কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ হয়ে স্থানীয় গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল না দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সুরুজ্জামাল হোসেন। তাঁর দাবি, বিদ্যুৎ বিভ্রাটে স্থানীয় জনগণ অতিষ্ঠ হওয়ায় তিনি এই মাইকিং করিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার কর্তিমারী এলাকায় মাইকিং করে এই প্রচারণা চালিয়েছেন এ আওয়ামী লীগের নেতা।
এদিকে রৌমারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দাবি, রৌমারীর কর্তিমারী এলাকার ফিডার বিভক্তের কাজ চলমান থাকায় তিন দিন ধরে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বন্ধ রাখা হচ্ছে। বিষয়টি কর্তিমারী বাজার সভাপতিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করা হয়েছে।
মাইকিং করে বিল পরিশোধ না করার নির্দেশনা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, মঙ্গলবার বিকেলে একটি বাইসাইকেলের সামনে ও পেছনে দুটি মাইক লাগিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা সুরুজ্জামালের নির্দেশে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করার আহ্বান জানিয়ে মাইকিং করেন মাইক অপারেটর কালাম। মাইকিংয়ে বলা হয়-‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম। সকলের অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে, যাহারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করিতেছেন, নিয়মিত বিদ্যুৎ না থাকিলে কেহ বিদ্যুৎ বিল দিবেন না। প্রচারে মো. সুরুজ্জামাল সাহেব, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রৌমারী থানা শাখা।’ এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা সুরুজ্জামালকে মোটরসাইকেল নিয়ে মাইকের পেছন পেছন আসতে দেখা যায়।
মাইকিং করে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করার নির্দেশনা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে আওয়ামী লীগের নেতা সুরুজ্জামাল দাবি করে বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ থাকলেও স্থানীয় গ্রাহকেরা কোনো সেবা পাচ্ছেন না। সারা দিনরাত মিলে খুব অল্প সময় বিদ্যুৎ সেবা পাওয়া যায়। বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকেন গ্রাহকরা। এ জন্য প্রতিবাদ জানাতে স্থানীয় গ্রাহকদের বিল পরিশোধ না করার নির্দেশনা দিয়ে মাইকিং করিয়েছি।’
আওয়ামী লীগের নেতা সুরুজ্জামাল আরও বলেন, ‘আমি নিজে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাসহ দুই দিন বিদ্যুৎ অফিসে গিয়া বিদ্যুতের সমস্যা, গ্রাহকদের অসন্তুষ্টি নিয়ে কথা বলছি। কিন্তু কোনো লাভ হয় নাই। বিদ্যুৎ না থাকলে বিল দিমো ক্যা? বিদ্যুৎ দিলে তখন বিল দেমো! আমি তো বলি নাই বিল দেওয়া যাবে না, সেবা পাইলে বিল দেমো। দিনেও বিদ্যুৎ থাকে না, রাইতেও থাকে না।’
মাইকিং করে বিল না দেওয়ার নির্দেশনা দিতে পারেন কি না, এমন প্রশ্নে এই আওয়ামী লীগের নেতা বলেন, ‘প্রথমে চিন্তা করছি সব জায়গায় মাইকিং করি। কিন্তু পরে শুধু এক পাক দিয়া বন্ধ করায় দিছি। আমার কথা হইল, নিয়মিত বিদ্যুৎ দিয়া নিয়মিত বিল নিবে।’
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রৌমারী জোনাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘সুরুজ্জামাল সাহেবের মাইকিং করার বিষয়টি আমি জেনেছি। ফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। তিনি যা করেছেন তা আইনসম্মত নয়। আমি বিষয়টি কর্তিমারী বাজার সমিতির সভাপতিকে জানিয়েছি। আমরা তাদের জানিয়ে সরবরাহ লাইনের কাজ করছি।’
বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার বিষয়টি মাইকিং করে গ্রাহকদের জানানো হয়েছিল কি না, এমন প্রশ্নে ডিজিএম বলেন, ‘পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করলে তখন মাইকিং করে জানানো হয়। তা না হলে সকল গ্রাহক মনে করেন যে বিদ্যুৎ থাকবে না। ওই ফিডারের সব গ্রাহকের লাইন বন্ধ রাখা হয়নি। আমরা ফোন করে ওই ফিডারের আওতাভুক্ত কর্তিমারী বাজার সভাপতিসহ কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানিয়েছিলাম।’
সেই সঙ্গে মাইকিং করে বিল পরিশোধ না করতে গ্রাহকদের নির্দেশ দেওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতা সুরুজ্জামালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান ডিজিএম।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ হয়ে স্থানীয় গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল না দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সুরুজ্জামাল হোসেন। তাঁর দাবি, বিদ্যুৎ বিভ্রাটে স্থানীয় জনগণ অতিষ্ঠ হওয়ায় তিনি এই মাইকিং করিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার কর্তিমারী এলাকায় মাইকিং করে এই প্রচারণা চালিয়েছেন এ আওয়ামী লীগের নেতা।
এদিকে রৌমারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দাবি, রৌমারীর কর্তিমারী এলাকার ফিডার বিভক্তের কাজ চলমান থাকায় তিন দিন ধরে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বন্ধ রাখা হচ্ছে। বিষয়টি কর্তিমারী বাজার সভাপতিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করা হয়েছে।
মাইকিং করে বিল পরিশোধ না করার নির্দেশনা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, মঙ্গলবার বিকেলে একটি বাইসাইকেলের সামনে ও পেছনে দুটি মাইক লাগিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা সুরুজ্জামালের নির্দেশে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করার আহ্বান জানিয়ে মাইকিং করেন মাইক অপারেটর কালাম। মাইকিংয়ে বলা হয়-‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম। সকলের অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে, যাহারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করিতেছেন, নিয়মিত বিদ্যুৎ না থাকিলে কেহ বিদ্যুৎ বিল দিবেন না। প্রচারে মো. সুরুজ্জামাল সাহেব, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রৌমারী থানা শাখা।’ এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা সুরুজ্জামালকে মোটরসাইকেল নিয়ে মাইকের পেছন পেছন আসতে দেখা যায়।
মাইকিং করে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করার নির্দেশনা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে আওয়ামী লীগের নেতা সুরুজ্জামাল দাবি করে বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ থাকলেও স্থানীয় গ্রাহকেরা কোনো সেবা পাচ্ছেন না। সারা দিনরাত মিলে খুব অল্প সময় বিদ্যুৎ সেবা পাওয়া যায়। বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকেন গ্রাহকরা। এ জন্য প্রতিবাদ জানাতে স্থানীয় গ্রাহকদের বিল পরিশোধ না করার নির্দেশনা দিয়ে মাইকিং করিয়েছি।’
আওয়ামী লীগের নেতা সুরুজ্জামাল আরও বলেন, ‘আমি নিজে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাসহ দুই দিন বিদ্যুৎ অফিসে গিয়া বিদ্যুতের সমস্যা, গ্রাহকদের অসন্তুষ্টি নিয়ে কথা বলছি। কিন্তু কোনো লাভ হয় নাই। বিদ্যুৎ না থাকলে বিল দিমো ক্যা? বিদ্যুৎ দিলে তখন বিল দেমো! আমি তো বলি নাই বিল দেওয়া যাবে না, সেবা পাইলে বিল দেমো। দিনেও বিদ্যুৎ থাকে না, রাইতেও থাকে না।’
মাইকিং করে বিল না দেওয়ার নির্দেশনা দিতে পারেন কি না, এমন প্রশ্নে এই আওয়ামী লীগের নেতা বলেন, ‘প্রথমে চিন্তা করছি সব জায়গায় মাইকিং করি। কিন্তু পরে শুধু এক পাক দিয়া বন্ধ করায় দিছি। আমার কথা হইল, নিয়মিত বিদ্যুৎ দিয়া নিয়মিত বিল নিবে।’
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রৌমারী জোনাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘সুরুজ্জামাল সাহেবের মাইকিং করার বিষয়টি আমি জেনেছি। ফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। তিনি যা করেছেন তা আইনসম্মত নয়। আমি বিষয়টি কর্তিমারী বাজার সমিতির সভাপতিকে জানিয়েছি। আমরা তাদের জানিয়ে সরবরাহ লাইনের কাজ করছি।’
বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার বিষয়টি মাইকিং করে গ্রাহকদের জানানো হয়েছিল কি না, এমন প্রশ্নে ডিজিএম বলেন, ‘পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করলে তখন মাইকিং করে জানানো হয়। তা না হলে সকল গ্রাহক মনে করেন যে বিদ্যুৎ থাকবে না। ওই ফিডারের সব গ্রাহকের লাইন বন্ধ রাখা হয়নি। আমরা ফোন করে ওই ফিডারের আওতাভুক্ত কর্তিমারী বাজার সভাপতিসহ কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানিয়েছিলাম।’
সেই সঙ্গে মাইকিং করে বিল পরিশোধ না করতে গ্রাহকদের নির্দেশ দেওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতা সুরুজ্জামালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান ডিজিএম।
‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’ (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে হরিহর নদ পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ উল্লম্ব-অনুভূমিক জায়গা না রেখে হরিহর নদের ওপর যশোর সদর উপজেলার গোয়ালদাহ বাজারে আরেকটি অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণ করছে স্
৪২ মিনিট আগেগাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মজুত থাকা সরকারি বিপুল ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে। সময়মতো রোগীদের মাঝে বিতরণ না করায় ওষুধগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকারি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে; একই সঙ্গে সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে হাজারো রোগী।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) আওতায় ‘নিরাপদ পথচারী পারাপারে পাইলট প্রকল্প’ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সহযোগিতায় পাইলট প্রকল্পটি রোববার (২০ এপ্রিল ২০২৫) থেকে শুরু হয়ে ৮ মে পর্যন্ত চলবে।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন কারওয়ান বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আলাল উদ্দিন হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত মূল দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তেজগাঁও থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. শামীম হোসেন (২৮) ও মো. ইয়াসিন আরাফাত ওরফে মুরগি ইয়াসিন (২১)।
২ ঘণ্টা আগে