তাজরুল ইসলাম, পীরগাছা (রংপুর)
আষাঢ় শেষে শ্রাবণ মাস শুরু হলেও রংপুরের পীরগাছায় এখনো বৃষ্টির দেখা নেই। আকাশে মাঝে মাঝে মেঘ জমলেও বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠঘাট রয়ে গেছে পানিশূন্য। এতে বিপাকে পড়েছেন পীরগাছা উপজেলার কয়েক লাখ কৃষক। বাধ্য হয়ে তাঁরা সেচ দিয়ে আমন ধান রোপণ করছেন। এতে অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে প্রতিটি একরে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।
পীরগাছা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ২৭টি ব্লকে চলতি মৌসুমে ২০ হাজার ৫০৩ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ থেকে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬১ হাজার ৬৭৩ মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ৯ ইউনিয়নের ৩ হাজার ৯০০ কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে ধানবীজ ও সার।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, পানির অভাবে অনেক উঁচু-নিচু জমি এখনো ফাঁকা পড়ে আছে। কিছু জমিতে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করা হলেও কোথাও কোথাও চারা শুকিয়ে লাল হয়ে যাচ্ছে।
পীরগাছা উপজেলা কৃষি দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত মাত্র ৩০ থেকে ৪০ ভাগ জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হয়েছে। মাঠে কাজ করা কৃষকেরা এখন আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন বৃষ্টির আশায়।
উপজেলার অনন্তরাম গ্রামের কৃষক সাজ্জাদ হোসেন, আমিনুল ইসলাম, জয়নাল ও মুনছুর আলী বলেন, ‘আষাঢ় শেষ হয়ে গেল, শ্রাবণ শুরু। কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই। বাধ্য হয়ে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করছি। এতে প্রতি একরে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে।’
কৃষক আবদুর রহিম মিয়া বলেন, ‘কি করমু, হামার পোড়া কপাল। আকাশ মেঘ করলেও বৃষ্টি নাই। পানি কিনি ধান নাগাইছি, সকালে পানি দিলে বিকেলে থাকে না। বৃষ্টি না হইলে হামরা মাঠে মারা পড়মু।’
উপজেলার জগজীবন ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান রুবেল বলেন, ‘বৃষ্টির অভাবে কৃষকেরা বেশি সমস্যায় পড়েছেন। আবার অনেক জমিতে পানি যাওয়ার উপযুক্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নেই। ফলে পলিথিন পাইপ বসিয়ে কষ্ট করে সেচ দিতে হচ্ছে। আমরা কৃষকদের নানা পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টি না থাকায় খরচ কিছুটা বেশি হচ্ছে। তবে আমরা কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করছি, যাতে তারা বড় কোনো সমস্যায় না পড়েন।’
আষাঢ় শেষে শ্রাবণ মাস শুরু হলেও রংপুরের পীরগাছায় এখনো বৃষ্টির দেখা নেই। আকাশে মাঝে মাঝে মেঘ জমলেও বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠঘাট রয়ে গেছে পানিশূন্য। এতে বিপাকে পড়েছেন পীরগাছা উপজেলার কয়েক লাখ কৃষক। বাধ্য হয়ে তাঁরা সেচ দিয়ে আমন ধান রোপণ করছেন। এতে অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে প্রতিটি একরে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।
পীরগাছা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ২৭টি ব্লকে চলতি মৌসুমে ২০ হাজার ৫০৩ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ থেকে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬১ হাজার ৬৭৩ মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ৯ ইউনিয়নের ৩ হাজার ৯০০ কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে ধানবীজ ও সার।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, পানির অভাবে অনেক উঁচু-নিচু জমি এখনো ফাঁকা পড়ে আছে। কিছু জমিতে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করা হলেও কোথাও কোথাও চারা শুকিয়ে লাল হয়ে যাচ্ছে।
পীরগাছা উপজেলা কৃষি দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত মাত্র ৩০ থেকে ৪০ ভাগ জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হয়েছে। মাঠে কাজ করা কৃষকেরা এখন আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন বৃষ্টির আশায়।
উপজেলার অনন্তরাম গ্রামের কৃষক সাজ্জাদ হোসেন, আমিনুল ইসলাম, জয়নাল ও মুনছুর আলী বলেন, ‘আষাঢ় শেষ হয়ে গেল, শ্রাবণ শুরু। কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই। বাধ্য হয়ে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করছি। এতে প্রতি একরে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে।’
কৃষক আবদুর রহিম মিয়া বলেন, ‘কি করমু, হামার পোড়া কপাল। আকাশ মেঘ করলেও বৃষ্টি নাই। পানি কিনি ধান নাগাইছি, সকালে পানি দিলে বিকেলে থাকে না। বৃষ্টি না হইলে হামরা মাঠে মারা পড়মু।’
উপজেলার জগজীবন ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান রুবেল বলেন, ‘বৃষ্টির অভাবে কৃষকেরা বেশি সমস্যায় পড়েছেন। আবার অনেক জমিতে পানি যাওয়ার উপযুক্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নেই। ফলে পলিথিন পাইপ বসিয়ে কষ্ট করে সেচ দিতে হচ্ছে। আমরা কৃষকদের নানা পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টি না থাকায় খরচ কিছুটা বেশি হচ্ছে। তবে আমরা কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করছি, যাতে তারা বড় কোনো সমস্যায় না পড়েন।’
রংপুরের কাউনিয়ায় ইঞ্জিনচালিত ভ্যান (নছিমন) উল্টে এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ভেলুপাড়া এলাকায় রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৭ মিনিট আগেদেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় বর্তমানে সুশাসন, অর্থনীতি ও নীতিগত সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুশাসন ও কার্যকর নীতির সংস্কার ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিশেষ করে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে যুগোপযোগী নীতি প্রণয়ন
৩৩ মিনিট আগেগত ৫ আগস্ট খুলনায় রেডিও সেন্টার থেকে লুট হওয়া ৪১টি চায়নিজ রাইফেলের তাজা গুলি ও ৪টি চায়নিজ রাইফেলের চার্জারসহ দুজনকে আটক করেছে কেএমপির ডিবি পুলিশ।
৩৮ মিনিট আগেত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা ও পুলিশকে বডিওর্ন ক্যামেরার বিষয়ে করণীয় কিছু নেই বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির উপসচিব রাশেদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে