Ajker Patrika

ধর্ষণচেষ্টার মামলা করে বিপাকে পড়ার অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ জুন ২০২২, ১৯: ২৬
ধর্ষণচেষ্টার মামলা করে বিপাকে পড়ার অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের

পঞ্চগড়ে যুবকের বিরুদ্ধে মারধর, শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করে এক ভুক্তভোগীর পরিবার বিপাকে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। থানায় মামলা দায়েরের পর আসামিরা ভুক্তভোগীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে অভিযোগ ওই ভুক্তভোগীর পরিবারের। সেই সঙ্গে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ গড়িমসি করছে বলেও অভিযোগ তাদের।

এ ঘটনা ঘটেছে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার দণ্ডপাল ইউনিয়নের কালীগঞ্জ এলাকায়।

ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, দেবীগঞ্জ উপজেলার দণ্ডপাল ইউনিয়নের ঢাকাইয়াপাড়া গ্রামের ইমরুল কায়েসের ছেলে নয়ন ইসলাম (২০) ওই ভুক্তভোগীর সঙ্গে বিয়ের আশ্বাসে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সেই সূত্রে অভিযুক্ত নয়ন গত ২০ মে ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এতে ভুক্তভোগী চিৎকার শুরু করলে অভিযুক্ত নয়ন পালিয়ে যান। পরে একই দিন বিকেলে নয়নের বাড়িতে গিয়ে ওই ভুক্তভোগী ঘটনা খুলে বললে নয়নের পরিবারের লোকজন তাঁকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

ভুক্তভোগী ওই তরুণী জানান, তাঁরা দুজন একই কলেজে পড়ালেখার সুবাদে তাঁদের মধ্যে প্রতিনিয়ত দেখা-সাক্ষাৎ হতো। একপর্যায়ে নয়ন প্রেমের প্রস্তাব দিতে থাকে ভুক্তভোগীকে। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে বিয়ে করার আশ্বাস দেন নয়ন। এতে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সূত্র ধরেই নয়নের সঙ্গে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতেও গিয়েছিলেন তিনি।

ওই ভুক্তভোগী আরও বলেন, ‘আমি নয়নের বাবা-মাকে আমাদের সম্পর্কের কথা বলতে গিয়েছিলাম। তাঁরা কোনো কথা না শুনেই আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এ ঘটনায় আমি ১ জুন নয়ন ইসলামকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে দেবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছি।’

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তরুণীর মা বলেন, ‘মামলা করার পর থেকেই নয়নের পরিবারের লোকজন আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগও করেছে তারা। এদিকে মামলা করার কত দিন হয়ে গেল, আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে অথচ পুলিশ কাউকেই আটক করছে না। তাহলে কি আমরা ন্যায়বিচার পাব না?’

এদিকে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত নয়নের পরিবার। মুঠোফোনে অভিযুক্ত নয়নের বাবা ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, ‘আমার ছেলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ষড়যন্ত্রমূলক। মামলায় দেখানো ঘটনার তারিখে আমার ছেলে এলাকাতেই ছিল না। তা ছাড়া আমার ছেলে ওই মেয়ের চেয়ে ৪ বছরের ছোট। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হতেই পারে না। আর ওই তরুণীকে কোনো মারধর করা হয়নি।’

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিরা পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপির পদযাত্রা উপলক্ষে ‘স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত’, প্রধান শিক্ষকের দুই রকম বক্তব্য

লজ্জায় ধর্ষণের শিকার মায়ের আত্মহত্যা: ৮ বছরের মেয়েটি যাবে কোথায়

হিন্দু মন্দির নিয়ে কেন সংঘাতে জড়াল বৌদ্ধ-অধ্যুষিত থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

বলিদান ও শয়তান পূজার বুদ্ধি দিল চ্যাটজিপিটি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মহড়া শুরু, চলবে ৩০ জুলাই পর্যন্ত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত