শিপুল ইসলাম, রংপুর
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি কৃষক ভুট্ট মিয়ার সন্তান। তাই তিনি সিটি বাজারের ফল দোকানে ঘুরছিলেন আনারস কেনার জন্য। দাম না বনায় এক দোকান থেকে অন্য দোকানে যাচ্ছিলেন। কাছে জানতে চাইলে ভুট্টু মিয়া বলেন, ‘ছাওয়াটার খুব জ্বর, সর্দি ওই জন্য আনারস কিনার আসছু। কিন্তু এটে কেজি ছাড়া বেচাওছে না। আগোত তো হামরা পিচ দর কিনছন। একটা আনারস দেড় কেজি, এক কেজির বেশি। দামও ৮০ টাকা কেজি চাওছে। এতো টাকা নাই জন্য ছোট আনারস খোঁজোছু, পাইছু না।’
রংপুর সিটি বাজার থেকে ২০০ গজ পথ এগোলেই পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ। সেখানে আনারসের পাইকারি আড়ত। গতকাল সোমবার দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমণ আনারস পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। সেই হিসেবে প্রতিকেজি আনারসের পাইকারি দাম পড়ে ৪০ টাকা। অথচ ২০০ গজ দূরেই খুচরা ফল বিক্রেতারা দ্বিগুণ দামে আনারস বিক্রি করছেন। লাভ থাকছে ৪০ টাকা।
পাবলিক লাইব্রেরি মাঠের পাশে পাইকারি আনারস বিক্রেতা মো. শহিদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘পরিবহন ব্যয় কমলে আনারসের পাইকারি দাম আরও কমত। এখন সবকিছু কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, আনারসও তাই কেজি দরে বেচতেছি। খুচরা বিক্রেতারা কত বিক্রি করবেন সেটা তাঁরাই নির্ধারণ করেন। বর্তমানে ১ হাজার ৬০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।’
সিটি বাজারে ফল কিনতে আসা নগরীর শাহীপাড়ার বাসিন্দা রোমান সরকার অভিযোগ করে বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের কাছে আমরা জিম্মি। তরমুজের পর আনারসও কেজি দরে বিক্রি শুরু হয়েছে। ইচ্ছা থাকলেও সাধারণ মানুষ এসব ফল এখন কিনে খেতে পারছেন না। অথচ একটা সময় ছিল পিচ হিসেবে বিক্রি হতো। আমরা সাধ্য অনুযায়ী একটা দুইটা পিচ কিনতাম। এখন সেই সুযোগ নেই। আনারসের দাম দ্বিগুণ।’
ওই বাজারে কথা হয় গুপ্তপাড়ার বাসিন্দা আনোয়ার আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, দুই পা বাড়ালে পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ। সেখানে পাইকারিতে আনারসের কেজি ৪০ টাকা। আর এখানে ৮০ টাকা। দামের এমন অস্বাভাবিক ফারাক থাকলেও প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই।
দাম বেশির কারণ জানতে চাইলে সিটি বাজারের খুচরা বিক্রেতা সাফিন রহমান বলেন, ফল পচনশীল পণ্য। অনেক সময় ফল পচে গিয়ে লস হয়ে যায়। তাই একটু দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হয়। তবে অর্ধেকে অর্ধেক লাভ এ কথা সত্য নয়।’
জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুরের সহকরী পরিচালক আফসানা পারভিন মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে। আনারসের দাম অস্বাভাবিক হলে সেখানেও অভিযান চালানো হবে। দাম বেশি রাখার প্রশ্নই আসে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি কৃষক ভুট্ট মিয়ার সন্তান। তাই তিনি সিটি বাজারের ফল দোকানে ঘুরছিলেন আনারস কেনার জন্য। দাম না বনায় এক দোকান থেকে অন্য দোকানে যাচ্ছিলেন। কাছে জানতে চাইলে ভুট্টু মিয়া বলেন, ‘ছাওয়াটার খুব জ্বর, সর্দি ওই জন্য আনারস কিনার আসছু। কিন্তু এটে কেজি ছাড়া বেচাওছে না। আগোত তো হামরা পিচ দর কিনছন। একটা আনারস দেড় কেজি, এক কেজির বেশি। দামও ৮০ টাকা কেজি চাওছে। এতো টাকা নাই জন্য ছোট আনারস খোঁজোছু, পাইছু না।’
রংপুর সিটি বাজার থেকে ২০০ গজ পথ এগোলেই পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ। সেখানে আনারসের পাইকারি আড়ত। গতকাল সোমবার দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমণ আনারস পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। সেই হিসেবে প্রতিকেজি আনারসের পাইকারি দাম পড়ে ৪০ টাকা। অথচ ২০০ গজ দূরেই খুচরা ফল বিক্রেতারা দ্বিগুণ দামে আনারস বিক্রি করছেন। লাভ থাকছে ৪০ টাকা।
পাবলিক লাইব্রেরি মাঠের পাশে পাইকারি আনারস বিক্রেতা মো. শহিদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘পরিবহন ব্যয় কমলে আনারসের পাইকারি দাম আরও কমত। এখন সবকিছু কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, আনারসও তাই কেজি দরে বেচতেছি। খুচরা বিক্রেতারা কত বিক্রি করবেন সেটা তাঁরাই নির্ধারণ করেন। বর্তমানে ১ হাজার ৬০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।’
সিটি বাজারে ফল কিনতে আসা নগরীর শাহীপাড়ার বাসিন্দা রোমান সরকার অভিযোগ করে বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের কাছে আমরা জিম্মি। তরমুজের পর আনারসও কেজি দরে বিক্রি শুরু হয়েছে। ইচ্ছা থাকলেও সাধারণ মানুষ এসব ফল এখন কিনে খেতে পারছেন না। অথচ একটা সময় ছিল পিচ হিসেবে বিক্রি হতো। আমরা সাধ্য অনুযায়ী একটা দুইটা পিচ কিনতাম। এখন সেই সুযোগ নেই। আনারসের দাম দ্বিগুণ।’
ওই বাজারে কথা হয় গুপ্তপাড়ার বাসিন্দা আনোয়ার আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, দুই পা বাড়ালে পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ। সেখানে পাইকারিতে আনারসের কেজি ৪০ টাকা। আর এখানে ৮০ টাকা। দামের এমন অস্বাভাবিক ফারাক থাকলেও প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই।
দাম বেশির কারণ জানতে চাইলে সিটি বাজারের খুচরা বিক্রেতা সাফিন রহমান বলেন, ফল পচনশীল পণ্য। অনেক সময় ফল পচে গিয়ে লস হয়ে যায়। তাই একটু দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হয়। তবে অর্ধেকে অর্ধেক লাভ এ কথা সত্য নয়।’
জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুরের সহকরী পরিচালক আফসানা পারভিন মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে। আনারসের দাম অস্বাভাবিক হলে সেখানেও অভিযান চালানো হবে। দাম বেশি রাখার প্রশ্নই আসে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজধানীর গুলশানে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
৪ মিনিট আগেআজ রোববার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনা বাজার এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কারখানার কয়েক শ শ্রমিক। সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সকাল ১০টার দিকে মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
১৬ মিনিট আগেভুল ট্রেনে উঠে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামি টাঙ্গাইলের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে পৃথকভাবে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুজন বিচারকের কাছে তাঁরা জবানবন্দি দেন। রাত ৯টার দিকে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারক মিনহাজ উদ্দিন ফরাজী এবং রুমেলিয়া
৩৭ মিনিট আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, আপনাদের এই জমায়েত আমাদের বিশ্বাস করায়, যারা এখন মামলা বাণিজ্য করছেন, যারা চাঁদাবাজি করছেন, তাঁদের দিন ফুরিয়ে আসছে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, আমাদের এই তরুণ প্রজন্ম যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে
১ ঘণ্টা আগে