Ajker Patrika

অভাবের তাড়নায় দত্তক দেওয়া নবজাতক প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ফিরল পরিবারে

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
অভাবের তাড়নায় দত্তক দেওয়া নবজাতক প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ফিরল পরিবারে

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে অভাবের তাড়নায় দত্তক দেওয়া নবজাতকটিকে (কন্যা) মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে আনুষ্ঠানিকতা শেষে নবজাতকটিকে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

নবজাতকটি উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের বানুরকুটি গ্রামের দরিদ্র শফিকুল-মরিয়ম দম্পতির পঞ্চম সন্তান। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাতে জন্ম নেয়। নবজাতকটির মা-বাবা শনিবার লাকী-আলমগীর নামের এক দম্পতির কাছে তাকে দত্তক দেন। 

দুই দিনের দুধের নবজাতককে দত্তক দেওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নবজাতকটিকে পরিবারে ফিরিয়ে আনা হয়। অভিযোগ উঠেছিলে ওই নবজাতককে তার বাবা শফিকুল ইসলাম ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। 

অভিযোগ অস্বীকার করে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে সন্তানকে অন্যের কাছে বিক্রি করিনি। অভাবের সংসারে এতগুলো সন্তানের ভরণপোষণ করতে পারব না ভেবে দত্তক দিয়েছিলাম। শিশুটি যাতে অন্যের ঘরে ভালো থাকে। অভাবের কারণে এর আগে আরেকটি মেয়েকে দত্তক দিয়েছি। দুধের নবজাতকটি পরিবারে ফিরে এসেছে এতে ভালো লাগছে। তবে চার সন্তানের ভরণপোষণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।’ 

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, অভাবের তাড়নায় নবজাতককে দত্তক দেওয়ার খবর পাওয়ার পর উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শিশুটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের নিকট ফেরত দেওয়া হয়েছে। ওই দম্পতি এর আগেও এমন একটি ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাদের সতর্ক করা হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটায়। শফিকুলের পরিবারকে সরকারি সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত