জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
নীলফামারীতে জনবসতি বেড়ে যাওয়ায় অগ্নিকাণ্ডসহ অন্যান্য দুর্ঘটনার হার বেড়েছে। কিন্তু জেলার আটটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়েনি। জনবল সংকট ও পানির উৎস না থাকায় বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলা করতে হিমশিমে পড়েন ফায়ার ফাইটাররা। এ অবস্থায় আগুন নেভানো ও উদ্ধার অভিযান চালাতে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্তৃপক্ষকে।
সূত্র জানায়, জেলার সৈয়দপুর শহরে রয়েছে বিসিক শিল্পনগরী। পাশাপাশি এর বাইরে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক বড় ধরনের শিল্প কল-কারখানা। ফলে এখানে প্রচুর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেড়েছে। কিন্তু সে অনুপাতে বাড়েনি ফায়ার সার্ভিস বিভাগের দক্ষ জনবল ও আধুনিক সরঞ্জাম।
সূত্রমতে, জেলায় আটটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন রয়েছে। স্টেশনগুলো রয়েছে নীলফামারী সদর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সৈয়দপুর, উত্তরা ইপিজেড ও চিলাহাটিতে। এর মধ্যে সদর, সৈয়দপুর ও উত্তরা ইপিজেড ফায়ার স্টেশনগুলো ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত। বাকি পাঁচটি বিভিন্ন ক্যাটাগরির।
জেলা ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া পরিসংখ্যানে জানা যায়, জনবল কাঠামো অনুযায়ী সদর ও সৈয়দপুর ৩৯, উত্তরা ইপিজেডে ৩২, ডোমারে ২৪, চিলাহাটি ২৪, ডিমলা ১০, কিশোরগঞ্জ ১৪ জন, জলঢাকায় ১৪ এবং নীলফামারী উপসহকারী পরিচালকের কার্যালয়ে ৫ জন ফায়ার ফাইটার। এ নিয়ে মোট ২০১ জন ফায়ার ফাইটার থাকার কথা থাকলে বর্তমানে জেলার আটটি স্টেশনে ১৭৮ জন রয়েছে।
ওই সূত্রমতে, জলঢাকা, সৈয়দপুর ও নীলফামারী সদরে অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও বাকি পাঁচটিতে অ্যাম্বুলেন্স নেই। আগুনে দগ্ধ ফায়ারম্যান কিংবা আগুনে দগ্ধ বা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালে নিতে বিপাকে পড়তে হয়।
সৈয়দপুর শহরের মুন্সিপাড়ার কলেজছাত্রী নওশীন আক্তার আজকের পত্রিকাকে জানান, গত ২ মার্চ তাঁর পাশের বাসায় আগুন লাগলে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস অফিসে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু জনবল সংকট এবং ভেতরে গাড়ি ঢুকতে না পারায় চারটি বাসা পুড়ে ছাই হয়। এ সময় আগুন নেভাতে প্রয়োজনীয় পানির উৎস না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের লোকজনদের বেগ পোহাতে হয়।
ওই ছাত্রী আক্ষেপ করে বলেন, শহরের মধ্যে বড় বড় পুকুরগুলো ভরাট হয়ে আবাসন গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া বেদখল হয়ে গেছে রেলওয়ের অর্ধ শতাধিক পানির রিজার্ভার। অথচ এসব দেখার জন্য রয়েছে জনপ্রতিনিধি আর সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাগণ।
সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. খুরশীদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, জনবসতি বেড়ে যাওয়ায় এখন অগ্নিকাণ্ড বেড়েছে। সে হিসেবে আগুন নেভানো ও উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত আধুনিক যন্ত্রপাতির সংকট আছে। জনবল যা ছিল তার মধ্যে একজন চালকসহ ৬ জন ফায়ার ফাইটারকে জেলার অন্যান্য স্টেশনে সংযুক্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সৈয়দপুর একটি ঘনবসতির শহর। অর্ধশতাধিক বড় ধরনের ফ্যাক্টরি রয়েছে এ শহরে। তা ছাড়াও বিসিক শিল্পনগরী, রেলওয়ে কারখানা, সেনানিবাস, অর্ধ ডজন বড় বড় মার্কেট এবং ৫ শতাধিক ক্ষুদ্র গার্মেন্টস শিল্প। কিন্তু শহরের মাঝে নেই কোনো পানির জলাধার বা রিজার্ভার। এর ফলে শহরে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়।
জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে নীলফামারী জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, জেলার পৌর শহরগুলোর কিছু কিছু মহল্লায় আগুন লাগলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। অপরদিকে গ্রামের সড়কগুলো প্রশস্ত না হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না। তিনি বলেন, ‘সি’ শ্রেণির স্টেশনগুলো ‘বি’ এবং ‘বি’ শ্রেণির স্টেশনগুলোকে ‘এ’ শ্রেণিতে উন্নীত করে প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জাম দেওয়া হলে নানাবিধ সমস্যার সমাধান হবে নিশ্চিত।
নীলফামারীতে জনবসতি বেড়ে যাওয়ায় অগ্নিকাণ্ডসহ অন্যান্য দুর্ঘটনার হার বেড়েছে। কিন্তু জেলার আটটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়েনি। জনবল সংকট ও পানির উৎস না থাকায় বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলা করতে হিমশিমে পড়েন ফায়ার ফাইটাররা। এ অবস্থায় আগুন নেভানো ও উদ্ধার অভিযান চালাতে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্তৃপক্ষকে।
সূত্র জানায়, জেলার সৈয়দপুর শহরে রয়েছে বিসিক শিল্পনগরী। পাশাপাশি এর বাইরে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক বড় ধরনের শিল্প কল-কারখানা। ফলে এখানে প্রচুর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেড়েছে। কিন্তু সে অনুপাতে বাড়েনি ফায়ার সার্ভিস বিভাগের দক্ষ জনবল ও আধুনিক সরঞ্জাম।
সূত্রমতে, জেলায় আটটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন রয়েছে। স্টেশনগুলো রয়েছে নীলফামারী সদর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সৈয়দপুর, উত্তরা ইপিজেড ও চিলাহাটিতে। এর মধ্যে সদর, সৈয়দপুর ও উত্তরা ইপিজেড ফায়ার স্টেশনগুলো ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত। বাকি পাঁচটি বিভিন্ন ক্যাটাগরির।
জেলা ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া পরিসংখ্যানে জানা যায়, জনবল কাঠামো অনুযায়ী সদর ও সৈয়দপুর ৩৯, উত্তরা ইপিজেডে ৩২, ডোমারে ২৪, চিলাহাটি ২৪, ডিমলা ১০, কিশোরগঞ্জ ১৪ জন, জলঢাকায় ১৪ এবং নীলফামারী উপসহকারী পরিচালকের কার্যালয়ে ৫ জন ফায়ার ফাইটার। এ নিয়ে মোট ২০১ জন ফায়ার ফাইটার থাকার কথা থাকলে বর্তমানে জেলার আটটি স্টেশনে ১৭৮ জন রয়েছে।
ওই সূত্রমতে, জলঢাকা, সৈয়দপুর ও নীলফামারী সদরে অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও বাকি পাঁচটিতে অ্যাম্বুলেন্স নেই। আগুনে দগ্ধ ফায়ারম্যান কিংবা আগুনে দগ্ধ বা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালে নিতে বিপাকে পড়তে হয়।
সৈয়দপুর শহরের মুন্সিপাড়ার কলেজছাত্রী নওশীন আক্তার আজকের পত্রিকাকে জানান, গত ২ মার্চ তাঁর পাশের বাসায় আগুন লাগলে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস অফিসে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু জনবল সংকট এবং ভেতরে গাড়ি ঢুকতে না পারায় চারটি বাসা পুড়ে ছাই হয়। এ সময় আগুন নেভাতে প্রয়োজনীয় পানির উৎস না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের লোকজনদের বেগ পোহাতে হয়।
ওই ছাত্রী আক্ষেপ করে বলেন, শহরের মধ্যে বড় বড় পুকুরগুলো ভরাট হয়ে আবাসন গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া বেদখল হয়ে গেছে রেলওয়ের অর্ধ শতাধিক পানির রিজার্ভার। অথচ এসব দেখার জন্য রয়েছে জনপ্রতিনিধি আর সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাগণ।
সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. খুরশীদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, জনবসতি বেড়ে যাওয়ায় এখন অগ্নিকাণ্ড বেড়েছে। সে হিসেবে আগুন নেভানো ও উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত আধুনিক যন্ত্রপাতির সংকট আছে। জনবল যা ছিল তার মধ্যে একজন চালকসহ ৬ জন ফায়ার ফাইটারকে জেলার অন্যান্য স্টেশনে সংযুক্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সৈয়দপুর একটি ঘনবসতির শহর। অর্ধশতাধিক বড় ধরনের ফ্যাক্টরি রয়েছে এ শহরে। তা ছাড়াও বিসিক শিল্পনগরী, রেলওয়ে কারখানা, সেনানিবাস, অর্ধ ডজন বড় বড় মার্কেট এবং ৫ শতাধিক ক্ষুদ্র গার্মেন্টস শিল্প। কিন্তু শহরের মাঝে নেই কোনো পানির জলাধার বা রিজার্ভার। এর ফলে শহরে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়।
জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে নীলফামারী জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, জেলার পৌর শহরগুলোর কিছু কিছু মহল্লায় আগুন লাগলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। অপরদিকে গ্রামের সড়কগুলো প্রশস্ত না হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না। তিনি বলেন, ‘সি’ শ্রেণির স্টেশনগুলো ‘বি’ এবং ‘বি’ শ্রেণির স্টেশনগুলোকে ‘এ’ শ্রেণিতে উন্নীত করে প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জাম দেওয়া হলে নানাবিধ সমস্যার সমাধান হবে নিশ্চিত।
দীর্ঘদিন ধরে জনবলসংকটে ধুঁকছে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা। চার ভাগের এক ভাগ কর্মচারী দিয়ে চলছে কার্যক্রম। জনবলের অভাবে পড়ে আছে দেশের বৃহত্তম এ রেলওয়ে কারখানার ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আমদানি করা মেশিনারিজ।
১ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার সাগরপারের সুগন্ধা পয়েন্টে হোটেল-মোটেল জোনের ২০০ কোটি টাকা মূল্যের ২ একর ৩০ শতক খাসজমি দখল করে শতাধিক দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, জাল কাগজ বানিয়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্র ৫ আগস্ট পরবর্তী প্রশাসনিক শিথিলতার সুযোগে হোটেল-মোটেল জোনের বাতিল করা প্লটের এই জমি দখল করেছে।
২ ঘণ্টা আগেসাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি আত্মহত্যা করেননি, তাঁরা খুন হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় দুজন। প্রথমে সাগর ও পরে রুনিকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তবে ডিএনএ রিপোর্টে অস্পষ্টতা থাকায় হত্যাকারীদের শনাক্ত করা এখনো সম্ভব হয়নি।
৫ ঘণ্টা আগেবরগুনার বিষখালী, বলেশ্বর ও পায়রা নদীতে নির্বিচারে মারা পড়ছে ইলিশের পোনা বা জাটকা। নিষিদ্ধ বাঁধা, গোপ, বেহেন্দি ও কারেন্ট জালে এগুলো শিকার করা হচ্ছে। দেড়-দুই ইঞ্চি লম্বা এসব মাছকে এলাকার হাট-বাজারে ‘চাপিলা’ বলে বিক্রি করছেন জেলেরা। সেই সঙ্গে শুঁটকি বানানো হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে