Ajker Patrika

গরুর বদলে জমিতে হালচাষে দম্পতি

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০: ০৪
গরুর বদলে জমিতে হালচাষে দম্পতি

কখনো অন্যের জমিতে বর্গাচাষ কখনো বা খালে-বিলে মাছ ধরে চলে জীবিকা। সাত সদস্যের পরিবারের ভরণপোষণের দায়ভার চল্লিশ বছরের নেপেনের। অর্থাভাবে যখন গরু দিয়ে হালচাষ করা দায়, তখন স্ত্রী সুভাসিনীর সহযোগিতায় মই দিয়ে নিজেরাই করছেন হাল চাষ।

গত রোববার গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর পবনাপুর ইউনিয়নের পবনাপুর গ্রামের মাঠে গেলে চোখে পড়ে নেপেন-সুভাসিনী দম্পতির মই দিয়ে হাল চাষের দৃশ্য।

অন্যের জমি বর্গাচাষের পাশাপাশি খালে-বিলে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে যা মেলে তা দিয়েই মেটাতে হয় সংসারের মৌলিক চাহিদা। তাই এমন সংগ্রামী জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। এ কাজে পালাক্রমে একজন গরু ও অপরজন চাষির ভূমিকা রাখতে হচ্ছে তাঁদের।

মাঠে ইরি-বোরো মৌসুমে যেখানে আধুনিক কৃষিযন্ত্রের সাহায্যে জমি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা, এখানে ব্যতিক্রম শুধু নেপেন-সুভাসিনী দম্পতি। তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করে পানিতে ভিজে জমি সমান করতে শরীরের সবটুকু শক্তি দিয়ে হাল দিয়ে চলেছেন তাঁরা। বাঁশের তৈরি মইয়ের দুপাশে দড়ি বেঁধে দুহাতে টেনে গরুর ভূমিকা রাখছেন সুভাসিনী এবং শক্ত হাতে মই চেপে রেখেছেন নেপেন। আর এতেই কাঁদাজলে ভেজা উঁচু-নিচু জমি সমান হয়ে চাষের উপযোগী হয়ে উঠছে।

এ দম্পতি জানান, তাঁদের নিজেদের কোনো জমি নেই। প্রায় এক বিঘা জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করছেন তাঁরা। আজ দশ শতক জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের জন্য মই দিচ্ছেন। এ জমি থেকে যে পরিমাণ ধান উৎপাদন হয় তার অর্ধেক পান জমির মালিক। বাকি ধান দিয়ে সারা বছরের ভাতের জোগান মেটাতে হয়। তাই উৎপাদন খরচ কমাতে টাকা দিয়ে গরুর হাল না কিনে নিজেরাই জমিতে মই দিচ্ছেন।

তাঁরা আরও জানান, তাঁদের পাঁচ সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে মাধব এসএসসি পাস করেছে। ছোট ছেলে নিখিল, মেয়ে লক্ষ্মী ও প্রতিমা হাইস্কুলে পড়াশোনা করছে। এ ছাড়া অর্জুন নামে কোলের এক সন্তান রয়েছে তাঁদের।

পবনাপুর ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি চান মিয়া বলেন, ‘নেপেন-সুভাসিনী দম্পতি আমার প্রতিবেশী। বেঁচে থাকার তাগিদ ও সন্তানদের শিক্ষিত করতে সংগ্রাম করে চলেছেন তাঁরা।’

পবনাপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘জমিতে পানি ও হাল চাষের পর মাটি সমান করতে মই দেওয়ার কাজটি গরু দিয়ে করা হলেও নেপেন-সুভাসিনী দম্পতি আর্থিক সংকটের কারণে নিজেই এ কাজটি করতে বাধ্য হচ্ছেন। পরিবারটিকে সরকারি সহায়তার দাবি জানাই।’

পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান বলেন, খোঁজ নিয়ে পরিবারটিকে সম্ভাব্য সহযোগিতা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সাপ্লাই চেইন বিভাগে চাকরির সুযোগ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছাত্রদল নেতাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত
জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নামের ছাত্রদলের এক নেতাকে হাত–পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কেন্দুয়া–আঠারবাড়ী সড়কের পাশে বড় কালিয়ান এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।

জাহাঙ্গীর আলম গন্ডা ইউনিয়ন ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। তিনি মরিচপুর এলাকার আজিজুল হকের ছেলে।

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম গতকাল সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বের হন। এর কিছুক্ষণ পর তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। তখন পরিবারের লোকজন তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন। একপর্যায়ে রাত ৯টার দিকে স্থানীয় লোকজন কেন্দুয়া–আঠারবাড়ী সড়কের কালিয়ান এলাকায় একটি ইটভাটায় হাত–পা বাঁধা অচেতন অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

জাহাঙ্গীর আলমের চাচাতো ভাই হাসান মিয়া বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর গভীর রাতে জাহাঙ্গীরের জ্ঞান ফিরে আসে। তিনি এখনো কথা বলতে পারছেন না। কীভাবে এমন হলো, তা তিনি এখনো বলতে পারছেন না। তবে আমরা ধারণা করছি, গন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছে। আমার ভাইয়ের বিপক্ষের কিছু লোক তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। তিনি পুরোপুরি সুস্থ হলে তাঁর কাছ থেকে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সাপ্লাই চেইন বিভাগে চাকরির সুযোগ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জবি ছাত্র জোবায়েদ হত্যা: আদালতে দায় স্বীকার করে ৩ আসামির জবানবন্দি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জবি শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
জবি শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জোবায়েদ হোসেন (২৫) হত্যার ঘটনায় রাজধানীর বংশাল থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার জোবায়েদের ছাত্রী (১৯), তাঁর বন্ধু মো. মাহির রহমান (১৯) ও মাহিরের বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০) দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাঁরা জবানবন্দি দেন।

বিকেলে বংশাল থানা-পুলিশ তিনজনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার এসআই মো. আশরাফ হোসেন তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার জন্য আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই তিনজনের পরিকল্পনায় জোবায়েদকে হত্যা করা হয় বলে গ্রেপ্তারের পর তাঁরা জানান। তাঁরা আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক।

পরে তিনজনই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান, মাসুম মিয়া ও জুয়েল রানার খাস কামরায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

আসামি মাহির জবানবন্দি দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের কাছে। জোবায়েদের ছাত্রী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া ও আয়লান মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার কাছে জবানবন্দি দেন। বিকেল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তাঁরা জবানবন্দি দেন।

আদালতের বংশাল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জোবায়েদ খুন হওয়ার পর ওই দিন রাতেই তাঁর ছাত্রীকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও শান্তিনগর থেকে অপর দুজনকে আটক করে পুলিশ। আজ সকালে বংশাল থানায় মামলা করেন জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত।

মামলায় জোবায়েদের ছাত্রী, তাঁর বন্ধু মো. মাহির রহমান ও মাহিরের বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়লানকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও চার–পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

জবানবন্দিতে যা বলেছেন তিনজন

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর থানা হেফাজতে তাঁদের মুখোমুখি করা হয়। পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে তাঁরা হত্যার দায় স্বীকার করেন। পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তাঁরা যা বলেছেন, আদালতে সে রকম স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

প্রত্যেকে জবানবন্দিতে বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ড তাঁরা সংঘটিত করেছেন পরিকল্পিতভাবে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁরা জোবায়েদকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সাপ্লাই চেইন বিভাগে চাকরির সুযোগ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ৩

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০০: ০১
গ্রেপ্তার তিনজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার তিনজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে কিশোরীকে রেস্টুরেন্টে ধর্ষণের মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে মামলার প্রধান আসামিসহ আরও দুজন পলাতক রয়েছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার জামতৈল গ্রামের আলমের ছেলে মো. আকাশ (২১), নান্নু সরকারের ছেলে মো. আতিক (২৩) এবং কর্ণসুতি গ্রামের জাহাঙ্গীর প্রামাণিকের ছেলে নাজমুল হক নয়ন (২০)।

কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার জামতৈল বাজার এলাকা থেকে আকাশ ও আতিককে এবং পরে নাজমুল হক নয়নকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কর্ণসুতি গ্রামের এক কিশোরীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে উপজেলার জামতৈল সেন্ট্রাল পার্কসংলগ্ন ‘ডেরা ফাস্ট ফুড অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে’ ধর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনায় কিশোরীর মা গতকাল কামারখন্দ থানায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সাপ্লাই চেইন বিভাগে চাকরির সুযোগ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে আ.লীগ অফিসে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ, ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে আ.লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করেন একদল যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামে আ.লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করেন একদল যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেন একদল যুবক। নগরীর নিউমার্কেট দোস্ত বিল্ডিংয়ের কার্যালয়টিতে আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ ভাঙচুর চালানো হয়। তবে ভাঙচুর সম্পর্কে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি ঘটনাস্থল থেকে ২০০ গজ দূরে থাকা কোতোয়ালি থানা-পুলিশ।

আব্দুল মালেক নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, বিকেলে ৩০-৪০ জনের একটি দল এসে দোস্ত বিল্ডিংয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুর শেষে তারা ভবনটিতে থাকা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ ও মুজিব সেনা কার্যালয়ে প্রবেশ করে। তাদের হাতে হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটা ছিল।

চট্টগ্রামে আ.লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করেন একদল যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামে আ.লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করেন একদল যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ সময় আওয়ামী লীগ কার্যালয়টি ভাঙচুর চালিয়ে তছনছ করে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে কার্যালয় দুটি তালা দেওয়া ছিল বলে জানান স্থানীয় ওই দোকানদার। ভাঙচুর করতে আসা যুবকদের সঙ্গে বিল্ডিংয়ের লিজ দাবিদার জাকির হোসেনও উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মহানগর সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে ভবনটিতে অবৈধভাবে দখল করে কার্যালয় পরিচালনা করে আসছিল আওয়ামী লীগ। সরকার পতনের পর কিছুদিন কার্যালয়টি বন্ধ ছিল। কিন্তু কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তিন-চার মাস ধরে রাতের বেলায় কার্যালয়টিতে বসে মিটিং করে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের সব নাশতার পরিকল্পনা হয় এই কার্যালয় থেকে।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ‘৩৬ জুলাই’ নামের একটি সংগঠনের লোকজন কার্যালয়টিতে তল্লাশি করে। এই সময় কার্যালয়টিতে সম্প্রতি সময়ে মিটিং করার নমুনা হিসেবে ড্রিংকিং ওয়াটার, বিছানা, চেয়ার টেবিল, শেখ মুজিব, শেখ হাসিনা ও ইন্দিরা গান্ধীর ছবি পাওয়া গেছে বলে জানান এনসিপির এই নেতা।

চট্টগ্রামে আ.লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করেন একদল যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামে আ.লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করেন একদল যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা

অপর দিকে ঘটনাস্থলের কাছে থাকা কোতোয়ালি থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটু আগে রাতে এই বিষয়ে খবর পেয়েছি। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে এই ঘটনায় আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।’

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট মোড়ের দোস্ত বিল্ডিংয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের ৪১টি কার্যালয় রয়েছে। ভবনটির প্রকৃত মালিক একজন বিহারি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যিনি দেশত্যাগ করেন।

এর পর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভবনটি দখল করে নিজেদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। মাঝখানে ১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন জাকির নামের এক ব্যক্তিকে লিজ দিলেও বিভিন্ন আইনি জটিলতায় তিনি দখল নিতে পারেননি। ভবনটি নিয়ে লিজ পাওয়া ব্যক্তি ও দখলদারদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি কমপক্ষে চারটি মামলা চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সাপ্লাই চেইন বিভাগে চাকরির সুযোগ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত