পঞ্চগড় প্রতিনিধি
জেলা আওয়ামী লীগসহ এর সহযোগী সংগঠনে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, এলাকায় সিন্ডিকেট, জমি দখল, বিদ্যালয় কমিটি নিয়ন্ত্রণ, সুদ, জুয়া নিয়ন্ত্রণ; বিরুদ্ধমত দমন করতে নির্যাতন—সবই করেছেন তিনি। এ ছাড়া এলাকার অধিকাংশ স্থাপনাও করেছেন নিজ পরিবারের সদস্যদের নামে। বলা হচ্ছে সাবেক রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের কথা। সরকার পতনের পর তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এরপর নির্যাতিত অনেকে এখন মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
সুজন ছিলেন পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। জেলার সর্বশেষ কমিটিতে তাঁর পরিবার ও স্বজন রয়েছেন ১০ জন। এ ছাড়া দলের সহযোগী সংগঠনগুলোও ছিল তাঁর কবজায়। তাঁদের অনেকে এখন এলাকাছাড়া।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সুজন ক্ষমতার পাশাপাশি সম্পদ বাড়িয়েছেন বহুগুণ। কেবল হলফনামা অনুযায়ী গত ১৫ বছরে তাঁর অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় ৩২ গুণ। নির্বাচনী হলফনামায় দেখা যায়, ২০০৮ সালে তাঁর অস্থাবর সম্পদ ছিল প্রায় ৮ লাখ টাকা। ২০২৩ সালে এসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকায়। তবে এলাকাবাসীর দাবি, এর বাইরে কয়েক শ গুণ সম্পদ আছে তাঁর।
সুজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, পরে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন তিনি। তাঁর বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পঞ্চগড়ের সংসদ সদস্য ছিলেন। তাঁর হাত ধরে মূলত রাজনীতিতে আসা সুজনের। এরপর ২০০৮ সাল থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর সুজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
নাম নিয়ে টানাটানি
আওয়ামী লীগের আমলে ঐতিহাসিক পঞ্চগড় রেলস্টেশনের নামকরণ করেন ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের নামে। পঞ্চগড় স্টেডিয়ামের নামকরণও করা হয় তাঁর ভাইয়ের নামে। বোদা উপজেলার বিলুপ্ত পুঁটিমারী ছিটমহলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামনগর। সরকার পতনের পর এসব স্থাপনার নাম বদলের দাবি উঠেছে।
ভাতিজার টর্চার সেল
সুজন মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তাঁর ভাইয়ের ছেলেরা এবং তাঁদের অনুসারীরা। স্থানীয়রা জানান, সুজনের চাচাতো ভাইয়ের দুই ছেলে রবিউল আওয়াল ডলার ও রাফিউল হাসান জানি এলাকায় চালিয়েছেন রামরাজত্ব। তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই নেওয়া হতো টর্চার সেলে। পুড়িয়ে দেওয়া হতো ঘরবাড়ি। টর্চার সেলে নিয়ে লিখে নেওয়া হতো জমি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জানি ও ডলারের টর্চার সেলের মদদদাতা সুজন।
সুজনের এই দুই ভাতিজা করতেন সুদের ব্যবসা। সুদের ওপর টাকা দিয়ে সেই টাকা আদায়ের নামে চলত নির্যাতন। অনেকেই টাকা পরিশোধ করার পরও হারিয়েছেন জমি। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সাইকেল মেকার হকিকুল নামের একজন আত্মহত্যাও করেছেন। তবে এরপরও থামেনি নির্যাতন।
বসানো হয়েছিল ছুরি
সুজনের এই দুই ভাতিজার কাছ থেকে সুদের টাকা নিয়েছিলেন রফিকুল (ছদ্মনাম)। টাকা পরিশোধও করেছিলেন। তবে এই দুজন দাবি করেন, তাঁদের টাকা দেওয়া হয়নি। এরপর রফিকুলকে ডেকে নেওয়া হয়। ভুক্তভোগীর স্ত্রী বলেন, তাঁকে ডেকে নিয়ে অজু করানোর পর কালেমা পড়িয়ে গলায় ছুরি বসানো হয়। কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে নতুন করে আবার ৬ লাখ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে প্রাণে রক্ষা পান রফিকুল।
আরেক ভুক্তভোগী হরিপুর এলাকার বাসিন্দা আব্বাস আলী। তিনি বলেন, ‘আমি তাঁদের কাছে সুদে টাকা নিয়েছিলাম ১ লাখ ৫ হাজার। ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করি। বছরখানেক পরে আবারও বড় অঙ্কের টাকা দাবি করে। আমাকে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে ভয়ভীতি দেখান। আমার কাছে জোর করে ৫১ শতক জমি লিখে নেন তাঁরা।’
দৌলতপুর এলাকার মোকসেদ আলী বলেন, ‘জানি ও ডলারদের কাছে আমরা ৫ শতক জমি পাব। ওর বাবাও জমিটি আমাদের বুঝিয়ে দেন। কিন্তু ওই জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে আমাদের ওপর হামলা করেন জানি ও ডলাররা। একপর্যায়ে তাঁরা সাবেক মন্ত্রী সুজনের কাছে বিচার দেন। আমাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠালে আমরা সবাই পালিয়ে যাই। এই সুযোগে জানি ও ডলার আমাদের তিনটি বাড়ি আগুনে জ্বালিয়ে দেন।’
নির্যাতন থেকে বাদ পড়েননি জনপ্রতিনিধিও। ময়দানদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ফজলুল হক বলেন, ‘আমি জানির কাছে ২ লাখ টাকা নিয়েছিলাম। এক বছরের মধ্যে টাকাটা পরিশোধ করি। আমি গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করতাম। পেনশনের ১৪ লাখ টাকা ময়দানদীঘি রূপালী ব্যাংক শাখা থেকে তুলি। টাকাটা তুলতেই আমার হাত থেকে সব টাকা নিয়ে নেন জানি। পরে কিছু জমিও লিখে দিতে হয়।’
সরকার পতনের পর আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় অভিযোগের বিষয়ে জানি ও ডলারের বক্তব্য জানা যায়নি।
জেলা আওয়ামী লীগকে ‘পরিবার লীগ’ বানিয়েছিলেন সুজন। মন্ত্রী থাকাকালে প্রভাব খাটিয়ে নিজে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। সর্বশেষ দলের কমিটিতে ঠাঁই হয় তাঁর ১০ স্বজনের। এ ছাড়া দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও ছিল তাঁর কবজায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, সুজন পঞ্চগড় আওয়ামী লীগ শেষ করে দিয়েছেন। দলের মধ্যে বিভক্তি দলকে পুরোপুরি নষ্ট করে ফেলেছে।
সচিবদের প্রভাব
সুজন মন্ত্রী হওয়ার পর ‘জাদুর ছোঁয়া’ পেয়েছিলেন পিএস রাশেদ প্রধান ও এপিএস রেজাউল করিম রেজা। সুজন মন্ত্রী থাকাকালে রাশেদ প্রধানকেও করেন জেলা কমিটির কার্যকরী সদস্য। তাঁর মা সেলিনা বেগমকে করেন জেলা পরিষদের সদস্য। পরে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমানুল্লাহ বাচ্চু মারা গেলে প্রভাব খাটিয়ে মাকে বসান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদে।
এদিকে সুজনের ব্যক্তিগত সহকারী রেজাউল করিম রেজার বাবা ছিলেন দিনমজুর। সেই রেজাও কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। জেলার বিভিন্ন এলাকায় জমি রয়েছে ২৫ থেকে ৩৫ বিঘা। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রিফা এন্টারপ্রাইজের মালিকও এই রেজা। এই প্রতিষ্ঠান মাসে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার পণ্য আমদানি করে থাকে।
বিএনপির পল্লি উন্নয়ন সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, ফ্যাসিবাদ কায়েম করে কোনো ব্যক্তি বা কোনো দল চিরস্থায়ী হতে পারে না। দুর্নীতির অভয়ারণ্য করেছেন তিনি। শুধু রেল নয়, ওনার পরিবারের ভাই ও ভাইয়ের ছেলেরা একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছিলেন।
জেলা আওয়ামী লীগসহ এর সহযোগী সংগঠনে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, এলাকায় সিন্ডিকেট, জমি দখল, বিদ্যালয় কমিটি নিয়ন্ত্রণ, সুদ, জুয়া নিয়ন্ত্রণ; বিরুদ্ধমত দমন করতে নির্যাতন—সবই করেছেন তিনি। এ ছাড়া এলাকার অধিকাংশ স্থাপনাও করেছেন নিজ পরিবারের সদস্যদের নামে। বলা হচ্ছে সাবেক রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের কথা। সরকার পতনের পর তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এরপর নির্যাতিত অনেকে এখন মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
সুজন ছিলেন পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। জেলার সর্বশেষ কমিটিতে তাঁর পরিবার ও স্বজন রয়েছেন ১০ জন। এ ছাড়া দলের সহযোগী সংগঠনগুলোও ছিল তাঁর কবজায়। তাঁদের অনেকে এখন এলাকাছাড়া।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সুজন ক্ষমতার পাশাপাশি সম্পদ বাড়িয়েছেন বহুগুণ। কেবল হলফনামা অনুযায়ী গত ১৫ বছরে তাঁর অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় ৩২ গুণ। নির্বাচনী হলফনামায় দেখা যায়, ২০০৮ সালে তাঁর অস্থাবর সম্পদ ছিল প্রায় ৮ লাখ টাকা। ২০২৩ সালে এসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকায়। তবে এলাকাবাসীর দাবি, এর বাইরে কয়েক শ গুণ সম্পদ আছে তাঁর।
সুজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, পরে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন তিনি। তাঁর বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পঞ্চগড়ের সংসদ সদস্য ছিলেন। তাঁর হাত ধরে মূলত রাজনীতিতে আসা সুজনের। এরপর ২০০৮ সাল থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর সুজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
নাম নিয়ে টানাটানি
আওয়ামী লীগের আমলে ঐতিহাসিক পঞ্চগড় রেলস্টেশনের নামকরণ করেন ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের নামে। পঞ্চগড় স্টেডিয়ামের নামকরণও করা হয় তাঁর ভাইয়ের নামে। বোদা উপজেলার বিলুপ্ত পুঁটিমারী ছিটমহলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামনগর। সরকার পতনের পর এসব স্থাপনার নাম বদলের দাবি উঠেছে।
ভাতিজার টর্চার সেল
সুজন মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তাঁর ভাইয়ের ছেলেরা এবং তাঁদের অনুসারীরা। স্থানীয়রা জানান, সুজনের চাচাতো ভাইয়ের দুই ছেলে রবিউল আওয়াল ডলার ও রাফিউল হাসান জানি এলাকায় চালিয়েছেন রামরাজত্ব। তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই নেওয়া হতো টর্চার সেলে। পুড়িয়ে দেওয়া হতো ঘরবাড়ি। টর্চার সেলে নিয়ে লিখে নেওয়া হতো জমি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জানি ও ডলারের টর্চার সেলের মদদদাতা সুজন।
সুজনের এই দুই ভাতিজা করতেন সুদের ব্যবসা। সুদের ওপর টাকা দিয়ে সেই টাকা আদায়ের নামে চলত নির্যাতন। অনেকেই টাকা পরিশোধ করার পরও হারিয়েছেন জমি। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সাইকেল মেকার হকিকুল নামের একজন আত্মহত্যাও করেছেন। তবে এরপরও থামেনি নির্যাতন।
বসানো হয়েছিল ছুরি
সুজনের এই দুই ভাতিজার কাছ থেকে সুদের টাকা নিয়েছিলেন রফিকুল (ছদ্মনাম)। টাকা পরিশোধও করেছিলেন। তবে এই দুজন দাবি করেন, তাঁদের টাকা দেওয়া হয়নি। এরপর রফিকুলকে ডেকে নেওয়া হয়। ভুক্তভোগীর স্ত্রী বলেন, তাঁকে ডেকে নিয়ে অজু করানোর পর কালেমা পড়িয়ে গলায় ছুরি বসানো হয়। কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে নতুন করে আবার ৬ লাখ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে প্রাণে রক্ষা পান রফিকুল।
আরেক ভুক্তভোগী হরিপুর এলাকার বাসিন্দা আব্বাস আলী। তিনি বলেন, ‘আমি তাঁদের কাছে সুদে টাকা নিয়েছিলাম ১ লাখ ৫ হাজার। ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করি। বছরখানেক পরে আবারও বড় অঙ্কের টাকা দাবি করে। আমাকে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে ভয়ভীতি দেখান। আমার কাছে জোর করে ৫১ শতক জমি লিখে নেন তাঁরা।’
দৌলতপুর এলাকার মোকসেদ আলী বলেন, ‘জানি ও ডলারদের কাছে আমরা ৫ শতক জমি পাব। ওর বাবাও জমিটি আমাদের বুঝিয়ে দেন। কিন্তু ওই জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে আমাদের ওপর হামলা করেন জানি ও ডলাররা। একপর্যায়ে তাঁরা সাবেক মন্ত্রী সুজনের কাছে বিচার দেন। আমাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠালে আমরা সবাই পালিয়ে যাই। এই সুযোগে জানি ও ডলার আমাদের তিনটি বাড়ি আগুনে জ্বালিয়ে দেন।’
নির্যাতন থেকে বাদ পড়েননি জনপ্রতিনিধিও। ময়দানদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ফজলুল হক বলেন, ‘আমি জানির কাছে ২ লাখ টাকা নিয়েছিলাম। এক বছরের মধ্যে টাকাটা পরিশোধ করি। আমি গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করতাম। পেনশনের ১৪ লাখ টাকা ময়দানদীঘি রূপালী ব্যাংক শাখা থেকে তুলি। টাকাটা তুলতেই আমার হাত থেকে সব টাকা নিয়ে নেন জানি। পরে কিছু জমিও লিখে দিতে হয়।’
সরকার পতনের পর আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় অভিযোগের বিষয়ে জানি ও ডলারের বক্তব্য জানা যায়নি।
জেলা আওয়ামী লীগকে ‘পরিবার লীগ’ বানিয়েছিলেন সুজন। মন্ত্রী থাকাকালে প্রভাব খাটিয়ে নিজে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। সর্বশেষ দলের কমিটিতে ঠাঁই হয় তাঁর ১০ স্বজনের। এ ছাড়া দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও ছিল তাঁর কবজায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, সুজন পঞ্চগড় আওয়ামী লীগ শেষ করে দিয়েছেন। দলের মধ্যে বিভক্তি দলকে পুরোপুরি নষ্ট করে ফেলেছে।
সচিবদের প্রভাব
সুজন মন্ত্রী হওয়ার পর ‘জাদুর ছোঁয়া’ পেয়েছিলেন পিএস রাশেদ প্রধান ও এপিএস রেজাউল করিম রেজা। সুজন মন্ত্রী থাকাকালে রাশেদ প্রধানকেও করেন জেলা কমিটির কার্যকরী সদস্য। তাঁর মা সেলিনা বেগমকে করেন জেলা পরিষদের সদস্য। পরে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমানুল্লাহ বাচ্চু মারা গেলে প্রভাব খাটিয়ে মাকে বসান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদে।
এদিকে সুজনের ব্যক্তিগত সহকারী রেজাউল করিম রেজার বাবা ছিলেন দিনমজুর। সেই রেজাও কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। জেলার বিভিন্ন এলাকায় জমি রয়েছে ২৫ থেকে ৩৫ বিঘা। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রিফা এন্টারপ্রাইজের মালিকও এই রেজা। এই প্রতিষ্ঠান মাসে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার পণ্য আমদানি করে থাকে।
বিএনপির পল্লি উন্নয়ন সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, ফ্যাসিবাদ কায়েম করে কোনো ব্যক্তি বা কোনো দল চিরস্থায়ী হতে পারে না। দুর্নীতির অভয়ারণ্য করেছেন তিনি। শুধু রেল নয়, ওনার পরিবারের ভাই ও ভাইয়ের ছেলেরা একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছিলেন।
তিস্তা সেচ প্রকল্পের দিনাজপুর সেচ খালের বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে নীলফামারীতে ৩০ একর জমির আমন ধান চারা নষ্ট হয়ে গেছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলা সদরের কালীতলা ভাট্টাতলি নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এতে করে ওই সেচ খালে জেলা সদরের চাঁদেরহাট স্লুইসগেট থেকে দিনাজপুরের খানসামা ও চিরিরবন্দর এলাকায় খরিপ-২ মৌসুমের
২৮ মিনিট আগেচট্টগ্রামের ফটিকছড়ি লেলাং ইউনিয়নে নিখোঁজের ১১ দিন পর হাত-মুখ বাঁধা অটোরিকশাচালক সন্তোষ চন্দ্র নাথ (৩৮) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২০ জুলাই) লেলাং ইউনিয়নের লালপুলসংলগ্ন এলাকার লেলাং খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সন্তোষ নাথ লেলাং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সীমান্ত মহাজন বাড়ির
৩২ মিনিট আগেরাঙামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ রোববার বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, আজ রাত ৮টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ২২০ মেগাওয়াট।
৩৭ মিনিট আগেপ্রতিবন্ধী ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানাসহ বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ১০ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে জেলা বিএনপির..
১ ঘণ্টা আগে