ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
নীলফামারীর ডিমলায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণিতে কাগজে–কলমে ১০৫ জন শিক্ষার্থীর নাম থাকলেও মাঝে মাঝে দু–একজন ছাড়া শিক্ষার্থীরা আসে না। প্রায় প্রতিদিনই শ্রেণিশূন্য ক্লাসে অপেক্ষায় থাকেন ওই বিদ্যালয়ের চার শিক্ষক।
শিক্ষকেরা বলছেন, পাঠদানের উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় আশপাশের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা অনুপস্থিত থাকে।
উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানীর ইউনিয়নের ওই বিদ্যালয়টির নাম পূর্ব ছাতুনামা আমিনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে কাগজে-কলমে স্কুলটিতে রয়েছে চারজন শিক্ষক ও ১০৫ জন শিক্ষার্থী।
বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে আছেন খলিলুর রহমান। অন্য তিন সহকারী শিক্ষক হলেন, রকিবুল ইসলাম, আবুল বাশার ও নব্য যোগদান করা রাবেয়া বাশরী। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কাগজপত্র অনুযায়ী, তিনি ওই স্কুলে গত ২২ জানুয়ারি যোগ দিয়েছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চরাঞ্চলে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে ১৯৯১ সালে উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের পূর্ব ছাতুনামা চরে স্থানীয়দের দান করা জমির ওপর পূর্ব ছাতুনামা আমিনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গড়ে ওঠে। জাতীয়করণ হয় ২০১৩ সালে। ২০২০ সালের বন্যায় বিদ্যালয়সহ ছাতুনামা গ্রামটি নদী ভাঙনে বিলীন হয়। এরপর থেকে বিদ্যালয়টির স্থান হয় উত্তর সোনাখুলি এলাকার তিস্তা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর টিনের চালার খুপরি ঘরে।
গত চার দিনে স্কুলটিতে সরেজমিনে দেখা গেছে, কোনো দিন একজন শিক্ষার্থী আবার কোনো দিন একজনও আসেনি।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, এটি সরকারি স্কুল হলেও এখানে অবকাঠামো, শৌচাগার, খেলার মাঠ এমনকি পাঠদান উপযোগী শ্রেণিকক্ষও নেই। এমন পরিবেশ দেখে অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের এখানে পাঠান না।
গতকাল রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, তিস্তা নদীর চরের মাঝে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর ২০ হাত লম্বা টিনের চালাঘর। মাঝখানে বেড়া দিয়ে পাশাপাশি তিনটি শ্রেণিকক্ষ ও একটি অফিস কক্ষ। ঘরের মেঝের ধুলাবালু উড়ছে। নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। সংকীর্ণ ও জরাজীর্ণ কক্ষে তিন-চারটি ভাঙা বেঞ্চ। বিদ্যালয়ের ২০ গজ সামনে-পেছনে তিস্তা নদী। চারদিকে ধু ধু বালুচর।
ছোট অফিস কক্ষে গাদাগাদি করে বসে আছেন চারজন শিক্ষক। নেই পাঠদানের ব্যস্ততা। পঞ্চম শ্রেণির চারজন শিক্ষার্থী একটি কক্ষে বসে আছে। অন্য শ্রেণিকক্ষ দুটি ফাঁকা।
স্থানীয়রা জানায়, এ প্রতিষ্ঠানে প্রাক-প্রাথমিকসহ বেশির ভাগ শ্রেণিতে কোনো শিক্ষার্থীই নেই। পাশের এনজিও পরিচালিত স্কুল থেকে কিছু শিক্ষার্থীদের আনা হয় এখানে।
সহকারী শিক্ষক রকিবুল ইসলাম বলেন, শুকনো মৌসুমে চর এলাকায় তাপমাত্রা দ্বিগুণ হয়। প্রখর রোদে গরম সহ্য করে টিনের চালার নিচে বসে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে চায় না। আর বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ আরও বেশি হয়। তখন তিস্তা ভয়ংকর হয়ে ওঠে। বাঁধের চারদিকে থাকে বানের অথই পানি। এই অবস্থায় শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে। নতুন জায়গা বরাদ্দ না হলে এভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর ইসলাম বলেন, স্কুলের ভবন নেই। টিনের চালাঘর দেখে কেউ বুঝতে পারবে না, এটা সরকারি স্কুল। শুধু পতাকা আর সাইনবোর্ড দেখে বোঝা যায় এটাও একটা স্কুল। শিক্ষার্থীরাতো আসেই না, শিক্ষকেরা এসে বসে থাকেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, ‘ভাঙনের পর নতুন করে বিদ্যালয়টি পুনর্নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। এরপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বাঁধের ওপরে অস্থায়ীভাবে বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা হয়। পাঠদানের উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় আশপাশের শিক্ষার্থীরা এখানে আসে না। এমন পরিবেশে শিক্ষার্থীতো দূরের কথা শিক্ষকরাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। শিক্ষার্থী আসুক বা না আসুক আমাদের তো আসতেই হবে এখানে।’
তিনি জানান, নতুনভাবে জায়গা নির্ধারণ করে স্থানান্তরের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েছি। কোনো সারা মেলেনি।
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক কষ্টে চরের শিক্ষাবঞ্চিত মানুষের জন্য স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। সেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল তিন শতাধিক। নদী ভাঙনের পর জায়গার অভাবে নিজ হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানটির এখন করুন অবস্থা।’
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ এম শাহজাহান সিদ্দিক বলেন, শিক্ষার্থী ছাড়া বিদ্যালয় চলতে পারে না। যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে বিদ্যালয়টি বিলুপ্ত করে শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেন তিনি।
নীলফামারীর ডিমলায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণিতে কাগজে–কলমে ১০৫ জন শিক্ষার্থীর নাম থাকলেও মাঝে মাঝে দু–একজন ছাড়া শিক্ষার্থীরা আসে না। প্রায় প্রতিদিনই শ্রেণিশূন্য ক্লাসে অপেক্ষায় থাকেন ওই বিদ্যালয়ের চার শিক্ষক।
শিক্ষকেরা বলছেন, পাঠদানের উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় আশপাশের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা অনুপস্থিত থাকে।
উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানীর ইউনিয়নের ওই বিদ্যালয়টির নাম পূর্ব ছাতুনামা আমিনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে কাগজে-কলমে স্কুলটিতে রয়েছে চারজন শিক্ষক ও ১০৫ জন শিক্ষার্থী।
বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে আছেন খলিলুর রহমান। অন্য তিন সহকারী শিক্ষক হলেন, রকিবুল ইসলাম, আবুল বাশার ও নব্য যোগদান করা রাবেয়া বাশরী। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কাগজপত্র অনুযায়ী, তিনি ওই স্কুলে গত ২২ জানুয়ারি যোগ দিয়েছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চরাঞ্চলে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে ১৯৯১ সালে উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের পূর্ব ছাতুনামা চরে স্থানীয়দের দান করা জমির ওপর পূর্ব ছাতুনামা আমিনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গড়ে ওঠে। জাতীয়করণ হয় ২০১৩ সালে। ২০২০ সালের বন্যায় বিদ্যালয়সহ ছাতুনামা গ্রামটি নদী ভাঙনে বিলীন হয়। এরপর থেকে বিদ্যালয়টির স্থান হয় উত্তর সোনাখুলি এলাকার তিস্তা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর টিনের চালার খুপরি ঘরে।
গত চার দিনে স্কুলটিতে সরেজমিনে দেখা গেছে, কোনো দিন একজন শিক্ষার্থী আবার কোনো দিন একজনও আসেনি।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, এটি সরকারি স্কুল হলেও এখানে অবকাঠামো, শৌচাগার, খেলার মাঠ এমনকি পাঠদান উপযোগী শ্রেণিকক্ষও নেই। এমন পরিবেশ দেখে অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের এখানে পাঠান না।
গতকাল রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, তিস্তা নদীর চরের মাঝে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর ২০ হাত লম্বা টিনের চালাঘর। মাঝখানে বেড়া দিয়ে পাশাপাশি তিনটি শ্রেণিকক্ষ ও একটি অফিস কক্ষ। ঘরের মেঝের ধুলাবালু উড়ছে। নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। সংকীর্ণ ও জরাজীর্ণ কক্ষে তিন-চারটি ভাঙা বেঞ্চ। বিদ্যালয়ের ২০ গজ সামনে-পেছনে তিস্তা নদী। চারদিকে ধু ধু বালুচর।
ছোট অফিস কক্ষে গাদাগাদি করে বসে আছেন চারজন শিক্ষক। নেই পাঠদানের ব্যস্ততা। পঞ্চম শ্রেণির চারজন শিক্ষার্থী একটি কক্ষে বসে আছে। অন্য শ্রেণিকক্ষ দুটি ফাঁকা।
স্থানীয়রা জানায়, এ প্রতিষ্ঠানে প্রাক-প্রাথমিকসহ বেশির ভাগ শ্রেণিতে কোনো শিক্ষার্থীই নেই। পাশের এনজিও পরিচালিত স্কুল থেকে কিছু শিক্ষার্থীদের আনা হয় এখানে।
সহকারী শিক্ষক রকিবুল ইসলাম বলেন, শুকনো মৌসুমে চর এলাকায় তাপমাত্রা দ্বিগুণ হয়। প্রখর রোদে গরম সহ্য করে টিনের চালার নিচে বসে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে চায় না। আর বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ আরও বেশি হয়। তখন তিস্তা ভয়ংকর হয়ে ওঠে। বাঁধের চারদিকে থাকে বানের অথই পানি। এই অবস্থায় শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে। নতুন জায়গা বরাদ্দ না হলে এভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর ইসলাম বলেন, স্কুলের ভবন নেই। টিনের চালাঘর দেখে কেউ বুঝতে পারবে না, এটা সরকারি স্কুল। শুধু পতাকা আর সাইনবোর্ড দেখে বোঝা যায় এটাও একটা স্কুল। শিক্ষার্থীরাতো আসেই না, শিক্ষকেরা এসে বসে থাকেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, ‘ভাঙনের পর নতুন করে বিদ্যালয়টি পুনর্নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। এরপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বাঁধের ওপরে অস্থায়ীভাবে বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা হয়। পাঠদানের উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় আশপাশের শিক্ষার্থীরা এখানে আসে না। এমন পরিবেশে শিক্ষার্থীতো দূরের কথা শিক্ষকরাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। শিক্ষার্থী আসুক বা না আসুক আমাদের তো আসতেই হবে এখানে।’
তিনি জানান, নতুনভাবে জায়গা নির্ধারণ করে স্থানান্তরের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েছি। কোনো সারা মেলেনি।
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক কষ্টে চরের শিক্ষাবঞ্চিত মানুষের জন্য স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। সেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল তিন শতাধিক। নদী ভাঙনের পর জায়গার অভাবে নিজ হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানটির এখন করুন অবস্থা।’
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ এম শাহজাহান সিদ্দিক বলেন, শিক্ষার্থী ছাড়া বিদ্যালয় চলতে পারে না। যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে বিদ্যালয়টি বিলুপ্ত করে শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেন তিনি।
মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৪৩ মিনিট আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৮ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৮ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৯ ঘণ্টা আগে