকশা নিয়ে যারা বের হয়েছেন, তারা ঘেমে একাকার হয়ে উঠেছেন। রাস্তার তাপে যেন পুড়ে যাচ্ছেন ফুটপাথের ব্যবসায়ীরা। একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছেন।
রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধায় গত কয়েক দিনে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ থেকে ৩৮ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
সরেজমিনে, অতিরিক্ত গরমের কারণে জনশূন্য হয়ে পড়েছে রাস্তাঘাট। মানুষের উপস্থিতি যেমন কম, তেমনি যানবাহনের উপস্থিতিও নগণ্য। সড়কে নেই যানবাহনের উপস্থিতি। দু-একটা ইজিবাইক দেখা গেলেও যাত্রীর অপেক্ষায় মোড়ে মোড়ে বসে থাকতে দেখা গেছে চালকদের। গরম থেকে একটু স্বস্তির আশায় স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ও গাছের নিচে অনেকেই অবস্থান করছেন। প্রচণ্ড গরমে যাতে করে টায়ার ফেটে না যায়, সে জন্য অনেক রিকশা চালককে টায়ারে পানি দিয়ে ভেজাতে দেখা গেছে।
শহরের ধানগড়ার রিকশাচালক মাহবুব মিয়া বলেন, তীব্র রোদ আর প্রচণ্ড গরমে রাস্তায় রিকশা চালানো যাচ্ছে না। গরমে মাথা পুড়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড রোদের দাপটে লোকজন বাইরে কম বের হচ্ছে। এতে করে আয় রোজগার কমেছে।
আরেক অটোচালক রফিক বলেন, মালিকের অটো ভাড়া ২০০ টাকা, নিজের দুপুরের খাবার, চা-নাশতার খরচ মিলিয়ে আগে ৪০০ টাকা আয় করতে হবে। এরপর সংসার খরচের হিসাব করতে হয়। শহরের লোকজন কম থাকায় কামাই না বললেই চলে।
ইজিবাইক চালক ইসিয়াক আলী বলেন, গরমে জামা কাপড় সব ভিজে যাচ্ছে। সকালে গরম একটু কম থাকলেও দুপুরের পর অসহ্য গরম লাগে। বাইরে বের হওয়া যায় না। যাত্রীও পাওয়া যাচ্ছে কম। কিছু কিছু জায়গায় রাস্তার পিচ গলে গাড়ির টায়ারের সঙ্গে উঠে আসছে।
পথচারী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বাসায় অসুস্থ রোগী তাই বাড়ি থেকে ওষুধ কিনতে বের হয়েছি। রাস্তায় মোটরসাইকেল রেখে দুই মিনিটের জন্য ফার্মেসিতে এসেছি। এখন মোটরসাইকেলের ওপর বসা যাচ্ছে না। রোদে পুড়ে যাচ্ছি।’
রংপুর আবহাওয়া কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আরও বেশ কয়েক দিন গরম থাকতে পারে। তীব্র গরমে হাত থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে সচেতনভাবে ঘরের বাইরে চলাচলের পরামর্শ দেন তিনি।
গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা. কানিজ সাবিহা বলেন, তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক এড়াতে সবাইকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ সময়ে ডায়রিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, সর্দি-কাশি, পক্স, হিট স্ট্রোক, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ইত্যাদি হতে পারে।
এই গরমে ফ্রিজের পানি পান করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, প্রচুর পরিমাণে পানি, ডাবের পানি, দেশি ফল খেতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়াই ভালো।
তীব্র রোদ আর প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। দেশের উত্তরের জেলা গাইবান্ধায় ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণীকুল। আজ সোমবার তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরমে শহরে মানুষের আনাগোনা কমে গেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ।
এদিকে তীব্র গরমে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। রাস্তায় রিকশা-ইজিবাইক, ঠেলাগাড়ি, ভ্যান রিকশা নিয়ে যারা বের হয়েছেন, তারা ঘেমে একাকার হয়ে উঠেছেন। রাস্তার তাপে যেন পুড়ে যাচ্ছেন ফুটপাথের ব্যবসায়ীরা। একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছেন।
রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধায় গত কয়েক দিনে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ থেকে ৩৮ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
সরেজমিনে, অতিরিক্ত গরমের কারণে জনশূন্য হয়ে পড়েছে রাস্তাঘাট। মানুষের উপস্থিতি যেমন কম, তেমনি যানবাহনের উপস্থিতিও নগণ্য। সড়কে নেই যানবাহনের উপস্থিতি। দু-একটা ইজিবাইক দেখা গেলেও যাত্রীর অপেক্ষায় মোড়ে মোড়ে বসে থাকতে দেখা গেছে চালকদের। গরম থেকে একটু স্বস্তির আশায় স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ও গাছের নিচে অনেকেই অবস্থান করছেন। প্রচণ্ড গরমে যাতে করে টায়ার ফেটে না যায়, সে জন্য অনেক রিকশা চালককে টায়ারে পানি দিয়ে ভেজাতে দেখা গেছে।
শহরের ধানগড়ার রিকশাচালক মাহবুব মিয়া বলেন, তীব্র রোদ আর প্রচণ্ড গরমে রাস্তায় রিকশা চালানো যাচ্ছে না। গরমে মাথা পুড়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড রোদের দাপটে লোকজন বাইরে কম বের হচ্ছে। এতে করে আয় রোজগার কমেছে।
আরেক অটোচালক রফিক বলেন, মালিকের অটো ভাড়া ২০০ টাকা, নিজের দুপুরের খাবার, চা-নাশতার খরচ মিলিয়ে আগে ৪০০ টাকা আয় করতে হবে। এরপর সংসার খরচের হিসাব করতে হয়। শহরের লোকজন কম থাকায় কামাই না বললেই চলে।
ইজিবাইক চালক ইসিয়াক আলী বলেন, গরমে জামা কাপড় সব ভিজে যাচ্ছে। সকালে গরম একটু কম থাকলেও দুপুরের পর অসহ্য গরম লাগে। বাইরে বের হওয়া যায় না। যাত্রীও পাওয়া যাচ্ছে কম। কিছু কিছু জায়গায় রাস্তার পিচ গলে গাড়ির টায়ারের সঙ্গে উঠে আসছে।
পথচারী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বাসায় অসুস্থ রোগী তাই বাড়ি থেকে ওষুধ কিনতে বের হয়েছি। রাস্তায় মোটরসাইকেল রেখে দুই মিনিটের জন্য ফার্মেসিতে এসেছি। এখন মোটরসাইকেলের ওপর বসা যাচ্ছে না। রোদে পুড়ে যাচ্ছি।’
রংপুর আবহাওয়া কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আরও বেশ কয়েক দিন গরম থাকতে পারে। তীব্র গরমে হাত থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে সচেতনভাবে ঘরের বাইরে চলাচলের পরামর্শ দেন তিনি।
গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা. কানিজ সাবিহা বলেন, তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক এড়াতে সবাইকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ সময়ে ডায়রিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, সর্দি-কাশি, পক্স, হিট স্ট্রোক, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ইত্যাদি হতে পারে।
এই গরমে ফ্রিজের পানি পান করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, প্রচুর পরিমাণে পানি, ডাবের পানি, দেশি ফল খেতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়াই ভালো।
সড়কের বিভিন্ন অংশে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বেরিয়ে পড়েছে ইট–খোয়া। খানাখন্দে প্রতিনিয়ত নসিমন, ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহন উল্টে যাচ্ছে। অনেক সময় যাত্রী আহত হচ্ছেন, যানবাহনের যন্ত্রাংশও বিকল হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে বড় ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে।
৪ মিনিট আগেঅভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জুন অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা দিতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে জাটিয়া ইউনিয়নের কুমারুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে যেতেই ওই ছাত্রীকে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকে তুলে নিয়ে যায় কাউসার মিয়া। ইজিবাইকটি মাইজবাগ ইউনিয়নের লক্ষীগঞ্জ বাজারে পৌঁছলে হুমায়ূন ইজিবাইকে ওঠে।
২৯ মিনিট আগেধর্ষণের পর ওই নারী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। কিন্তু তারা প্রকৃত ঘটনা না জেনে উল্টো নারীকেই দোষারোপ করে মারধর শুরু করে এবং সেই অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে। পরে তারা বুঝতে পারে, ওই নারী আসলে ধর্ষণের শিকার।
৪১ মিনিট আগেচৌমুহনী দক্ষিণ বাজারের বাসিন্দা মামুনুর রশিদ বলেন, “বাজারের ভেতরে খালের অস্তিত্বই নেই। আবর্জনা ফেলে দখল করে স্থাপনা গড়া হয়েছে। ক্ষমতার পালাবদল হলেও কাউকে উচ্ছেদ করা হয়নি।”
১ ঘণ্টা আগে