Ajker Patrika

মাঠ-জিমনেশিয়ামের জন্য আক্ষেপ

বেরোবি প্রতিনিধি
Thumbnail image

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) প্রতিষ্ঠার ১৪ বছরেও তৈরি হয়নি স্থায়ী খেলার মাঠ ও জিমনেশিয়াম। খেলাধুলার এই বেহাল অবস্থায় চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

তবে মাঠসংকটের বিষয়টি দ্রুত কাটিয়ে উঠতে ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক নুরুজ্জামান খান। 

এ ছাড়া আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য দল গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত মাঠ না থাকায় খেলার অনুশীলন নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, ভলিবল, হ্যান্ডবল, ব্যাডমিন্টন ও ফেন্সিং ইনডোর গেম হলেও এসব খেলার অনুশীলন চলছে খোলা আকাশের নিচে। আর বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই থেমে থাকছে এসব ইনডোর গেমের অনুশীলন। মাঠের সংকট থাকায় অস্থায়ী মাঠে চলছে ক্রিকেট-ফুটবলের অনুশীলন। সেটিও আবার ছোট-বড় অসংখ্য গর্তে ভরা। সেখানে খেলতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হন শিক্ষার্থীরা। গত বছরে ফুটবল খেলার সময় গর্তে পা পিছলে পড়ে হাত ভেঙে যায় দুই শিক্ষার্থীর। এ ছাড়া মাঠটি নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই জমে থাকে পানি।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোনারুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত একটি মাত্র অস্থায়ী খেলার মাঠ। ইনডোর গেম ও ব্যায়ামের জন্য নেই জিমনেশিয়াম। বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ক্রীড়াঙ্গনকে আধুনিকায়নের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এই বিষয়টা দ্রুত সমাধান চাই আমরা।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত খেলোয়াড় রুবেল হোসেন আদনান বলেন, ব্যায়াম করার ব্যবস্থা না থাকায় খেলাধুলার জন্য ফিটনেস টিকিয়ে রাখা খুব কঠিন কাজ। একটা জিমনেশিয়াম থাকলে ফিটনেস টিকিয়ে রাখতে এত বেগ পেতে হতো না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জীবন প্রধান ওহী বলেন, এক মাঠে ক্রিকেট-ফুটবল একসঙ্গে প্র্যাকটিস করতে হয়, যা মনোযোগের বিঘ্ন ঘটায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান থাকবে ক্রীড়াঙ্গনকে আধুনিকায়নের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার।

জিমনেশিয়ামের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর সোহেল রানা বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলার জিমনেশিয়াম নেই, চিন্তাই করা যায় না। আমাদের ফেন্সিং, ভলিবল, হ্যান্ডবল ও ব্যাডমিন্টনের জন্য ইনডোর থাকা খুব জরুরি। এ ছাড়া ফিটনেস ঠিক রাখতে ব্যায়াম করার জন্যও জিমনেশিয়ামের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের পরিচালক খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম নীরব মাঠসংকটের বিষয়টি স্বীকার করলেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত