বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের বদরগঞ্জে আব্দুল মজিদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি কালুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিক (৫৫) প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করছে নিহত ব্যক্তির পরিবারসহ এলাকার লোকজন। থানা-পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারে বাধা নেই, তবে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
নিহত আব্দুল মজিদ দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী ছিলেন। তাঁর বাড়ি দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার জমিরেরহাট তকেয়া গ্রামে।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ মে দুপুরে টাকা দেওয়া-নেওয়াকে কেন্দ্র করে আব্দুল মজিদকে ইউপি চেয়ারম্যানের গ্রামের বাড়ি শংকরপুর সরকার পাড়ায় তুলে নিয়ে মারধর করেন ইউপি চেয়ারম্যান মানিক, তাঁর ছেলে তমালসহ কয়েকজন। এরপর ওই দিন রাত ৮টার দিকে মজিদ চেয়ারম্যানের বাড়ির ঘাটের ওপর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে দুই ব্যক্তি তাঁকে ভ্যানে করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় প্রচার চালানো হয় মজিদ উপজেলা সিও রোডে হঠাৎ মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান। ওই দুই ব্যক্তি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মজিদকে মৃত ঘোষণা করলে ওই দুই ব্যক্তি হাসপাতাল থেকে সটকে পড়েন। ঘটনার ছয় দিন পর ২ জুন মজিদের স্ত্রী বিলকিস বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে বদরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, মজিদের সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য সাইদারের সখ্য ছিল। সাইদার নানা কৌশলে তাঁর কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই তাঁকে মেরে ফেলা হয়।
এদিকে ওই দিনই এজাহারভুক্ত আসামি সাবেক ইউপি সদস্য সাইদারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে দুদিনের রিমান্ড নিলে তিনি চেয়ারম্যান মানিকের নেতৃত্বে মজিদকে হত্যার দায় স্বীকার করেন।
মামলার বাদী বিলকিস বলেন, ‘২০-২৫ দিন আগে রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাঁর অফিসে ডেকে নিয়ে বলেন, ‘‘আপনার স্বামীকে মানিকসহ তাঁর লোকজন হত্যা করেছেন। একজনকে রিমান্ডে নেওয়ার পর এ তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।’’ কিন্তু মানিক চেয়ারম্যান এলাকায় ফুলের মালা নিয়ে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ ধরছে না।’
নিহত আব্দুল মজিদের ছেলে সাকিব অভিযোগ করে বলেন, ‘বাবাকে মারপিটে হত্যা করল চেয়ারম্যান মানিক ও তাঁর লোকজন। অথচ পুলিশ তাঁকে ধরছে না। তিনি হত্যা মামলার মূল আসামি হয়েও প্রকাশ্যে ফুলের মালা গলায় দিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে আমরা হতাশ।’
এদিকে স্থানীয় লোকজন বলছেন, মানিক চেয়ারম্যান বেশ কয়েকটি ছবি ফেসবুকে দিয়েছেন। সম্প্রতি সপরিবার তিনি কুয়াকাটায় ভ্রমণে গিয়েছিলেন। ঈদের আগে তিনি খাদ্যগুদাম থেকে ভিজিএফের চাল তোলেন। গত সোমবার দুপুরে তিনি তাঁর ইউনিয়নের মহদীপুর উচ্চবিদ্যালয়ে যান। সেখানে তাঁর হাতে ফুলের তোড়া দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ও দলিল লেখক জাদু মিয়া। এরপর ওই স্কুলের প্রাক্তন এক ছাত্রী তাঁর গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দেন। এই ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে এলাকার মানুষ বিস্মিত হন।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান মানিককে আমন্ত্রণ জানাইনি। হঠাৎ সোমবার দুপুরে তিনি বিদ্যালয়ে আসেন। আমার কার্যালয়ে তাঁকে চা-নাশতা করার সময়ে দলিল লেখক জাদু লোকজন নিয়ে চেয়ারম্যানকে ফুলের তোড়া দেন। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী তাঁর গলায় ফুলের মালা দেন। আমার কক্ষে এসব হবে তা আমি আগে জানতাম না।’
এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নূর আলম সিদ্দিক বলেন, মজিদ হত্যার মামলার আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মানিকসহ বেশ কয়েকজন। অচিরেই তাঁকেসহ অন্যান্য আসামিকে গ্রেপ্তার করা হবে।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক থানা-পুলিশের একজন বলেন, ‘ওপরের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত মানিককে গ্রেপ্তার করতে পারছে না থানা-পুলিশ।’
এ বিষয়ে বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মানিককে গ্রেপ্তারে বাধা নেই। তবে তাঁকে খুঁজে পাচ্ছি না।’ এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘তাঁর ফুলের মালা গলায় দিয়ে ঘুরে বেড়ানোর ঘটনা কেউ আমাকে জানায়নি।’
এ নিয়ে রংপুর জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ওসির সঙ্গে কথা বলব।’
রংপুরের বদরগঞ্জে আব্দুল মজিদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি কালুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিক (৫৫) প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করছে নিহত ব্যক্তির পরিবারসহ এলাকার লোকজন। থানা-পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারে বাধা নেই, তবে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
নিহত আব্দুল মজিদ দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী ছিলেন। তাঁর বাড়ি দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার জমিরেরহাট তকেয়া গ্রামে।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ মে দুপুরে টাকা দেওয়া-নেওয়াকে কেন্দ্র করে আব্দুল মজিদকে ইউপি চেয়ারম্যানের গ্রামের বাড়ি শংকরপুর সরকার পাড়ায় তুলে নিয়ে মারধর করেন ইউপি চেয়ারম্যান মানিক, তাঁর ছেলে তমালসহ কয়েকজন। এরপর ওই দিন রাত ৮টার দিকে মজিদ চেয়ারম্যানের বাড়ির ঘাটের ওপর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে দুই ব্যক্তি তাঁকে ভ্যানে করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় প্রচার চালানো হয় মজিদ উপজেলা সিও রোডে হঠাৎ মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান। ওই দুই ব্যক্তি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মজিদকে মৃত ঘোষণা করলে ওই দুই ব্যক্তি হাসপাতাল থেকে সটকে পড়েন। ঘটনার ছয় দিন পর ২ জুন মজিদের স্ত্রী বিলকিস বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে বদরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, মজিদের সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য সাইদারের সখ্য ছিল। সাইদার নানা কৌশলে তাঁর কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই তাঁকে মেরে ফেলা হয়।
এদিকে ওই দিনই এজাহারভুক্ত আসামি সাবেক ইউপি সদস্য সাইদারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে দুদিনের রিমান্ড নিলে তিনি চেয়ারম্যান মানিকের নেতৃত্বে মজিদকে হত্যার দায় স্বীকার করেন।
মামলার বাদী বিলকিস বলেন, ‘২০-২৫ দিন আগে রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাঁর অফিসে ডেকে নিয়ে বলেন, ‘‘আপনার স্বামীকে মানিকসহ তাঁর লোকজন হত্যা করেছেন। একজনকে রিমান্ডে নেওয়ার পর এ তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।’’ কিন্তু মানিক চেয়ারম্যান এলাকায় ফুলের মালা নিয়ে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ ধরছে না।’
নিহত আব্দুল মজিদের ছেলে সাকিব অভিযোগ করে বলেন, ‘বাবাকে মারপিটে হত্যা করল চেয়ারম্যান মানিক ও তাঁর লোকজন। অথচ পুলিশ তাঁকে ধরছে না। তিনি হত্যা মামলার মূল আসামি হয়েও প্রকাশ্যে ফুলের মালা গলায় দিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে আমরা হতাশ।’
এদিকে স্থানীয় লোকজন বলছেন, মানিক চেয়ারম্যান বেশ কয়েকটি ছবি ফেসবুকে দিয়েছেন। সম্প্রতি সপরিবার তিনি কুয়াকাটায় ভ্রমণে গিয়েছিলেন। ঈদের আগে তিনি খাদ্যগুদাম থেকে ভিজিএফের চাল তোলেন। গত সোমবার দুপুরে তিনি তাঁর ইউনিয়নের মহদীপুর উচ্চবিদ্যালয়ে যান। সেখানে তাঁর হাতে ফুলের তোড়া দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ও দলিল লেখক জাদু মিয়া। এরপর ওই স্কুলের প্রাক্তন এক ছাত্রী তাঁর গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দেন। এই ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে এলাকার মানুষ বিস্মিত হন।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান মানিককে আমন্ত্রণ জানাইনি। হঠাৎ সোমবার দুপুরে তিনি বিদ্যালয়ে আসেন। আমার কার্যালয়ে তাঁকে চা-নাশতা করার সময়ে দলিল লেখক জাদু লোকজন নিয়ে চেয়ারম্যানকে ফুলের তোড়া দেন। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী তাঁর গলায় ফুলের মালা দেন। আমার কক্ষে এসব হবে তা আমি আগে জানতাম না।’
এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নূর আলম সিদ্দিক বলেন, মজিদ হত্যার মামলার আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মানিকসহ বেশ কয়েকজন। অচিরেই তাঁকেসহ অন্যান্য আসামিকে গ্রেপ্তার করা হবে।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক থানা-পুলিশের একজন বলেন, ‘ওপরের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত মানিককে গ্রেপ্তার করতে পারছে না থানা-পুলিশ।’
এ বিষয়ে বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মানিককে গ্রেপ্তারে বাধা নেই। তবে তাঁকে খুঁজে পাচ্ছি না।’ এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘তাঁর ফুলের মালা গলায় দিয়ে ঘুরে বেড়ানোর ঘটনা কেউ আমাকে জানায়নি।’
এ নিয়ে রংপুর জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ওসির সঙ্গে কথা বলব।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক কারখানার দুই শ্রমিককে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে মুক্তপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। অপহরণকারীদের মুক্তিপণ দাবির ফোন পেয়েই এক মা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। অপহরণকারীরা দুজনকে তুলে নিয়ে বেদম মারধর করে বাড়িতে মুক্তিপণ দাবি করে ফোন দেয়। সন্তান অপহরণের শিকার এমন খবর পেয়ে এক নারী (মা) মারা গেল
১৫ মিনিট আগেবিশ্ব হিজাব দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রথমবারের মতো ‘হিজাব র্যালি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে ক্যাম্পাসের ভিসি চত্বর থেকে র্যালিটি শুরু হয়। টিএসসি হয়ে রাসেল টাওয়ার ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে এটি শেষ হয়। এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।
৩৩ মিনিট আগেঅবৈধপথে ইতালি যাওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে গিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে হত্যার ঘটনায় বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পরিবারের অভিযোগ, ইতালি যাওয়ার জন্য প্রত্যেক পরিবার দালাল চক্রকে ১৬ লাখ টাকা দেয়। কিন্তু সেই টাকা লিবিয়ার মাফিয়াদের দেওয়া হয়নি বলে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যা করে। হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বা
৪৩ মিনিট আগেকাগজ দিয়ে পরিবেশবান্ধব কলম তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন বরগুনার আমতলী উপজেলার এক শিক্ষার্থী। তাঁর নাম মো. আমিরুল ইসলাম। তিনি উপজেলার সেকান্দারখালী গ্রামের মো. মনিরুল ইসলামের ছেলে এবং আমতলী এমইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। জানা গেছে, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে শিক্ষার্থী আমিরুল এই উদ্যোগ নিয়েছেন। ক
১ ঘণ্টা আগে