Ajker Patrika

দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে একসঙ্গে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ জুন ২০২৩, ১৭: ৫৮
দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে একসঙ্গে ৬ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা

ঈদুল আজহার জামাতের জন্য দিনাজপুর গোর-এ শহীদ ময়দান ঈদগাহ মাঠের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। জামাতে পার্শ্ববর্তী জেলা-উপজেলার মুসল্লিদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে থাকছে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা। এবারে একসঙ্গে ছয় লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। 

জানা গেছে, সাড়ে ২২ একর আয়তনের ৫২টি গম্বুজে সজ্জিত গোর-এ শহীদ ময়দান ঈদগাহ মাঠে বড় জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করতে একত্রিত হবেন মুসল্লিরা। এ জন্য ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর ও পার্বতীপুর থেকে দিনাজপুরের মধ্যে বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। জামাতে মুসল্লির সংখ্যা বাড়াতে জেলা প্রশাসন ও তথ্য অফিসের উদ্যোগে জেলা-উপজেলায় মাইকে প্রচার চালানো হয়েছে। 

মাঠের সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি মুসল্লিদের সুষ্ঠুভাবে নামাজ আদায়ের জন্য নতুন করে মাটি ভরাট, রং করা, ধোয়া-মোছা, মাঠে পানি ছিটানোসহ নানা সংস্কারকাজ করা হয়েছে। মাঠ দৃষ্টিনন্দন করতে ভেঙে ফেলা হয়েছে স্টেশন ক্লাব ভবন। 

দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, গোর-এ শহীদ ময়দানে এবার ছয় লক্ষাধিক মুসল্লির নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা শামসুল হক কাসেমী।

বিপুলসংখ্যক মুসল্লির জনসমাগমের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পুরো ময়দান নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিতের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকেরা দায়িত্ব পালন করবেন। নিরাপত্তা রক্ষায় মাঠের মাঝে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। 

জেলা প্রশাসক বলেন, সকাল ৭টা থেকে মুসল্লিরা নির্দিষ্ট প্রবেশপথ দিয়ে মাঠে ঢুকবেন। ১১০টি মাইক বসানো হয়েছে। এ ছাড়া ইমামের সহযোগিতায় ২০০ জন মুক্কাবির থাকবেন। মুসল্লিদের সুবিধার্থে অস্থায়ীভাবে ২৫০টি অজুখানা এবং সুপেয় পানির ব্যবস্থা রাখা হবে। 

ছবি: আজকের পত্রিকাজেলা পুলিশ সুপার ইফতেখার আহমেদ বলেন, ‘মাঠে প্রবেশের জন্য মোট ১৯টি গেট তৈরি করা হয়েছে। যেগুলোতে মেটাল ডিটেক্টরসহ তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। শুধু জায়নামাজ এবং ছাতা নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন মুসল্লিরা। তৈরি করা হয়েছে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার।

সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। মাঠে পুলিশ ক্যাম্পে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া, মোবাইল ফোন বা কেউ হারিয়ে গেলে খুঁজে দেওয়াসহ তাদের রেডিও সেবা দেওয়া হবে। 

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঈদগাহ মাঠের প্রস্তুতির কাজ সরেজমিন পরিদর্শন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম। এ সময় তিনি বলেন, ৫২ গম্বুজবিশিষ্ট নান্দনিক সৌন্দর্যমণ্ডিত গোর-এ শহীদ ময়দানে এবারও এশিয়ার সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জামাতে ছয় লাখের অধিক মুসল্লি যাতে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন, সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত