সপ্তাহ ধরে লাপাত্তা খাদ্যগুদামের কর্মকর্তা, চাল লোপাটের অভিযোগে তদন্ত কমিটি

দিনাজপুরে সরকারি খাদ্যগুদামে থাকা চাল আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক। জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কার্যালয় থেকে ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর ডুগডুগিহাট এলএসডি গুদামে উপস্থিত তদন্ত দল। এ সময় তারা গুদামে থাকা সরকারি চালের মজুতের প্রকৃত হিসাব ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে সেখানকার দুটি গুদামের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। দিনাজপুর জেলা সহকারী খাদ্যনিয়ন্ত্রক মোহন আহম্মেদ এ তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

তিনি বলেন, ‘সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে আমরা তদন্তে এসেছি। আমরা এলএসডি গুদামে মজুত থাকা চাল এবং রেজিস্ট্রার মিলিয়ে দেখছি। আজকেও (বৃহস্পতিবার) গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আমরা অনুপস্থিত পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে, অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হবে।’ 

তদন্ত কমিটির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঘোড়াঘাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান। বিকেল ৫টা পর্যন্ত গুদামের একটি কক্ষে থাকা চালের হিসাব বের করতে পেরেছে তদন্তকারী দল। আরেকটি কক্ষে থাকা চাল গণনার কাজ বাকি রয়েছে। 

ওই ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তার নাম আনোয়ারা বেগম (৫৪)। তিনি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার নুনিয়াগাড়ী গ্রামের আব্দুল মতিন মণ্ডলের স্ত্রী। আনোয়ারা বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ ঘোড়াঘাট উপজেলায় সরকারি এলএসডি গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ২ নম্বর পালশা ইউনিয়নের অন্তর্গত ডুগডুগিহাট এলএসডি গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গত ২৫ মার্চ থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। কোনো ধরনের ছুটি ছাড়াই অফিসে তিনি অনুপস্থিত। 

এ বিষয়ে গতকাল বুধবার ঘোড়াঘাট থানায় জিডি করেছেন উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক ইউনুছ আলী। তিনি জিডিতে উল্লেখ করেন, ‘গত ২৫ তারিখ থেকে সরকারি মালামাল নিয়ে তিনি অনুপস্থিত আছেন। তাঁর স্থানীয় ঠিকানায় বারবার নোটিশ পাঠালেও তিনি উপস্থিত হননি।’