Ajker Patrika

ডলার-তেলের প্রভাবে অস্থির চালের বাজার

আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর
আপডেট : ১১ আগস্ট ২০২২, ০৫: ৪৯
ডলার-তেলের প্রভাবে অস্থির চালের বাজার

ডলার ও জ্বালানি তেলের বাড়তি দামের প্রভাব পড়ছে সবকিছুতেই। বাজারে একদিকে ধানের সরবরাহ কম থাকায় বাড়ছে দাম, অন্যদিকে ডলারের দাম বৃদ্ধির ফলে আমদানিকারকেরা চাল আমদানি করছেন না। সব মিলিয়ে অস্থির দিনাজপুরে চালের বাজার। প্রতিদিনই বাড়ছে দাম।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বাজারে চালের দাম গত এক সপ্তাহে কেজিপ্রতি ২ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে। অন্যদিকে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘খাদ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসন নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছে। ধান-চালের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে দাম বাড়ছে এ ধরনের একটি গুঞ্জন রয়েছে।’

শহরের বাহাদুর বাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা জানান, সপ্তাহখানেক ধরে প্রতিদিনই চালের দাম বাড়ছে। আবার চাহিদা অনুযায়ী দিচ্ছেন না মিলাররা। গতকাল বুধবার পাইকারি বাজারে গুটি স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে, আটাশ ৫৭ থেকে ৫৮ টাকা, উনত্রিশ ৫২ থেকে ৫৩, মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৮, পাইজাম ৪৮ থেকে ৫০, নাজিরশাইল ৮০, সিদ্ধ কাটারি ১০৪ থেকে ১১০ টাকা, আর আতপ চাল প্রকারভেদে ৯৬ থেকে ১১৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

বাংলাদেশ অটো, মেজর ও হাস্কিং রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি সহিদুর রহমান পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, যদিও এই সময়ে ধানের দাম বৃদ্ধির কোনো 
যৌক্তিক কারণ নেই, তবু ধানের দাম বাড়ছে। আর ধানের দাম বাড়লে চালের বাড়বে—এটাই স্বাভাবিক।

তিনি আরও বলেন, সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু বেসরকারি ব্যাংকগুলো সরকার নির্ধারিত ডলার রেট মানছে না। ফলে অতিরিক্ত মূল্যে চাল আমদানি করে আমদানিকারকেরা পোষাতে পারছেন না। 
জেলার বিরল, বীরগঞ্জ, বাহাদুর বাজার ও পুলহাটের বিভিন্ন অটোরাইস মিল ঘুরে জানা গেছে, বর্তমানে ধান-চালের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই বাড়ছে ধান ও চালের দাম। মিলমালিকেরা জানান, বাজারে তেলের দাম বাড়ার খবরে হঠাৎই ধানের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এক সপ্তাহে বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে দেড় শ থেকে ২০০ টাকা। যদিও এর যৌক্তিক কারণ নেই। কেননা বাজারে যে ধান পাওয়া যাচ্ছে, তা বিগত মৌসুমের ধান। তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। আবার বাজারে ধানের সরবরাহও কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। বর্তমানে কৃষকের কাছে ধান না থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ও মজুতদারেরা। ফলে ধানের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় অনেক মিলমালিক উৎপাদন বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন।

আবার ডলারের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানির অনুমতি থাকা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীরা চাল আমদানিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতের বাজারে গত বছরের তুলনায় চালের দাম কিছুটা কম থাকলেও ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় চাল আমদানি করলে শতকরা ২৫ থেকে ২৭ ভাগ দাম বেড়ে যাচ্ছে। ফলে আমদানি করলেও তার সুফল পাওয়া যাবে না।

বাহাদুর বাজারের চাল ব্যবসায়ী এরশাদ হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিনই চালের দাম বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা। খুচরা বাজারে আরও ১-২ টাকা বেড়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

এনআইডির তথ্য ফাঁস করে ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ জিয়াউলের বিরুদ্ধে

সাতকানিয়ায় নিহত জামায়াত কর্মীর লাশের পাশে ব্রাজিলের তৈরি অত্যাধুনিক পিস্তল

এইচএসসি পাসেই রাবিতে প্রথম শ্রেণির চাকরি!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত