সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
‘১৯৮০ সাল পর্যন্ত নিরাপদে ছিলাম এ অঞ্চলের মানুষজন। এরপর থেকে শুরু হয় ঘাঘট নদীর ভাঙন। বর্ষা এলেই আতঙ্কে থাকতে হয়। হারাতে হয় বসতবাড়ি, গাছ, ফসলি জমি ও বাপদাদার কবরসহ নানা স্মৃতি। ২০০৭ সালের দিকে এসডিও নামের এক এনজিও ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ তৈরি করে। কিছুটা দুর্ভোগ কমে। পরে নদীর বাকি অংশে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেন ২০১৫ সালের দিকে তৎকালীন এমপি মন্জুরুল ইসলাম লিটন। এরপর থেকে বছর চারেক বেশ ভালোই ছিলাম আমরা। পরে ২০১৮ সালে জুলাইয়ের বন্যায় ভেঙে যায় সেই বেড়ি বাঁধের পুরো অংশ। শুরু হয় আবারও নদী ভাঙনের ভয়াবহতা।’ নদীর দিকে তাকিয়ে এভাবে কথাগুলো বলছিলেন ঘাঘট নদী পাড়ের মো. জামাল উদ্দিন।
জামাল উদ্দিন উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের মধ্য সাহাবাজ গ্রামের মো. অকফের আলী মন্ডলের ছেলে। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এমপি, ইউএনও, শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা আওয়ামী লীগে সভাপতিসহ এমন কোনো লোক নেই যাকে বিষয়টি জানানো হয়নি। কিন্তু কেউ গুরুত্ব দেয়নি। স্থায়ী সমাধানে লিখিত অভিযোগও দেওয়া আছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে।’
কথা হয় নদী পাড়ের আরেক বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব মো. ইছমাইল হোসেন মন্ডলের সঙ্গে। ঘাঘটকে তিনি রাক্ষসী নদী উপাধি দিয়ে বলেন, ‘আমার বসতবাড়ি কতো বার যে এ নদী খেয়েছে তা নিজেও বলতে পারব না। আবারও সরাতে হচ্ছে। তা না হলে দুই এক দিনের মধ্যে এ বাড়িটাও খেয়ে ফেলবে ও। এখন পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় যাব? কি করব? কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার যা হওয়ার তা হবে এতে চিন্তা করি না। খুব ভয় হচ্ছে বাচ্চাদের স্কুলটা নিয়ে। এটি নদীতে গেলে তাঁদের শিক্ষা দেওয়ার মতো আর কোনো স্কুল এ এলাকায় থাকবে না।’ স্কুলটি রক্ষার দাবি জানিয়েই কেঁদে ফেলেন হতো-দরিদ্র অন্ধ এই বৃদ্ধ।
কথা হয় সাহাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. সজিব মিয়ার সঙ্গে। সজিব বলে, নদী ভাঙতে ভাঙতে এখন স্কুল মাঠে এসেছে। সে কারণে অনেক দিন ধরে খেলাধুলা বন্ধ আছে। নদীতে পড়ে যাওয়ার ভয়ে স্যারেরা খেলতে দিচ্ছে না। আমাদেরও ভয় লাগে।
স্কুল মাঠে বসে থাকা অভিভাবক শিরিভান বেগম (৬০) বলেন, ‘নাতি আর নাতনিকে নিয়ে সকালে স্কুলে এসেছি। ছুটি হলে চলে যাব তাঁদের নিয়ে। ছোট বাচ্চা, যদি তারা নদীতে পড়ে যায় সে ভয়ে সারা দিন এখানে বসে থাকি।’
ভাঙনের মুখে থাকা মধ্য সাহাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘নদীর ভাঙন স্কুল মাঠের কাছাকাছি আসায় শিক্ষার্থীর উপস্থিতি অনেক কমে গেছে। বেশ কয়েক দিন ধরে খেলাধুলা বন্ধ আছে। খেললেই ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার বল নদীতে যায়। তা ছাড়া বাচ্চারাও পড়ে যেতে পারে। নদী ভাঙন রোধে দ্রুত স্থায়ী সমাধান না করলে যে কোনো মুহূর্তে স্কুলের ভবন দুটি ও শহীদ মিনার নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘লোক পাঠিয়ে খোঁজ নিচ্ছি দ্রুত। তথ্য পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে লিখব।’
যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ডিওসহ প্রতিনিধি পাঠাচ্ছি। খোঁজ নিয়ে তিনি জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডে জিও ব্যাগের জন্য আবেদন করবেন সেটিও বলেছি তাকে। আমি সরকারি কাজে দেশের বাইরে আছি। এলাকায় গিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাসহ ঘাঘট নদীর ওই এলাকা পরিদর্শন করব। এবং স্থায়ী সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘১৯৮০ সাল পর্যন্ত নিরাপদে ছিলাম এ অঞ্চলের মানুষজন। এরপর থেকে শুরু হয় ঘাঘট নদীর ভাঙন। বর্ষা এলেই আতঙ্কে থাকতে হয়। হারাতে হয় বসতবাড়ি, গাছ, ফসলি জমি ও বাপদাদার কবরসহ নানা স্মৃতি। ২০০৭ সালের দিকে এসডিও নামের এক এনজিও ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ তৈরি করে। কিছুটা দুর্ভোগ কমে। পরে নদীর বাকি অংশে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেন ২০১৫ সালের দিকে তৎকালীন এমপি মন্জুরুল ইসলাম লিটন। এরপর থেকে বছর চারেক বেশ ভালোই ছিলাম আমরা। পরে ২০১৮ সালে জুলাইয়ের বন্যায় ভেঙে যায় সেই বেড়ি বাঁধের পুরো অংশ। শুরু হয় আবারও নদী ভাঙনের ভয়াবহতা।’ নদীর দিকে তাকিয়ে এভাবে কথাগুলো বলছিলেন ঘাঘট নদী পাড়ের মো. জামাল উদ্দিন।
জামাল উদ্দিন উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের মধ্য সাহাবাজ গ্রামের মো. অকফের আলী মন্ডলের ছেলে। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এমপি, ইউএনও, শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা আওয়ামী লীগে সভাপতিসহ এমন কোনো লোক নেই যাকে বিষয়টি জানানো হয়নি। কিন্তু কেউ গুরুত্ব দেয়নি। স্থায়ী সমাধানে লিখিত অভিযোগও দেওয়া আছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে।’
কথা হয় নদী পাড়ের আরেক বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব মো. ইছমাইল হোসেন মন্ডলের সঙ্গে। ঘাঘটকে তিনি রাক্ষসী নদী উপাধি দিয়ে বলেন, ‘আমার বসতবাড়ি কতো বার যে এ নদী খেয়েছে তা নিজেও বলতে পারব না। আবারও সরাতে হচ্ছে। তা না হলে দুই এক দিনের মধ্যে এ বাড়িটাও খেয়ে ফেলবে ও। এখন পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় যাব? কি করব? কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার যা হওয়ার তা হবে এতে চিন্তা করি না। খুব ভয় হচ্ছে বাচ্চাদের স্কুলটা নিয়ে। এটি নদীতে গেলে তাঁদের শিক্ষা দেওয়ার মতো আর কোনো স্কুল এ এলাকায় থাকবে না।’ স্কুলটি রক্ষার দাবি জানিয়েই কেঁদে ফেলেন হতো-দরিদ্র অন্ধ এই বৃদ্ধ।
কথা হয় সাহাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. সজিব মিয়ার সঙ্গে। সজিব বলে, নদী ভাঙতে ভাঙতে এখন স্কুল মাঠে এসেছে। সে কারণে অনেক দিন ধরে খেলাধুলা বন্ধ আছে। নদীতে পড়ে যাওয়ার ভয়ে স্যারেরা খেলতে দিচ্ছে না। আমাদেরও ভয় লাগে।
স্কুল মাঠে বসে থাকা অভিভাবক শিরিভান বেগম (৬০) বলেন, ‘নাতি আর নাতনিকে নিয়ে সকালে স্কুলে এসেছি। ছুটি হলে চলে যাব তাঁদের নিয়ে। ছোট বাচ্চা, যদি তারা নদীতে পড়ে যায় সে ভয়ে সারা দিন এখানে বসে থাকি।’
ভাঙনের মুখে থাকা মধ্য সাহাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘নদীর ভাঙন স্কুল মাঠের কাছাকাছি আসায় শিক্ষার্থীর উপস্থিতি অনেক কমে গেছে। বেশ কয়েক দিন ধরে খেলাধুলা বন্ধ আছে। খেললেই ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার বল নদীতে যায়। তা ছাড়া বাচ্চারাও পড়ে যেতে পারে। নদী ভাঙন রোধে দ্রুত স্থায়ী সমাধান না করলে যে কোনো মুহূর্তে স্কুলের ভবন দুটি ও শহীদ মিনার নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘লোক পাঠিয়ে খোঁজ নিচ্ছি দ্রুত। তথ্য পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে লিখব।’
যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ডিওসহ প্রতিনিধি পাঠাচ্ছি। খোঁজ নিয়ে তিনি জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডে জিও ব্যাগের জন্য আবেদন করবেন সেটিও বলেছি তাকে। আমি সরকারি কাজে দেশের বাইরে আছি। এলাকায় গিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাসহ ঘাঘট নদীর ওই এলাকা পরিদর্শন করব। এবং স্থায়ী সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আজ শনিবার সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
৬ মিনিট আগেমাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৮ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৮ ঘণ্টা আগে