সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
সার্ভার সমস্যার কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের ভূমি অফিসগুলো। জেলার ৪২টি ইউনিয়ন ভূমি উন্নয়ন কর অফিসে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে খাজনা পরিশোধ ও মিউটেশন কার্যক্রম। এতে একদিকে যেমন দুর্ভোগে পড়েছেন সেবাপ্রত্যাশীরা, অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ১০-১৫ দিন সার্ভার কখনো কাজ করে, কখনো একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। এতে শুধু সাধারণ মানুষ না, ভূমি অফিসের লোকজনও প্রতিদিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
জেলা প্রশাসন বলছে, বিষয়টি তারা জানে। সমাধানে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সার্ভারের কারিগরি জটিলতার কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।
গতকাল রোববার সরেজমিনে সদর উপজেলার জামালপুর ও রায়পুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস ঘুরে দেখা যায়, করদাতারা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও ফিরে যাচ্ছেন সেবা না পেয়ে। তাঁরা জানান, সার্ভার না থাকায় কোনো লেনদেন সম্ভব হচ্ছে না। এমনই একজন ভুক্তভোগী কাচনাতুলি এলাকার বাসিন্দা সাইরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি জমি রেজিস্ট্রির জন্য খাজনার রসিদ নিতে গত এক সপ্তাহ অফিসে যাওয়া-আসা করছি। কিন্তু সার্ভার না থাকায় রসিদ পাচ্ছি না, রেজিস্ট্রিও আটকে আছে। এতে আমি বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছি।’
ক্ষোভ প্রকাশ করেন সেবা নিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়া কৃষক আবু হাসনাত রাব্বি। তিনি বলেন, ‘গেল ৫-৬ দিন ধরে আসছি খাজনা দিতে। কিন্তু ফিরে যেতে হচ্ছে।’ এ কৃষক বলেন, ‘সরকারকে কর দিতে এসেও যখন সেবা পাওয়া যায় না, তখন হতাশ লাগে।’
রায়পুর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ‘গত ১০-১৫ দিন সার্ভার কখনো কাজ করে, কখনো একেবারে বন্ধ হয়ে যায়।’ তিনি বলেন, ‘এতে শুধু সাধারণ মানুষই নয়, আমরাও প্রতিদিন হয়রানির শিকার হচ্ছি।’
শহরের পৌরসভা ও আকচা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ভূমি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন প্রচুর মানুষ আসে, কিন্তু তাদের কাউকেই সেবা দিতে পারছি না।’
এ কর্মকর্তা বলেন, মিউটেশন তো বন্ধই, খাজনাও জমা হচ্ছে না। ফলে সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘শুধু আমাদের অফিস থেকেই প্রতি মাসে চার-পাঁচ লাখ টাকা আয় হতো, সেটিও এখন বন্ধ।’
সালান্দর ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান মৌলয় বলেন, ‘মিউটেশন, নামজারি, খাজনাসহ কোনো সেবাই দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ আমাদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়ছে। আমরাও অসহায়।’
বিষয়টি নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইশরাত ফারজানার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘সার্ভার সমস্যার কথা আমরা অবগত এবং তা সমাধানে সর্বোচ্চ গুরুত্বে কাজ করছি।’ জেলা প্রশাসক আরও বলেন, মূলত কেন্দ্রীয় সার্ভারের কারিগরি জটিলতার কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।
সার্ভার সমস্যার কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের ভূমি অফিসগুলো। জেলার ৪২টি ইউনিয়ন ভূমি উন্নয়ন কর অফিসে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে খাজনা পরিশোধ ও মিউটেশন কার্যক্রম। এতে একদিকে যেমন দুর্ভোগে পড়েছেন সেবাপ্রত্যাশীরা, অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ১০-১৫ দিন সার্ভার কখনো কাজ করে, কখনো একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। এতে শুধু সাধারণ মানুষ না, ভূমি অফিসের লোকজনও প্রতিদিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
জেলা প্রশাসন বলছে, বিষয়টি তারা জানে। সমাধানে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সার্ভারের কারিগরি জটিলতার কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।
গতকাল রোববার সরেজমিনে সদর উপজেলার জামালপুর ও রায়পুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস ঘুরে দেখা যায়, করদাতারা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও ফিরে যাচ্ছেন সেবা না পেয়ে। তাঁরা জানান, সার্ভার না থাকায় কোনো লেনদেন সম্ভব হচ্ছে না। এমনই একজন ভুক্তভোগী কাচনাতুলি এলাকার বাসিন্দা সাইরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি জমি রেজিস্ট্রির জন্য খাজনার রসিদ নিতে গত এক সপ্তাহ অফিসে যাওয়া-আসা করছি। কিন্তু সার্ভার না থাকায় রসিদ পাচ্ছি না, রেজিস্ট্রিও আটকে আছে। এতে আমি বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছি।’
ক্ষোভ প্রকাশ করেন সেবা নিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়া কৃষক আবু হাসনাত রাব্বি। তিনি বলেন, ‘গেল ৫-৬ দিন ধরে আসছি খাজনা দিতে। কিন্তু ফিরে যেতে হচ্ছে।’ এ কৃষক বলেন, ‘সরকারকে কর দিতে এসেও যখন সেবা পাওয়া যায় না, তখন হতাশ লাগে।’
রায়পুর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ‘গত ১০-১৫ দিন সার্ভার কখনো কাজ করে, কখনো একেবারে বন্ধ হয়ে যায়।’ তিনি বলেন, ‘এতে শুধু সাধারণ মানুষই নয়, আমরাও প্রতিদিন হয়রানির শিকার হচ্ছি।’
শহরের পৌরসভা ও আকচা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ভূমি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন প্রচুর মানুষ আসে, কিন্তু তাদের কাউকেই সেবা দিতে পারছি না।’
এ কর্মকর্তা বলেন, মিউটেশন তো বন্ধই, খাজনাও জমা হচ্ছে না। ফলে সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘শুধু আমাদের অফিস থেকেই প্রতি মাসে চার-পাঁচ লাখ টাকা আয় হতো, সেটিও এখন বন্ধ।’
সালান্দর ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান মৌলয় বলেন, ‘মিউটেশন, নামজারি, খাজনাসহ কোনো সেবাই দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ আমাদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়ছে। আমরাও অসহায়।’
বিষয়টি নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইশরাত ফারজানার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘সার্ভার সমস্যার কথা আমরা অবগত এবং তা সমাধানে সর্বোচ্চ গুরুত্বে কাজ করছি।’ জেলা প্রশাসক আরও বলেন, মূলত কেন্দ্রীয় সার্ভারের কারিগরি জটিলতার কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রতিদিনের মতো অফিসে কাজ করতে গিয়ে একটি রুমের ভেতর শব্দ শুনতে পান। বিষয়টি অন্যদের জানালে তাঁরা এসে আগুন দেখতে পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
১৬ মিনিট আগেবান্দরবান জেলার চিম্বুক এলাকার রাংলাই চেয়ারম্যানপাড়ায় বিদ্যুতায়িত হয়ে একই পরিবারের দুইজনসহ তিন ম্রো নারীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে বান্দরবান চিম্বুক সড়কের ১৩ মাইল এলাকার রাংলাই হেডম্যান পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন-রেংথেন ম্রো এর মেয়ে তুমলে ম্রো (১৭) পারাও ম্রো...
১ ঘণ্টা আগেবামোনগ্রাম মাঠে সরেজমিন দেখা যায়, মাটি থেকে ১৫-২০ সেন্টিমিটার উঁচু লম্বা বেড তৈরি করে মালচিং পেপার (পলিথিনের মতো) দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। প্রতি চার হাত অন্তর বেড বসানো, চারপাশে নিখুঁত জালের বেড়া এবং ওপরে সুতা টেনে মাচা তৈরির কাজ চলছে। কৃষকেরা জানালেন, কয়েক দিনের মধ্যে গাছে জালি (মুকুল) আসবে, এরপর ধীর
১ ঘণ্টা আগেরাঙামাটির নানিয়ারচরে খাদ্যগুদামে নিম্নমানের আতপ চাল সরবরাহ ও গুদামে চাল কম রাখা-সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। অভিযানে অনিয়মের একাধিক প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
২ ঘণ্টা আগে