হোসেন রায়হান, পঞ্চগড়
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতক পাস করেছেন জাহিদ হাসান (২৪)। স্বপ্ন বিসিএস তাঁর ক্যাডার হওয়ার। তাঁর পরিবারও নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল। কিন্তু স্বপ্ন শুরু না করতেই স্থবির হয়ে পরে তাঁদের সবকিছু। ধরা পড়ে জাহিদের কিডনির অসুস্থতা। চিকিৎসকেরা দুটি কিডনিই বিকল হওয়ার খবর জানান। বেঁচে থাকতে হলে কিডনি প্রতিস্থাপন করার বিকল্প নেই। এ অবস্থায় জাহিদের মা বুলি বেগম (৫৪) তাঁর একটি কিডনি ছেলেকে দিয়েছেন। মায়ের দেওয়া কিডনিতে জাহিদসহ পুরো পরিবারটিই এখন নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।
গত ২২ জানুয়ারি ঢাকার শ্যামলীতে সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি (সিকেডি) হাসপাতালে অস্ত্রোপচার শেষে মায়ের দেওয়া কিডনি জাহিদের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এরই মধ্যে হাসপাতাল থেকে শ্যামলীর ভাড়া বাড়িতে ফিরেছেন জাহিদ এবং তাঁর মা। অস্ত্রোপচারের কারণে কিছু শারীরিক জটিলতা থাকলেও তাঁরা এখন শঙ্কামুক্ত মনে দিন কাটাচ্ছেন।
জাহিদ হাসানের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের ঠেকরপাড়া গ্রামে। তিনি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক পাস করেছেন। স্নাতকোত্তরে ভর্তির আগেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২০০৪ সালে ১৮ বছর বয়সে জাহিদের এক বোন ব্লাড ক্যানসারে মারা যান। তখন বোনের চিকিৎসার পেছনে পরিবারকে অনেক টাকা খরচ করতে হয়েছে। একই বছরের নভেম্বর মাসেই মারা যান তাঁর বাবা। বাবা ছিলেন হানিফ পরিবহনের বাসচালক। সেই থেকেই পরিবারটি আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না।
কথা হয় জাহিদের বড় বোন নূর নাহারের সঙ্গে। তিনি ঢাকায় একটি সরকারি চাকরি করেন। জাহিদের পড়াশোনার খরচ তিনিই চালাতেন। নূর নাহার জানান, গত বছরের ১৭ অক্টোবর তাঁরা জানতে পারেন, জাহিদের দুটি কিডনিই কাজ করছে না। ২০১৯ সালেও একবার জাহিদের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়েছিল। তখন রংপুরে যে চিকিৎসককে দেখিয়েছিলেন, তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেননি। এবার যখন জাহিদের শরীর খারাপ হয়, তখন একেবারে শেষ ধাপ, তখন আর করার তেমন কিছু ছিল না। ১৭ অক্টোবরের পর ১৫ দিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন জাহিদ।
বড় বোন জানান, রংপুর ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে গত বছরের ৩ নভেম্বর সিকেডিতে ভর্তি করা হয় জাহিদকে। কিডনি প্রতিস্থাপনের আইনি বিষয় সুরাহার জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশনসহ সব প্রক্রিয়া শেষে গত ২২ জানুয়ারি রাতে মা ও জাহিদের অস্ত্রোপচার হয়।
নূর নাহার বলেন, ‘ভেবেছিলাম ভাইকে বাঁচানো যাবে না। এখন আমি আমার ভাইকে স্পর্শ করতে পারছি। ভাই চোখের সামনে, সুস্থ জীবনের পথে হাঁটছে-তার যে অনুভূতি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’
তিনি বলেন, সিকেডি হাসপাতালের প্যাকেজে দুজনের অস্ত্রোপচার এবং ১১ দিন হাসপাতালে থাকা বাবদ খরচ হয়েছে দুই লাখ ১০ হাজার টাকা। তবে বিভিন্ন পরীক্ষা ও ওষুধ বাবদ এ পর্যন্ত হাসপাতালে খরচ হয়েছে প্রায় সাত লাখ টাকা। এই টাকা জোগাড়ের জন্য তাঁর ৩০ শতাংশ জমি এবং আমাদের পৈতৃক ভিটা বিক্রি করতে হয়েছে। পাশাপাশি অনেকের সহযোগিতাও পেয়েছি। সবার প্রতিই কৃতজ্ঞতা জানান নূর নাহার।
জাহিদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘ভালো আছি, নতুন করে জন্ম নিলাম পৃথিবীর বুকে। জগৎ জুড়ে একটাই মধুর নাম ‘মা’। আর বোনকে নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই।’
জাহিদের মা বুলি বেগম বলেন, ‘চিকিৎসক যখন থেকে কিডনি প্রতিস্থাপনের কথা বলেছেন, তখন থেকেই বলেছি কিডনি দিতে হলে আমিই দিব। কারণ, মায়ের কাছে সন্তানের জীবনই আগে।’ ছেলের জন্য দোয়া চেয়েছেন বুলি বেগম। সুস্থ হয়ে ছেলে বিসিএস ক্যাডার হবে, সংসারের হাল ধরবে এই প্রত্যাশা তাঁর।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতক পাস করেছেন জাহিদ হাসান (২৪)। স্বপ্ন বিসিএস তাঁর ক্যাডার হওয়ার। তাঁর পরিবারও নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল। কিন্তু স্বপ্ন শুরু না করতেই স্থবির হয়ে পরে তাঁদের সবকিছু। ধরা পড়ে জাহিদের কিডনির অসুস্থতা। চিকিৎসকেরা দুটি কিডনিই বিকল হওয়ার খবর জানান। বেঁচে থাকতে হলে কিডনি প্রতিস্থাপন করার বিকল্প নেই। এ অবস্থায় জাহিদের মা বুলি বেগম (৫৪) তাঁর একটি কিডনি ছেলেকে দিয়েছেন। মায়ের দেওয়া কিডনিতে জাহিদসহ পুরো পরিবারটিই এখন নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।
গত ২২ জানুয়ারি ঢাকার শ্যামলীতে সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি (সিকেডি) হাসপাতালে অস্ত্রোপচার শেষে মায়ের দেওয়া কিডনি জাহিদের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এরই মধ্যে হাসপাতাল থেকে শ্যামলীর ভাড়া বাড়িতে ফিরেছেন জাহিদ এবং তাঁর মা। অস্ত্রোপচারের কারণে কিছু শারীরিক জটিলতা থাকলেও তাঁরা এখন শঙ্কামুক্ত মনে দিন কাটাচ্ছেন।
জাহিদ হাসানের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের ঠেকরপাড়া গ্রামে। তিনি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক পাস করেছেন। স্নাতকোত্তরে ভর্তির আগেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২০০৪ সালে ১৮ বছর বয়সে জাহিদের এক বোন ব্লাড ক্যানসারে মারা যান। তখন বোনের চিকিৎসার পেছনে পরিবারকে অনেক টাকা খরচ করতে হয়েছে। একই বছরের নভেম্বর মাসেই মারা যান তাঁর বাবা। বাবা ছিলেন হানিফ পরিবহনের বাসচালক। সেই থেকেই পরিবারটি আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না।
কথা হয় জাহিদের বড় বোন নূর নাহারের সঙ্গে। তিনি ঢাকায় একটি সরকারি চাকরি করেন। জাহিদের পড়াশোনার খরচ তিনিই চালাতেন। নূর নাহার জানান, গত বছরের ১৭ অক্টোবর তাঁরা জানতে পারেন, জাহিদের দুটি কিডনিই কাজ করছে না। ২০১৯ সালেও একবার জাহিদের শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়েছিল। তখন রংপুরে যে চিকিৎসককে দেখিয়েছিলেন, তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেননি। এবার যখন জাহিদের শরীর খারাপ হয়, তখন একেবারে শেষ ধাপ, তখন আর করার তেমন কিছু ছিল না। ১৭ অক্টোবরের পর ১৫ দিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন জাহিদ।
বড় বোন জানান, রংপুর ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে গত বছরের ৩ নভেম্বর সিকেডিতে ভর্তি করা হয় জাহিদকে। কিডনি প্রতিস্থাপনের আইনি বিষয় সুরাহার জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশনসহ সব প্রক্রিয়া শেষে গত ২২ জানুয়ারি রাতে মা ও জাহিদের অস্ত্রোপচার হয়।
নূর নাহার বলেন, ‘ভেবেছিলাম ভাইকে বাঁচানো যাবে না। এখন আমি আমার ভাইকে স্পর্শ করতে পারছি। ভাই চোখের সামনে, সুস্থ জীবনের পথে হাঁটছে-তার যে অনুভূতি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’
তিনি বলেন, সিকেডি হাসপাতালের প্যাকেজে দুজনের অস্ত্রোপচার এবং ১১ দিন হাসপাতালে থাকা বাবদ খরচ হয়েছে দুই লাখ ১০ হাজার টাকা। তবে বিভিন্ন পরীক্ষা ও ওষুধ বাবদ এ পর্যন্ত হাসপাতালে খরচ হয়েছে প্রায় সাত লাখ টাকা। এই টাকা জোগাড়ের জন্য তাঁর ৩০ শতাংশ জমি এবং আমাদের পৈতৃক ভিটা বিক্রি করতে হয়েছে। পাশাপাশি অনেকের সহযোগিতাও পেয়েছি। সবার প্রতিই কৃতজ্ঞতা জানান নূর নাহার।
জাহিদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘ভালো আছি, নতুন করে জন্ম নিলাম পৃথিবীর বুকে। জগৎ জুড়ে একটাই মধুর নাম ‘মা’। আর বোনকে নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই।’
জাহিদের মা বুলি বেগম বলেন, ‘চিকিৎসক যখন থেকে কিডনি প্রতিস্থাপনের কথা বলেছেন, তখন থেকেই বলেছি কিডনি দিতে হলে আমিই দিব। কারণ, মায়ের কাছে সন্তানের জীবনই আগে।’ ছেলের জন্য দোয়া চেয়েছেন বুলি বেগম। সুস্থ হয়ে ছেলে বিসিএস ক্যাডার হবে, সংসারের হাল ধরবে এই প্রত্যাশা তাঁর।
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পদ্মা নদীতে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে বিশাল আকারের চিতল মাছ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের সেলিমপুর থেকে হরিনা ঘাটের মাঝামাঝি এলাকায় মাছটি ধরা পড়ে।
১১ মিনিট আগেগাইবান্ধায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতাকে ছুরিকাঘাতের মামলায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকেলে গাইবান্ধা সরকারি কলেজ গেট থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত ফেরদৌস আহমেদ নেহাল (২৫) সাঘাটা উপজেলার হাট ভরতখালি গ্রামের বাসিন্দা।
২৮ মিনিট আগেনোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
৩২ মিনিট আগেরাজশাহীর পুঠিয়ায় খাস পুকুর ও দিঘি ইজারার দরপত্র জমা দেওয়া নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে ৮ থেকে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় দলীয় কার্যালয় ও তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ব্যর্থ হলে পরে সেনাবাহিনী গিয়ে তা স্বাভাবিক করে।
১ ঘণ্টা আগে