খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
কনকনে শীতে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় বাড়ছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগী। এ কারণে চিকিৎসা নিতে এসে অনেক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে।
আজ শনিবার সকালে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা গেছে, নারী, পুরুষ ও শিশু ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৫০-৫৫ জন রোগী ভর্তি হলেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন ১০-১২ জন রোগী এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ৭-৮ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি হলেও আন্তরিকতার সঙ্গে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স-মিডওয়াইফ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেই সঙ্গে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকে এখন রোগীর ভিড় বাড়ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আরও জানা গেছে, গত সপ্তাহ থেকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগের প্রতিদিন গড়ে ৩৫-৪০ জন ডায়রিয়া রোগী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন এবং ৯-১০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছে। এসবের সঙ্গে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের রোগীরাও বেশ আসছে।
উপজেলার বাহাদুর বাজার এলাকার খালেদা বেগম (৫০) গত বুধবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আছেন। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে ডায়রিয়া হওয়ায় হাসপাতালে এলে ডাক্তার ভর্তির পরামর্শ দেন। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ট্রিটমেন্টে আগের চেয়ে এখন শারীরিক অবস্থা অনেকটা ভালো।’
আজ দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দুই বছর বয়সী এক শিশুকে নিয়ে সেবা নিতে আসেন ছাতিয়ানগড় গ্রামের নূর মোহাম্মদ। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনডোরে ভর্তি করান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডায়রিয়া ও চেহারা ফ্যাকাশে হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করাইছি; এখন চিকিৎসা চলমান রয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে। এ সময় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং শিশুদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। পাতলা পায়খানা শুরু হলে মুখে খাবার স্যালাইন বারবার খাওয়াতে হবে।’ প্রয়োজনে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মলয় কুমার মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। এতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই।’ এ ছাড়া খোলা ও বাসি খাবার পরিহারের পাশাপাশি সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকারও পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।
এদিকে আজ দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলায় এই সপ্তাহে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে বলে জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান।
কনকনে শীতে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় বাড়ছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগী। এ কারণে চিকিৎসা নিতে এসে অনেক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে।
আজ শনিবার সকালে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা গেছে, নারী, পুরুষ ও শিশু ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৫০-৫৫ জন রোগী ভর্তি হলেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন ১০-১২ জন রোগী এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ৭-৮ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি হলেও আন্তরিকতার সঙ্গে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স-মিডওয়াইফ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেই সঙ্গে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকে এখন রোগীর ভিড় বাড়ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আরও জানা গেছে, গত সপ্তাহ থেকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগের প্রতিদিন গড়ে ৩৫-৪০ জন ডায়রিয়া রোগী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন এবং ৯-১০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছে। এসবের সঙ্গে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের রোগীরাও বেশ আসছে।
উপজেলার বাহাদুর বাজার এলাকার খালেদা বেগম (৫০) গত বুধবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আছেন। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে ডায়রিয়া হওয়ায় হাসপাতালে এলে ডাক্তার ভর্তির পরামর্শ দেন। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ট্রিটমেন্টে আগের চেয়ে এখন শারীরিক অবস্থা অনেকটা ভালো।’
আজ দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দুই বছর বয়সী এক শিশুকে নিয়ে সেবা নিতে আসেন ছাতিয়ানগড় গ্রামের নূর মোহাম্মদ। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনডোরে ভর্তি করান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডায়রিয়া ও চেহারা ফ্যাকাশে হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করাইছি; এখন চিকিৎসা চলমান রয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শামসুদ্দোহা মুকুল বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে। এ সময় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং শিশুদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। পাতলা পায়খানা শুরু হলে মুখে খাবার স্যালাইন বারবার খাওয়াতে হবে।’ প্রয়োজনে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মলয় কুমার মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। এতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই।’ এ ছাড়া খোলা ও বাসি খাবার পরিহারের পাশাপাশি সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকারও পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।
এদিকে আজ দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলায় এই সপ্তাহে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে বলে জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান।
আগুনে দগ্ধ রোগীদের শারীরিক আঘাতের সঙ্গে সঙ্গে প্রবল মানসিক ধাক্কাও সইতে হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে মানসিক আঘাতের মাত্রাটা বেশি। রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত শিশুদের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হঠাৎ বিমান ধসে আগুন ধরে যাওয়া, চোখের সামনে সহপাঠীদের...
৫ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে মাত্র দুটি বৈদ্যুতিক বাল্ব, দুটি সিলিং ফ্যান ও একটি ফ্রিজ চালিয়ে ঝালমুড়ি বিক্রেতা মো. আবদুল মান্নানের বাড়িতে এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৪ টাকা। এ ‘ভুতুড়ে বিল’ পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী। ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝেও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
৫ ঘণ্টা আগেমেঘনার ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ভোলার মনপুরা উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটনকেন্দ্র দখিনা হাওয়া সৈকতের বেশ কিছু অংশ। ফলে দূরদূরান্ত থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা সেখানে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
৫ ঘণ্টা আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের ৩৮ কিলোমিটার এলাকায় বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করছেন। গত ৭ মাসে মহাসড়কের এই অংশে অর্ধশতাধিক দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের প্রাণহানি ও শতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
৫ ঘণ্টা আগে