Ajker Patrika

রাজশাহীর নওহাটা পৌরসভা

কাজে লবডঙ্কা, বিল ৮০% ঠিকাদারের পকেটে

  • পৌরসভার ২০ কোটি টাকার কাজে অচলাবস্থা
  • তিন দফা সময় বাড়িয়েও কাজ শেষ হয়নি
  • ইতিমধ্যে তুলে নেওয়া হয়েছে ১৪ কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর পবার দুয়ারি থেকে পাকুড়িয়া স্কুল পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার রাস্তার সংস্কারে বরাদ্দ রয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সংস্কারে বিলম্বের কারণে সম্প্রতি রাস্তাটির একাংশে সুরক্ষা দেয়ালের প্রায় ৩০ মিটার ধসে পড়ে পুকুরে। পরে বালু ও মাটি ফেলে রাস্তাটি সাময়িকভাবে চলাচলের উপযোগী করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীর পবার দুয়ারি থেকে পাকুড়িয়া স্কুল পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার রাস্তার সংস্কারে বরাদ্দ রয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সংস্কারে বিলম্বের কারণে সম্প্রতি রাস্তাটির একাংশে সুরক্ষা দেয়ালের প্রায় ৩০ মিটার ধসে পড়ে পুকুরে। পরে বালু ও মাটি ফেলে রাস্তাটি সাময়িকভাবে চলাচলের উপযোগী করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর নওহাটা পৌরসভায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারকাজের মেয়াদ তিন দফায় বাড়ানো হয়েছে। তবে কাজ এখনো শেষ হয়নি। উল্টো নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এতে কাজ শেষ হওয়ার আগেই ধসে গেছে সড়ক, বেড়েছে দুর্ভোগ। যদিও পৌর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই সাড়ে ১৪ কোটি টাকার বেশি বিল পরিশোধ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।

পৌরসভা সূত্র জানায়, নওহাটার রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারের দায়িত্ব পায় জুয়েল ইলেকট্রনিকস নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর স্বত্বাধিকারী রাজশাহীর ভুগরইল এলাকার বাসিন্দা ওয়াসিমুল হক। ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। মেয়াদ ছিল এক বছর। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে সবশেষ গত ২৭ মে এক মাস সময় দেওয়া হয়। তবে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। অথচ তিন দফায় ১৪ কোটি ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৭ টাকা বিল পরিশোধ করেছে পৌরসভা।

পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সবশেষ গত মে মাসে এক মাসের সময়সীমা দেওয়া হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও নানা অজুহাতে কাজগুলো শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কার্যসম্পাদন জামানত বাজেয়াপ্তসহ নতুন ঠিকাদার নিয়োগের চিন্তা করছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ইতিমধ্যে পৌর এলাকার দুয়ারি থেকে পাকুড়িয়া স্কুল পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার রাস্তার একাংশে সুরক্ষা দেয়ালের প্রায় ৩০ মিটার ধসে পড়েছে। দেয়ালটির অর্ধেকের বেশি অংশ পুকুরে নেমে যাওয়ায় ওই পথ দিয়ে চলাচলকারী কয়েক হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। পরে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বালু ও মাটি ফেলে রাস্তাটি সাময়িকভাবে চলাচলের উপযোগী করা হয়। অথচ ওই প্রকল্পে বরাদ্দ রয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ৮ হাজার ৯১৭ টাকা।

স্থানীয় পাকুড়িয়া দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শুরু থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হয়েছে। প্রতিবাদ করায় গ্রামবাসীকে চাঁদাবাজির মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয়। এরপর কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাগধানি এলাকায় ৫০০ মিটার রাস্তার সংস্কারকাজ এক বছর আগে শুরু হলেও অর্ধেকের বেশি এখনো শেষ হয়নি। পুরোনো রাস্তার ওপরের অংশ তুলে ফেলায় বৃষ্টিতে পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘দেড় মাস ধরে হালকা বৃষ্টিতেই রাস্তাটি ডুবে যাচ্ছে। মানুষজন হাঁটতেও পারছে না। হালকা যানবাহনও চলাচল করতে চায় না।’

