Ajker Patrika

তালাবদ্ধ ঘরের মেঝেতে কাঁদছে শিশু, বিছানায় মায়ের নিথর দেহ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
তালাবদ্ধ ঘরের মেঝেতে কাঁদছে শিশু, বিছানায় মায়ের নিথর দেহ

লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ঘরের মেঝেতে পাঁচ মাসের মেয়ে শিশু কান্না করছিল। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী ও মা-বাবা পলাতক আছেন। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আজ শুক্রবার সকালে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল রাতেই স্বামী আতিকুল ইসলামকে আসামি করে লালমনিরহাট সদর থানায় হত্যা মামলা করেছেন গৃহবধূর বাবা। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। 

নিহত মিতু আক্তার (২২) কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা এলাকার মোহাম্মদ ইসলামের মেয়ে। তাঁর স্বামী আতিকুল ইসলাম (২৫) লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের দাড়ারপাড় মুন্সিটারী এলাকার বাসিন্দা। এই দম্পতির আতিকা নামের পাঁচ মাসের মেয়ে শিশু আছে। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে মিতু আক্তার ও আতিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাঁদের সাংসারিক জীবন ভালোই চলছিল। গত ১৫ দিন আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাধে। এরপর আতিকুল তাঁর সঙ্গে আর সংসার করবেন না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা বিষয়টি মীমাংসা করলে তাঁরা আবারও সংসার শুরু করেন। 

গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ফের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চেঁচামেচি ও মারামারির শব্দ শুনতে পায় এলাকাবাসী। কিন্তু ঘরের দরজা বাইরে দিয়ে তালাবদ্ধ থাকায় ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি। পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে শিশু আতিকার দীর্ঘক্ষণ কান্না শুনতে পেয়ে স্থানীয়রা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পায় শিশুটি ঘরের মেঝেতে কান্না করছে আর মিতুর লাশ বিছানায় পড়ে আছে। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে আতিকুল তাঁর মা-বাবা পলাতক আছেন। 

এ বিষয়ে মিতু আক্তারের বাবা মোহাম্মদ ইসলাম জানান, তাঁর মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি পালিয়েছেন। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই তিনি আতিকুলকে আসামি করে লালমনিরহাট সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। বর্তমানে শিশু আতিকা তার হেফাজতে আছে। 

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি ওমর ফারুক জানান, অভিযোগ পর রাতেই মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত