মেহেদী হাসান ও আতিকুল ইসলাম, ফুলবাড়ী ও নবাবগঞ্জ
মানুষের সঙ্গে পশুপাখির ভালোবাসার অনেক নজির রয়েছে। তেমনি এক ব্যতিক্রমী পশু প্রেমিকের খোঁজ মেলেছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের আফতাবগঞ্জ ইসলামপুর গ্রামে। ওই এলাকার মৃত শচীন চন্দ্র রায়ের ছেলে দিলীপ চন্দ্র রায় (৫২)। তার ডাক নাম দিলীপ বাবু। তিনি পেশায় একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা।
দিলীপ বাবু রাস্তা থেকে একটি কুকুর ছানা কুড়িয়ে এনে ছোট থেকেই নিজের সন্তানের মতো লালন–পালন করছেন। নিজের নাম অনুসারে কুকুরের নামও রেখেছেন রাজা বাবু। সেই কুকুর এখন তার ব্যবসার সহযোগী। মনিবের সঙ্গে কুকুরের এমন ভালোবাসা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এলাকায়।
জানা গেছে, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দুরে পাশের নাবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন আফতাবগঞ্জ ইসলামপুর গ্রামে বসবাস করেন দিলীপ বাবু। প্রায় দেড়-বছর আগে বাড়ির কাছে একটি কুকুর ছানাকে কয়েকটি কুকুর আক্রমণ করে কামড়ে দেয়। আহত ওই কুকুর ছানাকে বাড়িতে নিয়ে যান দিলীপ। স্ত্রীকে বলেন, ‘কুকুরটি আজ থেকে তোমার সন্তান। নিজের সন্তানের মতো করেই আদর-যত্নে রাখবা।’ এরপর চিকিৎসা করে তাকে সুস্থ করে তোলেন তারা। সেই থেকে তাদের পরিবারের একজন সদস্য হয়ে ওঠে কুকুর রাজা বাবু।
বাড়ির পাশে আফতাবগঞ্জ হাটে সপ্তাহে দুদিন ঝালমুড়ির দোকান দেয় কুকুর প্রেমিক দিলীপ। সেই টাকা দিয়ে তাদের সংসার চলে এবং রাজা বাবুর জন্য মাছ-মাংস কেনেন তিনি। ভালো খাবার ছাড়া খায় না রাজা বাবু। সন্তানের মতোই তাকে লালনপালন করে ওই দম্পতি। রাজা বাবুর খাবার জোগাড় করতে মরিয়া দিলীপ ও তার স্ত্রী। তাঁরা না খেয়ে থাকতেও রাজি, তবুও রাজা বাবুকে অভুক্ত রাখবেন না। রাজা বাবুও তেমনি মনিব ভক্ত।
দুই শতক জমির ওপরে একটি টিনের ছাপড়ার বাড়ি। চারদিকে টিন দিয়ে ঘেরা। বাড়ির ভেতরে একপাশে একটি শোয়ার ঘর, পাশেই ছোট করে টিনের একটি মন্দির, ঈশ্বরের ভক্তিতেও তাদের কমতি নেই। দিলীপের এক ছেলে দুই মেয়ে সন্তান। এর মধ্যে মেয়ে দুটির বিয়ে হয়ে গেছে। তারা স্বামীর বাড়িতে থাকেন। এক ছেলে ঢাকায় পোশাকশ্রমিকের কাজ করেন। বাড়িতে দিলীপ আর তার স্ত্রী ছাড়া কেউ থাকে না।
একাকিত্ব কাটাতে রাজা বাবুকে সন্তানের স্বীকৃতি দিয়েছেন তারা। সন্তান ছাড়া স্বামী-স্ত্রীর ছোট্ট সংসারে আনন্দ ছড়াচ্ছে ওই রাজা বাবু। প্রতিদিন নিজ হাতে গোসল করানো থেকে শুরু করে খাবার খাওয়ানো সবই করেন দিলীপ ও তার স্ত্রী রেখা রানি। অসুখ হলে ডাক্তার ডেকে এনে চিকিৎসা করান। এমনকি রাতেও একসঙ্গে ঘুমায় তারা। নিজের সন্তানের মতোই লালনপালন করছেন কুকুরটিকে।
একদিন দিলিপের মাথায় আসে রাজার জন্য একটি গাড়ি বানাবে। প্রতিদিন দোকানদারি করে মাটির খুঁটিতে খুচরা পয়সা জমাতো দিলীপ। সেই খুঁটি ভেঙে ২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে রাজা বাবুর জন্য একটি দুই চাকার গাড়ি বানায়।
এবার কুকুর রাজা বাবু কাজেও এসেছে মনিব দিলীপের। ঘোড়ার গাড়ির মতো তৈরি করা সেই ছোট্ট গাড়িতে করে দোকানের মালামাল, বাজার আনা নেওয়ার কাজ করে রাজা বাবু। শরীরে লাল কাপড় জড়িয়ে মনিবের সেবায় ক্লান্তিহীন ছুটে চলে রাজা। শুধু মালামাল পরিবহন নয়! মাঝে মাঝে দিলীপ হাটতে হাটতে ক্লান্ত হলে মনিবকে নিজ গাড়িতে চড়িয়ে দ্রুত গতিতে ছোটে সে। মনিবের ভালোবাসায় সেও যেন ব্যাকুল।
রাজা বাবুর মনিব দিলীপ বাবু বলেন, ‘রাজা আমার সন্তানের মতো। নিজের সন্তানের মতোই তাকে আমরা লালনপালন করছি। সে আমার সংসারে সুখ নিয়ে এসেছে। রাজার মাঝেই আমি আমার স্বপ্ন বুনি। তাকে ঘিরেই আমাদের পরিবারের সব আনন্দ। রাজা বাবু আমাদের ছাড়া এক মুহূর্তও থাকতে পারে না। আমাদের না দেখলেই ও চিল্লাচিল্লি করে। এমনকি খাবারও খায় না।’
দিলীপের স্ত্রী রেখা রানী বলেন, ‘রাজা বাবুকে ছাড়া আমাদের এক মুহূর্তও ভালো লাগে না। প্রতিদিন আমি নিজ হাতে ওকে গোসল করাই, খাবার খাওয়াই। রাতে আমাদের বিছানার পাশেই ওকে বিছানা করে দিই। এরপর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলে রাজা ঘুমায়। মূত্রত্যাগের সময় রাজা চিল্লাচিল্লি করে। ওকে তখন বাইরে নিয়ে যাই। সে বাইরেই মলমূত্র ত্যাগ করে। সে আমাদের পরিবারের একজন সদস্য। আমার সন্তানের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।’
রাজা বাবুকে গ্রামের সবাই চেনে একনামে। মনিবের সঙ্গে বাইরে বের হলেই রাজাকে দেখতে রাস্তায় ভিড় জমায় শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষ। দিন কিংবা রাত! অপরিচিত লোক দেখলেই চিৎকার করে রাজা বাবু। রাতে রাজা বাবুর চিৎকার শুনলেই চোরের হাত থেকে রক্ষায় সজাগ হয় প্রতিবেশীরা।
দিলীপের এক প্রতিবেশী বলেন, ‘রাজা অনেক ভালো। সে কাউকে কামড়ায় না। অপরিচিত লোক দেখলেই চিৎকার করে। আমাদের দেখলেও সে চিৎকার করে। পায়ের কাছে সে নাক দিয়ে ঘ্রাণ নেয়। তবে কিছু করে না।’
আরেক প্রতিবেশী পুষ্প চন্দ্র বলেন, ‘কিছুদিন আগে রাতে চোর এসেছিল গ্রামে। রাজা বাবু বুঝতে পেরে চিৎকার শুরু করে। চোরেরা তার চিৎকার শুনে পালিয়ে যায়।’
কুকুরের সঙ্গে মানুষের এমন প্রেমে মুগ্ধ স্থানীয়রাও। রাজা বাবুর গাড়িতে শিশুরাও চড়ে আনন্দ খেলা করে। মানুষের সঙ্গে কুকুরের এমন ভালোবাসা কেউ দেখেনি।
স্থানীয় ললিনি কান্ত বলেন, ‘অনেকেই পশুপাখি পালন করে। তবে প্রথম দেখলাম কেউ কুকুরকে এত বেশি ভালোবাসে। দিলীপ কুকুরকে এভাবে ভালোবাসছে, ভগবান তার মঙ্গল করবেন।’
আরেক প্রতিবেশী বলেন, ‘দিলীপ দাদা কুকুরকে যে পরিমাণ ভালোবাসেন, তা অবিশ্বাস্য। এ রকম ভালোবাসা খুব কমই হয়। তাদের উভয়ের মায়া-মততা সত্যিই মনোমুগ্ধকর।
৯ নম্বর কুশদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল ইসলাম আনু জানান, দিলীপ বাবুর রাজা বাবু নামে একটি কুকুর আছে। সেই কুকুরটি একটি গাড়িতে করে তাকে এবং তার মালামাল বহন করে। তিনি অত্যন্ত সৎ ও অতিদরিদ্র ব্যক্তি। তিনি একটি অসুস্থ কুকুরকে সুস্থ করে নিজ সন্তানের মতো প্রতিপালন করছে এবং রাজা বাবুকে দিয়ে ছোট একটি গাড়ি বানিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। একটি কুকুরের প্রতি তার এমন ভালোবাসা প্রশংসনীয়।
মানুষের সঙ্গে পশুপাখির ভালোবাসার অনেক নজির রয়েছে। তেমনি এক ব্যতিক্রমী পশু প্রেমিকের খোঁজ মেলেছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের আফতাবগঞ্জ ইসলামপুর গ্রামে। ওই এলাকার মৃত শচীন চন্দ্র রায়ের ছেলে দিলীপ চন্দ্র রায় (৫২)। তার ডাক নাম দিলীপ বাবু। তিনি পেশায় একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা।
দিলীপ বাবু রাস্তা থেকে একটি কুকুর ছানা কুড়িয়ে এনে ছোট থেকেই নিজের সন্তানের মতো লালন–পালন করছেন। নিজের নাম অনুসারে কুকুরের নামও রেখেছেন রাজা বাবু। সেই কুকুর এখন তার ব্যবসার সহযোগী। মনিবের সঙ্গে কুকুরের এমন ভালোবাসা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এলাকায়।
জানা গেছে, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দুরে পাশের নাবাবগঞ্জ উপজেলার কুশদহ ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন আফতাবগঞ্জ ইসলামপুর গ্রামে বসবাস করেন দিলীপ বাবু। প্রায় দেড়-বছর আগে বাড়ির কাছে একটি কুকুর ছানাকে কয়েকটি কুকুর আক্রমণ করে কামড়ে দেয়। আহত ওই কুকুর ছানাকে বাড়িতে নিয়ে যান দিলীপ। স্ত্রীকে বলেন, ‘কুকুরটি আজ থেকে তোমার সন্তান। নিজের সন্তানের মতো করেই আদর-যত্নে রাখবা।’ এরপর চিকিৎসা করে তাকে সুস্থ করে তোলেন তারা। সেই থেকে তাদের পরিবারের একজন সদস্য হয়ে ওঠে কুকুর রাজা বাবু।
বাড়ির পাশে আফতাবগঞ্জ হাটে সপ্তাহে দুদিন ঝালমুড়ির দোকান দেয় কুকুর প্রেমিক দিলীপ। সেই টাকা দিয়ে তাদের সংসার চলে এবং রাজা বাবুর জন্য মাছ-মাংস কেনেন তিনি। ভালো খাবার ছাড়া খায় না রাজা বাবু। সন্তানের মতোই তাকে লালনপালন করে ওই দম্পতি। রাজা বাবুর খাবার জোগাড় করতে মরিয়া দিলীপ ও তার স্ত্রী। তাঁরা না খেয়ে থাকতেও রাজি, তবুও রাজা বাবুকে অভুক্ত রাখবেন না। রাজা বাবুও তেমনি মনিব ভক্ত।
দুই শতক জমির ওপরে একটি টিনের ছাপড়ার বাড়ি। চারদিকে টিন দিয়ে ঘেরা। বাড়ির ভেতরে একপাশে একটি শোয়ার ঘর, পাশেই ছোট করে টিনের একটি মন্দির, ঈশ্বরের ভক্তিতেও তাদের কমতি নেই। দিলীপের এক ছেলে দুই মেয়ে সন্তান। এর মধ্যে মেয়ে দুটির বিয়ে হয়ে গেছে। তারা স্বামীর বাড়িতে থাকেন। এক ছেলে ঢাকায় পোশাকশ্রমিকের কাজ করেন। বাড়িতে দিলীপ আর তার স্ত্রী ছাড়া কেউ থাকে না।
একাকিত্ব কাটাতে রাজা বাবুকে সন্তানের স্বীকৃতি দিয়েছেন তারা। সন্তান ছাড়া স্বামী-স্ত্রীর ছোট্ট সংসারে আনন্দ ছড়াচ্ছে ওই রাজা বাবু। প্রতিদিন নিজ হাতে গোসল করানো থেকে শুরু করে খাবার খাওয়ানো সবই করেন দিলীপ ও তার স্ত্রী রেখা রানি। অসুখ হলে ডাক্তার ডেকে এনে চিকিৎসা করান। এমনকি রাতেও একসঙ্গে ঘুমায় তারা। নিজের সন্তানের মতোই লালনপালন করছেন কুকুরটিকে।
একদিন দিলিপের মাথায় আসে রাজার জন্য একটি গাড়ি বানাবে। প্রতিদিন দোকানদারি করে মাটির খুঁটিতে খুচরা পয়সা জমাতো দিলীপ। সেই খুঁটি ভেঙে ২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে রাজা বাবুর জন্য একটি দুই চাকার গাড়ি বানায়।
এবার কুকুর রাজা বাবু কাজেও এসেছে মনিব দিলীপের। ঘোড়ার গাড়ির মতো তৈরি করা সেই ছোট্ট গাড়িতে করে দোকানের মালামাল, বাজার আনা নেওয়ার কাজ করে রাজা বাবু। শরীরে লাল কাপড় জড়িয়ে মনিবের সেবায় ক্লান্তিহীন ছুটে চলে রাজা। শুধু মালামাল পরিবহন নয়! মাঝে মাঝে দিলীপ হাটতে হাটতে ক্লান্ত হলে মনিবকে নিজ গাড়িতে চড়িয়ে দ্রুত গতিতে ছোটে সে। মনিবের ভালোবাসায় সেও যেন ব্যাকুল।
রাজা বাবুর মনিব দিলীপ বাবু বলেন, ‘রাজা আমার সন্তানের মতো। নিজের সন্তানের মতোই তাকে আমরা লালনপালন করছি। সে আমার সংসারে সুখ নিয়ে এসেছে। রাজার মাঝেই আমি আমার স্বপ্ন বুনি। তাকে ঘিরেই আমাদের পরিবারের সব আনন্দ। রাজা বাবু আমাদের ছাড়া এক মুহূর্তও থাকতে পারে না। আমাদের না দেখলেই ও চিল্লাচিল্লি করে। এমনকি খাবারও খায় না।’
দিলীপের স্ত্রী রেখা রানী বলেন, ‘রাজা বাবুকে ছাড়া আমাদের এক মুহূর্তও ভালো লাগে না। প্রতিদিন আমি নিজ হাতে ওকে গোসল করাই, খাবার খাওয়াই। রাতে আমাদের বিছানার পাশেই ওকে বিছানা করে দিই। এরপর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলে রাজা ঘুমায়। মূত্রত্যাগের সময় রাজা চিল্লাচিল্লি করে। ওকে তখন বাইরে নিয়ে যাই। সে বাইরেই মলমূত্র ত্যাগ করে। সে আমাদের পরিবারের একজন সদস্য। আমার সন্তানের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।’
রাজা বাবুকে গ্রামের সবাই চেনে একনামে। মনিবের সঙ্গে বাইরে বের হলেই রাজাকে দেখতে রাস্তায় ভিড় জমায় শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষ। দিন কিংবা রাত! অপরিচিত লোক দেখলেই চিৎকার করে রাজা বাবু। রাতে রাজা বাবুর চিৎকার শুনলেই চোরের হাত থেকে রক্ষায় সজাগ হয় প্রতিবেশীরা।
দিলীপের এক প্রতিবেশী বলেন, ‘রাজা অনেক ভালো। সে কাউকে কামড়ায় না। অপরিচিত লোক দেখলেই চিৎকার করে। আমাদের দেখলেও সে চিৎকার করে। পায়ের কাছে সে নাক দিয়ে ঘ্রাণ নেয়। তবে কিছু করে না।’
আরেক প্রতিবেশী পুষ্প চন্দ্র বলেন, ‘কিছুদিন আগে রাতে চোর এসেছিল গ্রামে। রাজা বাবু বুঝতে পেরে চিৎকার শুরু করে। চোরেরা তার চিৎকার শুনে পালিয়ে যায়।’
কুকুরের সঙ্গে মানুষের এমন প্রেমে মুগ্ধ স্থানীয়রাও। রাজা বাবুর গাড়িতে শিশুরাও চড়ে আনন্দ খেলা করে। মানুষের সঙ্গে কুকুরের এমন ভালোবাসা কেউ দেখেনি।
স্থানীয় ললিনি কান্ত বলেন, ‘অনেকেই পশুপাখি পালন করে। তবে প্রথম দেখলাম কেউ কুকুরকে এত বেশি ভালোবাসে। দিলীপ কুকুরকে এভাবে ভালোবাসছে, ভগবান তার মঙ্গল করবেন।’
আরেক প্রতিবেশী বলেন, ‘দিলীপ দাদা কুকুরকে যে পরিমাণ ভালোবাসেন, তা অবিশ্বাস্য। এ রকম ভালোবাসা খুব কমই হয়। তাদের উভয়ের মায়া-মততা সত্যিই মনোমুগ্ধকর।
৯ নম্বর কুশদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল ইসলাম আনু জানান, দিলীপ বাবুর রাজা বাবু নামে একটি কুকুর আছে। সেই কুকুরটি একটি গাড়িতে করে তাকে এবং তার মালামাল বহন করে। তিনি অত্যন্ত সৎ ও অতিদরিদ্র ব্যক্তি। তিনি একটি অসুস্থ কুকুরকে সুস্থ করে নিজ সন্তানের মতো প্রতিপালন করছে এবং রাজা বাবুকে দিয়ে ছোট একটি গাড়ি বানিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। একটি কুকুরের প্রতি তার এমন ভালোবাসা প্রশংসনীয়।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
২১ মিনিট আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
১ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
২ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
২ ঘণ্টা আগে