আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া (রংপুর)
দুই-তিন সপ্তাহ পর খেত থেকে আলু ঘরে তোলার কথা। কিন্তু আলুখেতের গাছ চুপসে যাচ্ছে। ডগা শুকিয়ে লুটিয়ে পড়ছে মাটিতে। এসব জমিতে কিছু আলু ধরলেও বড় হয়নি। এবারের শীত মৌসুমে এমন পরিস্থিতিতে পড়েছেন গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের শতাধিক কৃষক। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পরামর্শে আলুর ছত্রাকজনিত রোগ থেকে বাঁচতে অঙ্কুর কোম্পানির সিস্টিন কীটনাশক প্রয়োগের পরেই এ অবস্থা হয়েছে আলুগাছের। কৃষকের মতে, প্রায় ৫০ একর জমির আলু নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি হতে পারে।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নে বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন ও রমিছা দম্পতি। বর্গা নেওয়া এক বিঘা জমিতে চাষ করছেন আলু। জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে আলুকে ছত্রাকজনিত রোগ থেকে বাঁচাতে স্থানীয় ব্যবসায়ীর পরামর্শে অঙ্কুর কোম্পানির সিস্টিন কীটনাশক প্রয়োগ করেন। এর পর থেকেই মরে যাচ্ছে আলুগাছ। এমন অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েছেন এই দম্পতি।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী রমিছা বেগমের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘরের গরু ও ব্যাংক থেকে কিস্তি তুলি আলু লাগাইছি দুইটা টাকা লাভের আশায়। শীতোত ক্ষ্যাত যাতে নষ্ট না হয়, ওই জন্য হামার ময়নার বাপ বাজার থাকি ঔষধ (কীটনাশক) কিনি আনি জমিত দিছে। সেই ঔষধ (কীটনাশক) দেওয়া পর থাকি আলুর গাছগুলা ক্যানবা পচি যায় চোল। ছওয়ার মতন যত্ন করি ক্ষ্যাত আবাদ করি আইজ এই অবস্থা। এখন তো আলুও হইবে না আর ধান লাগাবার পামো না। আগত যদি জানানো হয় যে ঔষধ (কীটনাশক) দিয়া এমন হইবে তাইলে কী আর ঔষধ দেই।’
রমিছা বেগমের মতো ইউনিয়নের আরও শতাধিক কৃষক একই পরিস্থিতে পড়েছেন। সিস্টিন নামের কীটনাশকটি ব্যবহার করার দুই-তিন দিন পর থেকেই আলুর গাছগুলো শুকিয়ে যাওয়া শুরু করে। শেকড়ে পচন ধরে সব শেষ হয়ে গেছে। ধারদেনা করে আবাদ করা জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা সবাই। এখন ওই কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ চান ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা।
কৃষকদের অনেকই স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, কৃষি কর্মকর্তারা যদি মাঠে আসতেন, পরামর্শ দিতেন, তাহলে এই অবস্থা হতো না।
এদিকে কীটনাশক কোম্পানির কয়েকজন ডিলার মালিকও জানান, অঙ্কুর কোম্পানির ছত্রাকনাশক সিস্টিন কীটনাশক ব্যবহারের পর এ রকম অভিযোগ আসছে সব জায়গা থেকে।
কীটনাশক ব্যবসায়ী ও কীটনাশকটির ডিলার জুয়ারুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শীতের সময় আলুখেতে ছত্রাকের আক্রমণ বাড়ে। তাই আমার কাছে যারা কীটনাশক নিতে আসে, তাদের অঙ্কুর কোম্পানির সিস্টিন নামক কীটনাশক দেই। তবে যাদেরই ওই কীটনাশক দিয়েছি, তাদেরই খেতে সমস্যা হয়েছে। আমি কোম্পানির প্রতিনিধিকে জানাইছি। তারা এসে ওই কীটনাশক নিয়ে গেছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মারুফা ইফতেখার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি জানা আছে। আমাদের কাছে কৃষকেরা আর অভিযোগ করেনি। আমরা গিয়ে কীটনাশকগুলোর স্যাম্পল সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
দুই-তিন সপ্তাহ পর খেত থেকে আলু ঘরে তোলার কথা। কিন্তু আলুখেতের গাছ চুপসে যাচ্ছে। ডগা শুকিয়ে লুটিয়ে পড়ছে মাটিতে। এসব জমিতে কিছু আলু ধরলেও বড় হয়নি। এবারের শীত মৌসুমে এমন পরিস্থিতিতে পড়েছেন গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের শতাধিক কৃষক। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পরামর্শে আলুর ছত্রাকজনিত রোগ থেকে বাঁচতে অঙ্কুর কোম্পানির সিস্টিন কীটনাশক প্রয়োগের পরেই এ অবস্থা হয়েছে আলুগাছের। কৃষকের মতে, প্রায় ৫০ একর জমির আলু নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি হতে পারে।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নে বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন ও রমিছা দম্পতি। বর্গা নেওয়া এক বিঘা জমিতে চাষ করছেন আলু। জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে আলুকে ছত্রাকজনিত রোগ থেকে বাঁচাতে স্থানীয় ব্যবসায়ীর পরামর্শে অঙ্কুর কোম্পানির সিস্টিন কীটনাশক প্রয়োগ করেন। এর পর থেকেই মরে যাচ্ছে আলুগাছ। এমন অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েছেন এই দম্পতি।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী রমিছা বেগমের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘরের গরু ও ব্যাংক থেকে কিস্তি তুলি আলু লাগাইছি দুইটা টাকা লাভের আশায়। শীতোত ক্ষ্যাত যাতে নষ্ট না হয়, ওই জন্য হামার ময়নার বাপ বাজার থাকি ঔষধ (কীটনাশক) কিনি আনি জমিত দিছে। সেই ঔষধ (কীটনাশক) দেওয়া পর থাকি আলুর গাছগুলা ক্যানবা পচি যায় চোল। ছওয়ার মতন যত্ন করি ক্ষ্যাত আবাদ করি আইজ এই অবস্থা। এখন তো আলুও হইবে না আর ধান লাগাবার পামো না। আগত যদি জানানো হয় যে ঔষধ (কীটনাশক) দিয়া এমন হইবে তাইলে কী আর ঔষধ দেই।’
রমিছা বেগমের মতো ইউনিয়নের আরও শতাধিক কৃষক একই পরিস্থিতে পড়েছেন। সিস্টিন নামের কীটনাশকটি ব্যবহার করার দুই-তিন দিন পর থেকেই আলুর গাছগুলো শুকিয়ে যাওয়া শুরু করে। শেকড়ে পচন ধরে সব শেষ হয়ে গেছে। ধারদেনা করে আবাদ করা জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা সবাই। এখন ওই কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ চান ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা।
কৃষকদের অনেকই স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, কৃষি কর্মকর্তারা যদি মাঠে আসতেন, পরামর্শ দিতেন, তাহলে এই অবস্থা হতো না।
এদিকে কীটনাশক কোম্পানির কয়েকজন ডিলার মালিকও জানান, অঙ্কুর কোম্পানির ছত্রাকনাশক সিস্টিন কীটনাশক ব্যবহারের পর এ রকম অভিযোগ আসছে সব জায়গা থেকে।
কীটনাশক ব্যবসায়ী ও কীটনাশকটির ডিলার জুয়ারুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শীতের সময় আলুখেতে ছত্রাকের আক্রমণ বাড়ে। তাই আমার কাছে যারা কীটনাশক নিতে আসে, তাদের অঙ্কুর কোম্পানির সিস্টিন নামক কীটনাশক দেই। তবে যাদেরই ওই কীটনাশক দিয়েছি, তাদেরই খেতে সমস্যা হয়েছে। আমি কোম্পানির প্রতিনিধিকে জানাইছি। তারা এসে ওই কীটনাশক নিয়ে গেছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মারুফা ইফতেখার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি জানা আছে। আমাদের কাছে কৃষকেরা আর অভিযোগ করেনি। আমরা গিয়ে কীটনাশকগুলোর স্যাম্পল সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নির্বাহী পরিচালক (ইডি) পদ থেকে বদলি করা হয়েছিল শফিকুল ইসলামকে। তবে নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে বরং ৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করেছেন তিনি। বিএমডিএর বিএনপিপন্থী ও দীর্ঘ সময় বঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ...
৪ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের জুনিয়র আইটি অফিসার হিসেবে ২০১২ সালের নভেম্বরে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান শহিদুর রহমান। এর পর থেকে প্রায় ১৫ বছর ধরে চাকরি করছেন তিনি। একই পদে শহিদুরের মতো চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে কর্মরত আছেন আরও ২৭ জন।
৪ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের দ্বিতল একাডেমিক ভবনের পলেস্তারা খসে বেরিয়ে গেছে রড। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পাঠদানও বন্ধ। অথচ সেই ভবন এবং পাশের প্রশাসনিক ভবনের সংস্কারসহ বেশ কিছু মালামাল ক্রয়ের টেন্ডার আহ্বান করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। কলেজটির প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন-১ মেরামতের..
৪ ঘণ্টা আগেগত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে গেলেও ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আতঙ্ক হিসেবে পরিচিত মোখলেসুর রহমান সুমন (৩৬)। তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ নিজ এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছেন না।
৪ ঘণ্টা আগে