পৌরসভার আলাই বিদিরপুর থেকে নদীর বাঁধ পর্যন্ত সাড়ে ৭০০ মিটার রাস্তার কাজেও রয়েছে বিশৃঙ্খলা। প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে কেবল খোয়া ফেলে রোলিং করা হলেও ভারী বৃষ্টিতে খোয়া উঠে গেছে। পিল্লাপাড়া, পুঠিয়াপাড়া, বসন্তপুর, চৌবাড়িয়া, বায়াহাট, বারুইপাড়া–এমন একাধিক এলাকার রাস্তাতেও কাজের অগ্রগতি নেই। এসব রাস্তায় বরাদ্দ থাকলেও কোথাও সড়কবাতির পোল স্থাপন করা হয়নি।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি বাবু লাল বলেন, ‘কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে সময়মতো কাজ করতে পারছি না। সময় বাড়ানোর আবেদন জানাব।’

পৌরসভার প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী শিব্বির আহমেদ আজমি বলেন, ‘আমি সদ্য দায়িত্ব নিয়েছি। বিল পরিশোধের বিষয়টি পুরোপুরি জানি না। তবে অতিরিক্ত বিল দেওয়া হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঠিকাদারকে তিন দফা সময় দিয়েও কাজ শেষ না করায় পৌরবাসীর মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। প্রয়োজনে জামানত বাজেয়াপ্ত করে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জুয়েল ইলেকট্রনিকসের স্বত্বাধিকারী ওয়াসিমুল হক বলেন, ‘স্থানীয়দের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ এবং অগ্রিম বৃষ্টিপাতের কারণে সমস্যা হচ্ছে। পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে আরও সময় চেয়েছি। সময় পেলে দ্রুত কাজ শেষ করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চোখ উপড়ানো নারীর পরিচয় শনাক্ত, ৮ ঘণ্টা পর প্রেমিক গ্রেপ্তার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
গ্রেপ্তার সোহেল রানা। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার সোহেল রানা। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জ সদরের কাশিয়াহাটা নলিচাপাড়া এলাকার কলাবাগান থেকে উদ্ধার হওয়া চোখ উপড়ানো অজ্ঞাত নারীর পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মো. সোহেল রানা (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার দুপুরে সদর থানা চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নাজরান রউফ জানান, নিহত নারীর নাম মোছা. মরিয়ম বেগম (৪৮)। তিনি সদর উপজেলার খোকসাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। গ্রেপ্তার হওয়া সোহেল রানা সদর উপজেলার গুনেরগাঁতী গ্রামের মো. আসাদুল্লাহর ছেলে।

পুলিশ সুপার জানান, মরিয়ম বেগম প্রবাসে থাকতেন। প্রায় দুই-তিন বছর ধরে তাঁর সঙ্গে সোহেলের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সোহেল তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তবে মরিয়ম সময় নিতে চাইলে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয় এবং তিনি অন্যত্র সম্পর্ক তৈরি করেন বলে পুলিশের ধারণা।

পুলিশ জানায়, ৫ ডিসেম্বর তাঁরা দুজন কাশিয়াহাটা এলাকায় দেখা করেন। সেখানে তাঁদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে সোহেল মরিয়মকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ কলাবাগানের ড্রেনে ফেলে রেখে যান। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রায় আট ঘণ্টার মধ্যে সোহেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই নারীর ছেলে মানিক হোসেন সদর থানায় মামলা করেন। সংবাদ সম্মেলনে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আহসানুজ্জামানসহ পুলিশের অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গতকাল রোববার দুপুরে স্থানীয় লোকজন কাশিয়াহাটা এলাকার আবাদি জমির পাশের একটি কলাবাগানে মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে সদর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামির নামে মামলা

রংপুর প্রতিনিধি
নিহত মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত
নিহত মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে যোগেশ চন্দ্রের বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় বাদী হয়ে এ মামলা করেন। নিহত যোগেশ চন্দ্র রায়ের বাড়ি রংপুরে তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামে।

মামলার এজাহার উল্লেখ করা হয়, অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে বাড়িতে প্রবেশ করে মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যোগেশ চন্দ্র রায়সহ তাঁর স্ত্রীকে অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে হত্যা করে। পুলিশ বলছে, তাঁরা অপরাধীদের শনাক্ত করতে কাজ শুরু করেছেন।

তারাগঞ্জ উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন বলেন, ‘নতুন ইউএনওকে রোববার ফুল দিয়ে বরণ করা জন্য আমরা উপজেলায় আসি। সেখানে যোগেশের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেদিনই তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। আমরা কাল থেকেই এখানে। বিজয়ের মাসে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে এভাবে হত্যা করা লজ্জাজনক। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে, না হলে কঠোর আন্দোলন হবে।’

ইউএনও মোনাব্বর হোসেন বলেন, ‘আজ (সোমবার) সকালে সরেজমিন মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে ঘুরে এসেছি। তাঁর লাশ এখনো আসেনি। মরদেহ আসলে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় তাঁর বড় ছেলে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। তদন্ত কার্যক্রম চলছে। তদন্তের স্বার্থে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ছিনতাই প্রতিরোধের দাবিতে থানা ঘেরাও এলাকাবাসীর

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
টঙ্গী পূর্ব থানায় জড়ো হওয়া বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
টঙ্গী পূর্ব থানায় জড়ো হওয়া বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাই প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে টঙ্গীতে থানা ঘেরাও করেছেন এলাকাবাসী। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন তাঁরা। পরে বিক্ষুব্ধরা থানা ফটক ছেড়ে ভেতরে প্রবেশ করে স্লোগান দেন।

‎‎বিক্ষুব্ধরা বলেন, ‘বিআরটি প্রকল্পের টঙ্গী বাজার এলাকা থেকে গাজীপুরা বাসস্টেশন পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২০টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। গত শনিবার সকালে বিআরটি প্রকল্পের টঙ্গীর বাটাগেট অংশের উড়ালসেতুর ওপর ছিনতাইকারী ছুরিকাঘাতে একজন নিহত হন। এভাবে প্রতিনিয়তই জীবন হারাচ্ছে মানুষ। ছিনতাই আতঙ্কে রয়েছে টঙ্গীর প্রতিটি মানুষ। পুলিশ ছিনতাই রোধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আজ আমরা থানা ঘেরাও করেছি। পরবর্তীকালে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে।’

‎জানা গেছে, গত শনিবার সকালে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে সিদ্দিকুর রহমান নামে একজন সরকারি কর্মকর্তা নিহত হন। এ ঘটনায় গতকাল রোববার বিকেলে টঙ্গীর হাজি মাজার বস্তি এলাকা থেকে ইমরান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১। তাঁকে টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

র‍্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।

‎টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের পরিদর্শক তদন্ত মো. আতিকুর রহমান বলেন, র‍্যাব ইমরানকে থানায় হস্তান্তর করেছে। আজ সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তা ছাড়া ছিনতাই প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে টঙ্গীর কয়েক শ এলাকাবাসী থানার সামনে জড়ো হয়েছিলেন। পরে পুলিশের দিয়ে আশ্বাসে তাঁরা ফিরে যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নরসিংদীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত, আহত ১০

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মামুন (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হন। আজ সোমবার সকালে উপজেলার নিলক্কিয়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর দড়িগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরই জের ধরে সকালে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের গুলিতে মামুন আহত হন। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মামুন মারা গেছেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। সংঘর্ষের সময় বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রবীর কুমার আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত