Ajker Patrika

বোদায় নামমাত্র প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা, বাজেট লোপাটের অভিযোগ

প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬: ৪৪
বোদায় নামমাত্র প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা, বাজেট লোপাটের অভিযোগ

বোদা (পঞ্চগড়): পঞ্চগড়ের বোদায় বোদা সরকারি মডেল পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে শনিবার অনুষ্ঠিত হলো প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা। এ মেলায় প্রাণী নিয়ে আসা খামারিরা বলছেন, দায়সারাভাবে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রেও পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে।

জানা যায়, আড়াই লাখ টাকা বাজেটে এ মেলার আয়োজন করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। পাশেই একটি ছায়াযুক্ত মাঠ বাদ দিয়ে প্রখর রোদের মধ্যে মেলার স্টল করা হয়। এই স্টলে কোনো ফ্যানের ব্যবস্থাও না করায় বিদেশি জাতের ফিজিসিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান গরুসহ পশুপাখি ক্লান্ত হয়ে যেতে থাকে। বোদা সর্দারপাড়া এলাকা থেকে গাভি নিয়ে এসেছেন বাবুল। তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড রৌদ্রের মধ্যে ছিল আমার একটি বিদেশি গরু। ২০ মিনিট যেতে না যেতেই গরুটি গরমের কারণে হাঁপিয়ে ওঠে। ছিল না ফ্যানের ব্যবস্থা। তাই আমি নিজেই বাজারে পাঠিয়ে ফ্যানের ব্যবস্থা করি। পরে মাত্র দেড় ঘণ্টার মাঝে মেলা বন্ধ হয়ে যায়।’ একই অভিযোগ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সবার। পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকলেও আয়োজনের বেশ কিছু অসংগতি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেলায় ৫০টি স্টল থাকার কথা থাকলেও স্টল ছিল ৩৬টি। খাবারের প্যাকেটও করা হয়েছে বরাদ্দের তুলনায় অনেক কম। অনেক দূরত্ব থেকে আসা খামারিদের পশু নিয়ে যাতায়াতের খরচও দেওয়া হয়েছে একই পরিমাণে। এতে দূর থেকে আসা খামারিদের ভাড়া উঠে আসেনি। কাজলদিঘি এলাকার সফল উদ্যোক্তা সনেট জানান, নদী পার হয়ে এসেছি কিন্তু সব দূরত্বের ক্ষেত্রে একই হলে তো হবে না। অথচ অফিস সেটাই করেছে। আর এই মেলায় নানা রকম সমস্যা ছিল। যেগুলো হওয়ার কথা না।

পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিচিত দেখে বিজয়ী ঘোষণার অভিযোগও উঠেছে। রেজাউল নামের আরেকজন বলেন, ‘অফিসের সঙ্গে পরিচয় নাই, কোনো সুবিধা নেই। ভালো কিছু করে এখানে পুরস্কার পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই। এখানে ফলাফল করা হয়েছে চেনা মুখ দেখে। বাজেট তো ভালোই পেয়েছে শুনলাম, তাহলে মেলার এই অবস্থা কেন?’ এ মেলায় পুরস্কার নির্ধারণ করা হয়েছে তিন ক্যাটাগরিতে। এ ছাড়া বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে আরও তিনটি। সব মিলে ১২ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রথম পুরস্কার ২৯০০, দ্বিতীয় ২৪০০ ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ১৯০০ টাকা দেওয়া হয়। সব মিলে ১২ জনকে ৩০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়।

পরে অখ্যাত কোম্পানির ভিটামিন একটি গামলা ও ৩০০ টাকা দিয়ে বিদায় করা হয় অংশগ্রহণকারীদের। এ ছাড়া আলোচনা সভায় প্রান্তিক খামারি ও উদ্যোক্তাদের কথা না শুনে আয়োজকদের পছন্দের কয়েকজনকে রাখা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোলেমান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, মেয়র ও ভাইস চেয়ারম্যান। বরাদ্দের একটি বড় অংশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুস সোবহানের পকেটে গেছে বলেও অভিযোগ করছেন খামারিরা।

এসব বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান বলেন, সকল কিছু সত্য নয়। তবে আপনি সংবাদ না করলে ভাল হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত