Ajker Patrika

ঠাকুরগাঁওয়ে ভূমিসেবা থমকে আছে সার্ভারের সমস্যায়

  • সার্ভার সমস্যায় অচল জেলার ৪২টি ইউনিয়ন ভূমি উন্নয়ন কর অফিস।
  • প্রায় দুই সপ্তাহ বন্ধ খাজনা পরিশোধ ও মিউটেশন কার্যক্রম।
  • সেবা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ, হয়রান কর্মকর্তারাও।
সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও 
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৭: ৪৫
সার্ভার ঠিক হওয়ার অপেক্ষায় বসে আছেন সেবাপ্রার্থীরা। গতকাল ঠাকুরগাঁওয়ের পৌরসভা ও আকচা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ভূমি অফিসের চিত্র এটি। আজকের পত্রিকা
সার্ভার ঠিক হওয়ার অপেক্ষায় বসে আছেন সেবাপ্রার্থীরা। গতকাল ঠাকুরগাঁওয়ের পৌরসভা ও আকচা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ভূমি অফিসের চিত্র এটি। আজকের পত্রিকা

সার্ভার সমস্যার কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের ভূমি অফিসগুলো। জেলার ৪২টি ইউনিয়ন ভূমি উন্নয়ন কর অফিসে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে খাজনা পরিশোধ ও মিউটেশন কার্যক্রম। এতে একদিকে যেমন দুর্ভোগে পড়েছেন সেবাপ্রত্যাশীরা, অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ১০-১৫ দিন সার্ভার কখনো কাজ করে, কখনো একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। এতে শুধু সাধারণ মানুষ না, ভূমি অফিসের লোকজনও প্রতিদিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

জেলা প্রশাসন বলছে, বিষয়টি তারা জানে। সমাধানে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সার্ভারের কারিগরি জটিলতার কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।

গতকাল রোববার সরেজমিনে সদর উপজেলার জামালপুর ও রায়পুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস ঘুরে দেখা যায়, করদাতারা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও ফিরে যাচ্ছেন সেবা না পেয়ে। তাঁরা জানান, সার্ভার না থাকায় কোনো লেনদেন সম্ভব হচ্ছে না। এমনই একজন ভুক্তভোগী কাচনাতুলি এলাকার বাসিন্দা সাইরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি জমি রেজিস্ট্রির জন্য খাজনার রসিদ নিতে গত এক সপ্তাহ অফিসে যাওয়া-আসা করছি। কিন্তু সার্ভার না থাকায় রসিদ পাচ্ছি না, রেজিস্ট্রিও আটকে আছে। এতে আমি বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছি।’

ক্ষোভ প্রকাশ করেন সেবা নিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়া কৃষক আবু হাসনাত রাব্বি। তিনি বলেন, ‘গেল ৫-৬ দিন ধরে আসছি খাজনা দিতে। কিন্তু ফিরে যেতে হচ্ছে।’ এ কৃষক বলেন, ‘সরকারকে কর দিতে এসেও যখন সেবা পাওয়া যায় না, তখন হতাশ লাগে।’

রায়পুর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ‘গত ১০-১৫ দিন সার্ভার কখনো কাজ করে, কখনো একেবারে বন্ধ হয়ে যায়।’ তিনি বলেন, ‘এতে শুধু সাধারণ মানুষই নয়, আমরাও প্রতিদিন হয়রানির শিকার হচ্ছি।’

শহরের পৌরসভা ও আকচা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ভূমি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন প্রচুর মানুষ আসে, কিন্তু তাদের কাউকেই সেবা দিতে পারছি না।’

এ কর্মকর্তা বলেন, মিউটেশন তো বন্ধই, খাজনাও জমা হচ্ছে না। ফলে সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘শুধু আমাদের অফিস থেকেই প্রতি মাসে চার-পাঁচ লাখ টাকা আয় হতো, সেটিও এখন বন্ধ।’

সালান্দর ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান মৌলয় বলেন, ‘মিউটেশন, নামজারি, খাজনাসহ কোনো সেবাই দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ আমাদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়ছে। আমরাও অসহায়।’

বিষয়টি নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইশরাত ফারজানার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘সার্ভার সমস্যার কথা আমরা অবগত এবং তা সমাধানে সর্বোচ্চ গুরুত্বে কাজ করছি।’ জেলা প্রশাসক আরও বলেন, মূলত কেন্দ্রীয় সার্ভারের কারিগরি জটিলতার কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পারটেক্স এমডি রুবেল আজিজের ১১৬ কোটি টাকার সম্পত্তি নিলামে তুলছে ব্যাংক এশিয়া

মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যা মামলার আসামি দুই ভাই নেত্রকোনায় গ্রেপ্তার

পাওনা টাকা চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধরের পর বললেন, ‘আমি যুবদলের সভাপতি, জানস?’

যশোরে কেন্দ্রের ভুলে বিজ্ঞানের ৪৮ জন ফেল, সংশোধনে জিপিএ-৫ পেল সবাই

গণভবনকে বাস্তিল দুর্গের সঙ্গে তুলনা করলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত