রংপুর প্রতিনিধি
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন কল্পনাও করা যায় না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কতগুলো মৌলিক সংস্কার অবশ্যই করতে হবে। আমরা সেই সংস্কারগুলোর কথা বলেছি। আমরা সংস্কারগুলো আদায় করে ছাড়ব। সুষ্ঠু নির্বাচনও ইনশা আল্লাহ আদায় করে ছাড়ব।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের আমির এসব কথা বলেন। মহানগরী ও জেলা জামায়াত এ জনসভার আয়োজন করে।
জনসভায় রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে দলের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন জামায়াতের আমির। ১৭ বছর পর রংপুরে বড় পরিসরে জামায়াত এই সমাবেশ করে।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘কেউ যদি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আমলের নির্বাচনের স্বপ্ন দেখে থাকেন, আমরা মহান আল্লাহর সাহায্যে সেই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করব। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। কোনো প্রশাসনিক ক্যু করতে দেওয়া হবে না। ভোটকেন্দ্রে কোনো মাস্তানতন্ত্র চলতে দেওয়া হবে না। কালোটাকার কোনো খেলা সহ্য করা হবে না।’
জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা বহু ধরনের ষড়যন্ত্রের কথা শুনতে পাচ্ছি। বহু ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আলামত বুঝতে পারছি। আমরা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি—এই শেখ হাসিনা, তাঁর হাতে সব বাহিনী ছিল। দোর্দণ্ড প্রতাপ ছিল, জায়গায় জায়গায় নিজের লোক বসিয়েছিলেন। মাস্তানদের দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু যখন জনগণের জাগরণ, জনগণের বিস্ফোরণ হয়েছে, তখন কি তাঁকে আর কেউ রক্ষা করতে পেরেছেন? তাহলে যেই জনগণ এত মূল্য দিয়ে একটা পরিবর্তন এনেছে, সেই জনগণ আরেকটা ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে দেবে না ইনশা আল্লাহ।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা কথা দিচ্ছি, ফ্যাসিবাদবিরোধী এই লড়াই তত দিন চলবে, যত দিন দেশে ফ্যাসিবাদের সামান্য চিহ্নও থাকবে। ফ্যাসিবাদকে নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত আমাদের লড়াই কেউ থামাতে পারবে না।’
জনসভায় সদ্য কারামুক্ত জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মুক্তির প্রথম সোপান হচ্ছেন আবু সাঈদ। যাঁর বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেওয়ার মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল, যার পরিসমাপ্তি হয়েছিল ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট। ৫ আগস্ট না হলে আপনারা আমার জানাজা পড়তেন। আমার মুক্তির জন্য আবু সাঈদ আমার পক্ষে কাজ করেছেন। তাঁর মৃত্যুই আমাকে মুক্তির পথ দেখিয়ে দিয়েছে। আমি তাঁর হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করছি।’
কারও প্রতি কোনো ক্ষোভ নেই, দুঃখ নেই জানিয়ে আজহারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘রংপুরের জনগণ কেউ বলতে পারবে না, আমি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। কিন্তু আমাকে অপরাধী বানানো হলো। রংপুরের জনগণ সাক্ষী, যারা সাক্ষ্য দিয়েছে তারাও কিন্তু পরবর্তীতে বলেছেন, আমাদের জোর-জুলুম করে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা হয়েছে।’
আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আপনাদের সঙ্গে মিলিত হতে পারব, এটা কোনো সময় চিন্তায় আসেনি। আমি কারাগারে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আল্লাহ যে আমাকে ফাঁসির মঞ্চ থেকে জনতার মঞ্চে নিয়ে আসবেন, এটা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানতেন না। আজ আমি ফাঁসির মঞ্চ থেকে লক্ষ জনতার মঞ্চে হাজির হয়েছি। সবই আল্লাহর মেহেরবানি, রহমত। যে গলায় আমার রশি পরানোর কথা ছিল, সেই গলায় ফুলের মালা পরানো হলো। আমার ফাঁসি দেওয়ার জন্য যে সমস্ত সাক্ষী জোগাড় করা হয়েছিল, তাদের মাধ্যমেই তো সাক্ষী দিয়ে আমাকে ফাঁসি দেওয়ার চেষ্টা করা হলো। আল্লাহ আমাকে মুক্ত করেছেন।’
জনসভায় অন্তর্বর্তী সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ না হলেও তারা জুলাই অভ্যুত্থানকে ধারণ করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সরকারের উদাসীনতা, অযোগ্যতা ও দুর্বলতার কারণে তারা এ বিপ্লবের গুরুত্ব অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা কোনো স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হননি। শত শত ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আপনারা আজকের অবস্থানে। সেই কারণে আপনাদের উচিত হবে, বিপ্লবী চেতনা ধারণ করে শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধদের হত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন করা। এক বছর পার হয়ে গেছে, এখনো জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি দিয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়নি। আমরা এর দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।’
জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘রংপুর সাহসিকতার এক প্রতীক অঞ্চল। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আবু সাঈদ, তাহিরসহ ২২ জন জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাই রংপুরকে অবহেলা না করে সুষম উন্নয়নের মাধ্যমে এই অঞ্চলের অগ্রগতিকে নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করি, রংপুরের দীর্ঘদিনের দাবি—তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে এ অঞ্চলের উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।’
ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে কেউ কেউ নিজেদের ক্ষমতাসীন বা প্রধান দলের পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমি তাঁদের বলতে চাই, আগামী দিনে দেশের মানুষ ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ করবে কারা ক্ষমতাসীন দল হবে, কারা হবে প্রধান রাজনৈতিক শক্তি। তাই এই ধরনের পরিচয় দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।’
চার দফা দাবি সামনে রেখে আয়োজিত এই বিভাগীয় জনসভাকে কেন্দ্র করে রংপুর নগরীসহ আশপাশের জেলায় সৃষ্টি হয়েছে নতুন রাজনৈতিক উত্তাপ ও আলোচনা। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদসহ নিহত ব্যক্তিদের হত্যার বিচার, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ ও রাজনৈতিক সংস্কার, উত্তরাঞ্চলের বহু দিনের দাবি ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা’ দ্রুত বাস্তবায়ন এবং বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকার।
জনসভা ঘিরে সকাল থেকেই রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জড়ো হতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে মিনিবাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, রিকশা, অটোরিকশা, কাভার্ড ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে দূরদূরান্ত থেকে আসেন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বাস, ট্রাকগুলো রংপুর মেডিকেল মাঠ, সিও বাজার, মডার্ন মোড়, মাহিগঞ্জ, কামাল কাছনায় রেখে হেঁটে জিলা স্কুল মাঠে যান।
দুপুর থেকে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে ঢল নামে হাজারো মানুষের। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে পুরো মাঠ। আশপাশের দুই কিলোমিটার সড়কজুড়ে মানুষের অবস্থান নেন। নানা বয়সী নারী-পুরুষ, ছাত্র, শ্রমজীবী, পেশাজীবী মানুষের পদচারণে জমে ওঠে জনসমাবেশ।
বেলা ৩টায় স্থানীয় নেতাদের বক্তব্যের মাধ্যমে জনসভার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রধান অতিথি জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের বক্তব্যের মাধ্যমে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জনসভা শেষ হয়। সভায় আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রমুখ। জনসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নেতাদের উপস্থিতি দেখা যায়।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন কল্পনাও করা যায় না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কতগুলো মৌলিক সংস্কার অবশ্যই করতে হবে। আমরা সেই সংস্কারগুলোর কথা বলেছি। আমরা সংস্কারগুলো আদায় করে ছাড়ব। সুষ্ঠু নির্বাচনও ইনশা আল্লাহ আদায় করে ছাড়ব।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের আমির এসব কথা বলেন। মহানগরী ও জেলা জামায়াত এ জনসভার আয়োজন করে।
জনসভায় রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে দলের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন জামায়াতের আমির। ১৭ বছর পর রংপুরে বড় পরিসরে জামায়াত এই সমাবেশ করে।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘কেউ যদি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আমলের নির্বাচনের স্বপ্ন দেখে থাকেন, আমরা মহান আল্লাহর সাহায্যে সেই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করব। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। কোনো প্রশাসনিক ক্যু করতে দেওয়া হবে না। ভোটকেন্দ্রে কোনো মাস্তানতন্ত্র চলতে দেওয়া হবে না। কালোটাকার কোনো খেলা সহ্য করা হবে না।’
জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা বহু ধরনের ষড়যন্ত্রের কথা শুনতে পাচ্ছি। বহু ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আলামত বুঝতে পারছি। আমরা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি—এই শেখ হাসিনা, তাঁর হাতে সব বাহিনী ছিল। দোর্দণ্ড প্রতাপ ছিল, জায়গায় জায়গায় নিজের লোক বসিয়েছিলেন। মাস্তানদের দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু যখন জনগণের জাগরণ, জনগণের বিস্ফোরণ হয়েছে, তখন কি তাঁকে আর কেউ রক্ষা করতে পেরেছেন? তাহলে যেই জনগণ এত মূল্য দিয়ে একটা পরিবর্তন এনেছে, সেই জনগণ আরেকটা ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে দেবে না ইনশা আল্লাহ।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা কথা দিচ্ছি, ফ্যাসিবাদবিরোধী এই লড়াই তত দিন চলবে, যত দিন দেশে ফ্যাসিবাদের সামান্য চিহ্নও থাকবে। ফ্যাসিবাদকে নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত আমাদের লড়াই কেউ থামাতে পারবে না।’
জনসভায় সদ্য কারামুক্ত জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মুক্তির প্রথম সোপান হচ্ছেন আবু সাঈদ। যাঁর বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেওয়ার মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল, যার পরিসমাপ্তি হয়েছিল ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট। ৫ আগস্ট না হলে আপনারা আমার জানাজা পড়তেন। আমার মুক্তির জন্য আবু সাঈদ আমার পক্ষে কাজ করেছেন। তাঁর মৃত্যুই আমাকে মুক্তির পথ দেখিয়ে দিয়েছে। আমি তাঁর হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করছি।’
কারও প্রতি কোনো ক্ষোভ নেই, দুঃখ নেই জানিয়ে আজহারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘রংপুরের জনগণ কেউ বলতে পারবে না, আমি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। কিন্তু আমাকে অপরাধী বানানো হলো। রংপুরের জনগণ সাক্ষী, যারা সাক্ষ্য দিয়েছে তারাও কিন্তু পরবর্তীতে বলেছেন, আমাদের জোর-জুলুম করে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা হয়েছে।’
আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আপনাদের সঙ্গে মিলিত হতে পারব, এটা কোনো সময় চিন্তায় আসেনি। আমি কারাগারে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আল্লাহ যে আমাকে ফাঁসির মঞ্চ থেকে জনতার মঞ্চে নিয়ে আসবেন, এটা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানতেন না। আজ আমি ফাঁসির মঞ্চ থেকে লক্ষ জনতার মঞ্চে হাজির হয়েছি। সবই আল্লাহর মেহেরবানি, রহমত। যে গলায় আমার রশি পরানোর কথা ছিল, সেই গলায় ফুলের মালা পরানো হলো। আমার ফাঁসি দেওয়ার জন্য যে সমস্ত সাক্ষী জোগাড় করা হয়েছিল, তাদের মাধ্যমেই তো সাক্ষী দিয়ে আমাকে ফাঁসি দেওয়ার চেষ্টা করা হলো। আল্লাহ আমাকে মুক্ত করেছেন।’
জনসভায় অন্তর্বর্তী সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ না হলেও তারা জুলাই অভ্যুত্থানকে ধারণ করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সরকারের উদাসীনতা, অযোগ্যতা ও দুর্বলতার কারণে তারা এ বিপ্লবের গুরুত্ব অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা কোনো স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হননি। শত শত ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আপনারা আজকের অবস্থানে। সেই কারণে আপনাদের উচিত হবে, বিপ্লবী চেতনা ধারণ করে শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধদের হত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন করা। এক বছর পার হয়ে গেছে, এখনো জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি দিয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়নি। আমরা এর দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।’
জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘রংপুর সাহসিকতার এক প্রতীক অঞ্চল। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আবু সাঈদ, তাহিরসহ ২২ জন জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাই রংপুরকে অবহেলা না করে সুষম উন্নয়নের মাধ্যমে এই অঞ্চলের অগ্রগতিকে নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করি, রংপুরের দীর্ঘদিনের দাবি—তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে এ অঞ্চলের উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।’
ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে কেউ কেউ নিজেদের ক্ষমতাসীন বা প্রধান দলের পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমি তাঁদের বলতে চাই, আগামী দিনে দেশের মানুষ ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ করবে কারা ক্ষমতাসীন দল হবে, কারা হবে প্রধান রাজনৈতিক শক্তি। তাই এই ধরনের পরিচয় দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।’
চার দফা দাবি সামনে রেখে আয়োজিত এই বিভাগীয় জনসভাকে কেন্দ্র করে রংপুর নগরীসহ আশপাশের জেলায় সৃষ্টি হয়েছে নতুন রাজনৈতিক উত্তাপ ও আলোচনা। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদসহ নিহত ব্যক্তিদের হত্যার বিচার, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ ও রাজনৈতিক সংস্কার, উত্তরাঞ্চলের বহু দিনের দাবি ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা’ দ্রুত বাস্তবায়ন এবং বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকার।
জনসভা ঘিরে সকাল থেকেই রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জড়ো হতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে মিনিবাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, রিকশা, অটোরিকশা, কাভার্ড ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে দূরদূরান্ত থেকে আসেন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বাস, ট্রাকগুলো রংপুর মেডিকেল মাঠ, সিও বাজার, মডার্ন মোড়, মাহিগঞ্জ, কামাল কাছনায় রেখে হেঁটে জিলা স্কুল মাঠে যান।
দুপুর থেকে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে ঢল নামে হাজারো মানুষের। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে পুরো মাঠ। আশপাশের দুই কিলোমিটার সড়কজুড়ে মানুষের অবস্থান নেন। নানা বয়সী নারী-পুরুষ, ছাত্র, শ্রমজীবী, পেশাজীবী মানুষের পদচারণে জমে ওঠে জনসমাবেশ।
বেলা ৩টায় স্থানীয় নেতাদের বক্তব্যের মাধ্যমে জনসভার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রধান অতিথি জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের বক্তব্যের মাধ্যমে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জনসভা শেষ হয়। সভায় আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রমুখ। জনসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নেতাদের উপস্থিতি দেখা যায়।
রাজশাহীর নওহাটা পৌরসভায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারকাজের মেয়াদ তিন দফায় বাড়ানো হয়েছে। তবে কাজ এখনো শেষ হয়নি। উল্টো নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
১০ মিনিট আগেছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ধরতে ক্লাবের বাইরে বিক্ষোভ করছে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা। চট্টগ্রাম বোয়ালখালী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাহেদুল হককে আটক করতে চিটাগাং ক্লাবের সামনে এই বিক্ষোভ চলছে।
২ ঘণ্টা আগেবরিশালের বাবুগঞ্জে মাদক কারবারিদের হামলায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অভিযানকারী দলের কনস্টেবলসহ তিনজন জখমের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ডিবি পুলিশের এস আই মোহাম্মদ গোলাম আজাদ বাদী হয়ে আজ শুক্রবার বাবুগঞ্জ থানায় মামলাটি করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ধলেশ্বরী নদী থেকে অজ্ঞাতনামা এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসকান্দি গ্রামসংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীতে লাশটি ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। পরে নারায়ণগঞ্জ জেলার বক্তাবলী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল গিয়ে লাশটি উদ্ধ
৩ ঘণ্টা আগে