Ajker Patrika

গুচ্ছগ্রামের ১৬টি ঘর বিক্রির অভিযোগ, হিজড়াদের গুরুমা গ্রেপ্তার

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৩, ২৩: ৪৫
গুচ্ছগ্রামের ১৬টি ঘর বিক্রির অভিযোগ, হিজড়াদের গুরুমা গ্রেপ্তার

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের ১৬টি টিনে শেডের ঘর কাঠামোসহ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলার পর হিজড়াদের গুরুমা (দলনেতা) রুবী বেগম ওরফে রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ সোমবার তাঁকে আদলাতের মাধ্যমে কারাগারের পাঠানো হয়।

এর আগে রোববার ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মামলা করা হয়। এতে রুবী বেগম ওরফে রুবেলকে প্রধান আসামি করে এবং ১৩ থেকে ১৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলার পর ওই দিন দিবাগত রাতে রুবী ওরফে রুবেলকে তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় লিঙ্গের সুবিধাভোগীদের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে গুচ্ছগ্রাম দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের আওতায় ঠাকুরগাঁও শহরের কহরপাড়ায় টিনশেডের ২০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। ওই ঘরে আসামিরা বসবাস করে আসছিলেন। পরে তাঁরা বিভিন্ন সময় ঘরগুলো টিনশেড সহ ঘরের কাঠামো বিক্রি করে দেন। গত শুক্রবার বিকেলে ঘরগুলো পরিদর্শন করে ১৬টি ঘরের খোঁজ পায়নি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। প্রতিটি ঘরের মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।

নারগুন ইউপি চেয়ারম্যান সেরেকুল ইসলাম বলেন, পশ্চিম নারগুন ইক্ষু খামার এলাকায় ২০১৯ সালে এই জনগোষ্ঠীর ৩০ সদস্যদের জন্য সরকার টিনের তৈরি বাড়ি করে দেয়। এরপর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় তাদের সেমিপাকা বাড়িও দেওয়া হয়। তবে টিনের ঘরগুলোতে ফাঁকা পড়েছিল। হঠাৎ করে ঘরগুলো গায়েব হয়ে যায়।

ওসি কামাল হোসেন বলেন, ‘নারগুন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা হাসান আলী বাদী হয়ে সরকারি ঘর বিক্রি করার অভিযোগে মামলা করেন। এ মামলায় রুবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি ঘর বিক্রি করে দেওয়া ফৌজদারি অপরাধ। এ বিষয়ে ভূমি সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিলা তাসনিমকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে ঘটনাটি স্পট জানা যাবে।’

ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ সোমবার দুপুরে তৃতীয় লিঙ্গের সম্প্রদায়ের রুবেল ওরফে রুবি নামে এক আসামিকে আদালত থেকে পুলিশ জেলা কারাগারে নিয়ে এসেছিলেন। কারাগারে হিজড়া সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ কোনো সেল না থাকায় বিকেলে তাঁকে পঞ্চগড় জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে বিশেষভাবে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত