আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
গাইবান্ধায় তিন দিনের অবরোধের প্রথম দিন আজ মঙ্গলবার বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের তৎপরতা দেখা না গেলেও জরুরি কাজ ছাড়া সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হননি। গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। যদিও অনেক পরিবহন শ্রমিক পেটের দায়ে ঘর থেকে বের হয়ে এসে অপেক্ষায় ছিলেন যাত্রীর।
গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে কথা হয় বাসচালক কাজী সেতুর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘অবরোধের কথা জেনেও ঘর থেকে বের হয়েছি শুধু পেটের জন্য, এসে দেখি যাত্রী নাই।’ সেতু জানান, তাঁর পরিবার চার সদস্যের। তিনি ছাড়া আর কেউ উপার্জন করেন না। দিনে যা আয় করেন, তা দিয়ে সংসার চালান। গাড়ি বের করার জন্য তিনি টার্মিনালে সকাল ৬টায় এসেছেন। কিন্তু সকাল গড়িয়ে দুপুর পার হয়ে গেলেও কোনো যাত্রী না থাকায় গাড়ি বের করতে পারছেন না। গাড়ির চাকা না ঘুরাতে পারলে রাতে চুলায় আগুন জ্বলবে কীভাবে, সেই চিন্তায় আছেন তিনি। তাঁর মতো অনেক পরিবহনশ্রমিকই গাড়ি চালানোর অপেক্ষায় আছেন। কিন্তু যাত্রী না থাকায় শুয়ে-বসে অবসর সময় পার করছেন।
সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক তারা মিয়া বলেন, ‘ঘরে বসে থাকলে কেউ খাবার দিয়ে যাবে না, সাপ্তাহিক কিস্তি আছে বারো শ টাকা। এ ছাড়া পরিবারের খরচ তো আর বন্ধ থাকছে না।’ তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খেটে ২০০ টাকা পেয়েছি। আরেকটি ট্রিপ দিয়েই যা আয় হবে তা দিয়ে বাজার করে বাসায় ফিরব। রাস্তায় লোকজন কম যাতায়াত করছে।’
অবরোধে অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু আছে। তবে শহরে দোকান-পাট খোলা থাকলেও দোকানদারদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা গেছে। কম দূরত্বে যাত্রীরা অটোরিকশা, ভটভটি ও সিএনজি অটোরিকশায় যাতায়াত করছেন। শহরে বেশ কয়েকটি বাসের কাউন্টার ঘুরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অবরোধের কারণে যাত্রীরা টিকিট কাটছেন না। এ জন্য তাঁরা কাউন্টার খুলে অবসর সময় পার করছেন।
গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় টার্মিনালের শ্যামলী (এনআর) কাউন্টার মাস্টার মো. যাদু সরকার বলেন, ‘সরকারই বলুক আর প্রশাসন বলুক, যাত্রী ছাড়া তো খালি গাড়ি ছাড়তে পারব না। একটা গাড়ি চলতে খরচ আছে। সকাল থেকে কাউন্টারে বসে আছি। দুপুর ১২টা বেজে গেল একটি টিকিট বিক্রি করতে পারিনি। কেউ কোনো টিকিট বিক্রি করতে পারেনি।’
গাইবান্ধা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আশরাফুল আলম বাদশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে থেকে এমনিতে অর্ধেক গাড়ি টার্মিনাল থেকে চলাচল করছে। তার মধ্যে অবরোধ। যাত্রীরা ঘর থেকে বের হচ্ছে না। যাত্রী ছাড়া তো গাড়ি চলতে পারে না। অনেক শ্রমিক এসে বসে আছে। আমরা গাড়ি ছাড়ার জন্যও প্রস্তুত। কিন্তু যাত্রী ছাড়া খালি গাড়ি তো ছাড়তে পারি না। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সরকার ও বিরোধী দলকে সমাঝোতায় আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
অবশ্য গাইবান্ধা রেল স্টেশন থেকে সময়মতো ট্রেন ছেড়ে গেছে। এদিকে অবরোধকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
গাইবান্ধায় তিন দিনের অবরোধের প্রথম দিন আজ মঙ্গলবার বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের তৎপরতা দেখা না গেলেও জরুরি কাজ ছাড়া সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হননি। গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। যদিও অনেক পরিবহন শ্রমিক পেটের দায়ে ঘর থেকে বের হয়ে এসে অপেক্ষায় ছিলেন যাত্রীর।
গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে কথা হয় বাসচালক কাজী সেতুর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘অবরোধের কথা জেনেও ঘর থেকে বের হয়েছি শুধু পেটের জন্য, এসে দেখি যাত্রী নাই।’ সেতু জানান, তাঁর পরিবার চার সদস্যের। তিনি ছাড়া আর কেউ উপার্জন করেন না। দিনে যা আয় করেন, তা দিয়ে সংসার চালান। গাড়ি বের করার জন্য তিনি টার্মিনালে সকাল ৬টায় এসেছেন। কিন্তু সকাল গড়িয়ে দুপুর পার হয়ে গেলেও কোনো যাত্রী না থাকায় গাড়ি বের করতে পারছেন না। গাড়ির চাকা না ঘুরাতে পারলে রাতে চুলায় আগুন জ্বলবে কীভাবে, সেই চিন্তায় আছেন তিনি। তাঁর মতো অনেক পরিবহনশ্রমিকই গাড়ি চালানোর অপেক্ষায় আছেন। কিন্তু যাত্রী না থাকায় শুয়ে-বসে অবসর সময় পার করছেন।
সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক তারা মিয়া বলেন, ‘ঘরে বসে থাকলে কেউ খাবার দিয়ে যাবে না, সাপ্তাহিক কিস্তি আছে বারো শ টাকা। এ ছাড়া পরিবারের খরচ তো আর বন্ধ থাকছে না।’ তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খেটে ২০০ টাকা পেয়েছি। আরেকটি ট্রিপ দিয়েই যা আয় হবে তা দিয়ে বাজার করে বাসায় ফিরব। রাস্তায় লোকজন কম যাতায়াত করছে।’
অবরোধে অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু আছে। তবে শহরে দোকান-পাট খোলা থাকলেও দোকানদারদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা গেছে। কম দূরত্বে যাত্রীরা অটোরিকশা, ভটভটি ও সিএনজি অটোরিকশায় যাতায়াত করছেন। শহরে বেশ কয়েকটি বাসের কাউন্টার ঘুরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অবরোধের কারণে যাত্রীরা টিকিট কাটছেন না। এ জন্য তাঁরা কাউন্টার খুলে অবসর সময় পার করছেন।
গাইবান্ধা কেন্দ্রীয় টার্মিনালের শ্যামলী (এনআর) কাউন্টার মাস্টার মো. যাদু সরকার বলেন, ‘সরকারই বলুক আর প্রশাসন বলুক, যাত্রী ছাড়া তো খালি গাড়ি ছাড়তে পারব না। একটা গাড়ি চলতে খরচ আছে। সকাল থেকে কাউন্টারে বসে আছি। দুপুর ১২টা বেজে গেল একটি টিকিট বিক্রি করতে পারিনি। কেউ কোনো টিকিট বিক্রি করতে পারেনি।’
গাইবান্ধা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আশরাফুল আলম বাদশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে থেকে এমনিতে অর্ধেক গাড়ি টার্মিনাল থেকে চলাচল করছে। তার মধ্যে অবরোধ। যাত্রীরা ঘর থেকে বের হচ্ছে না। যাত্রী ছাড়া তো গাড়ি চলতে পারে না। অনেক শ্রমিক এসে বসে আছে। আমরা গাড়ি ছাড়ার জন্যও প্রস্তুত। কিন্তু যাত্রী ছাড়া খালি গাড়ি তো ছাড়তে পারি না। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সরকার ও বিরোধী দলকে সমাঝোতায় আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
অবশ্য গাইবান্ধা রেল স্টেশন থেকে সময়মতো ট্রেন ছেড়ে গেছে। এদিকে অবরোধকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
মাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
৩৩ মিনিট আগেটঙ্গীতে প্রথম ধাপের বিশ্ব ইজতেমায় ইয়াকুব আলী (৬০) নামের আরেক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইজতেমা ময়দানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। ইয়াকুব আলী হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার রাধবপুর গ্রামের নওয়াব উল্লাহ ছেলে।
৩৫ মিনিট আগেরাজধানীর আদাবরে গত বৃহস্পতিবার দিনদুপুরে ছিনতাইকারীদের চাপাতির কোপে সুমন শেখ (২৬) নামে এক যুবকের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাঁর কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। ভুক্তভোগী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
৩৬ মিনিট আগেঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আজ শনিবার সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
২ ঘণ্টা আগে