জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
তিস্তায় শুষ্ক মৌসুমে নৌকা চলাচল কমে যায়। বর্ষা মৌসুমে এই তিস্তা নদী হয়ে ওঠে টইটম্বুর। এ সময় তিস্তা উপকূলবর্তী নৌকার মাঝি, জেলে, কৃষক ও বাসিন্দাদের প্রধান ভরসা হয়ে ওঠে নৌকা। তাই বর্ষার আগমনে নৌকা তৈরিতে তিস্তা নদীর তীরে মাঝি, জেলে ও চরের বাসিন্দারা এখন সরব। অনেকেই তৈরি করছেন নতুন নতুন নৌকা। আবার অনেকে পুরোনো নৌকাও মেরামত করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, তিস্তাতীরবর্তী নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার চর কিসামত, ডালিয়া ব্যারাজ, চর খড়িবাড়ী, বাইশপুকুর, ভেন্ডাবাড়ী চরসহ বিভিন্ন চর এলাকায় পুরোনো নৌকা মেরামত ও নতুন নৌকা তৈরির ধুম পড়েছে। সবাই শুষ্ক মৌসুমেই বর্ষার জন্য নিজেদের নতুন নৌকা তৈরি ও মেরামত করে প্রস্তুত রাখছেন।
তিস্তাতীরবর্তী নৌকার মাঝি, জেলে ও কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, প্রতিবছরই পুরোনো নৌকা মেরামত করতে হয়। অন্যথায় বর্ষা মৌসুমে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। শুষ্ক মৌসুমের মেরামতকৃত নৌকা দিয়ে পুরো বর্ষা মৌসুমে নদী পারাপার, সবজি ও মালামাল পরিবহন করতে হয়। এ ছাড়া স্থানীয় জেলেরা নৌকা নিয়ে বর্ষা মৌসুমে নদীর গভীরে মাছ ধরতে যান। বর্ষা মৌসুমে আবার অনেকে মাসিক ভিত্তিতে নৌকা ভাড়াও দেন।
চর কিসামত ঘাটের মাঝি জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রতি শুকনো মৌসুমে তিস্তা নদীতে পানি কম থাকে। এ সময় পুরোনো নৌকাগুলো মেরামত করে নিতে হয়। তিনি ইতিমধ্যে একটি বড় নৌকাসহ তিনটি নৌকা মেরামত করে বর্ষার জন্য প্রস্তুত রেখেছেন। তিন টন ধারণক্ষমতার নৌকা মেরামতে বর্তমান সময়ে ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। একই নৌকা নতুন করে বানাতে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। ১০ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন নৌকা তৈরিতে লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়। এ সময় নৌকার কারিগরদের পারিশ্রমিকও অনেক বেড়ে যায়। হাত (দেড় ফুট) হিসেবে নৌকা মেরামতের মজুরি নির্ধারণ করা হয়। প্রতি হাত (দেড় ফুট) নৌকা মেরামতে ১০০ টাকা দিতে হয়। এভাবে প্রতিটি বড় নৌকা মেরামতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা মজুরি দিতে হয় কারিগরদের। এমনকি চলতি মৌসুমে নৌকা মেরামত করে যাওয়ার সময় কারিগরদের আগামী মৌসুমের জন্য অগ্রিম টাকাও প্রদান করা হয়।
নৌকার কারিগর মাহমুদ আলী জানান, নৌকা তৈরি ও মেরামত তাঁর পূর্বপুরুষের পেশা। তিনি গত ৪০ বছর ধরে এই পেশা ধরে রেখেছেন। প্রতি মৌসুমে তিনি ছোট-বড় প্রকারভেদে ২০টি নৌকা তৈরি করেন। পুরোনো নৌকাও মেরামত করেন। এখন চলছে নৌকা মেরামতের শেষ সময়। ছোট নৌকা তৈরিতে ২ থেকে ৪ এবং বড় নৌকা তৈরিতে ২৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগে। নতুন নৌকা তৈরিতে বিশেষ করে আকাশমণি, মেহগনি, কড়ই, ছামালিশগাছ বেশি ব্যবহার করা হয়। ছোট নৌকা তৈরিতে ১০ থেকে ১২ হাজার এবং বড় নৌকা তৈরিতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত মজুরি নেওয়া হয়। পুরোনো নৌকা মেরামতে নৌকার আকার অনুযায়ী ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মজুরি নেওয়া হয়।
ডিমলা উপজেলার খগা খড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন জানান, বর্ষা মৌসুমে এসব চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা নৌকা। তাই এই সময়ে নৌকা তৈরি ও মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। চরের এসব মানুষ শুকনো মৌসুমে তিস্তায় মাছ ধরে এবং কেউ কৃষিশ্রমিক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করেন। দুর্যোগকালীন এসব পরিবারকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হয়।
তিস্তায় শুষ্ক মৌসুমে নৌকা চলাচল কমে যায়। বর্ষা মৌসুমে এই তিস্তা নদী হয়ে ওঠে টইটম্বুর। এ সময় তিস্তা উপকূলবর্তী নৌকার মাঝি, জেলে, কৃষক ও বাসিন্দাদের প্রধান ভরসা হয়ে ওঠে নৌকা। তাই বর্ষার আগমনে নৌকা তৈরিতে তিস্তা নদীর তীরে মাঝি, জেলে ও চরের বাসিন্দারা এখন সরব। অনেকেই তৈরি করছেন নতুন নতুন নৌকা। আবার অনেকে পুরোনো নৌকাও মেরামত করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, তিস্তাতীরবর্তী নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার চর কিসামত, ডালিয়া ব্যারাজ, চর খড়িবাড়ী, বাইশপুকুর, ভেন্ডাবাড়ী চরসহ বিভিন্ন চর এলাকায় পুরোনো নৌকা মেরামত ও নতুন নৌকা তৈরির ধুম পড়েছে। সবাই শুষ্ক মৌসুমেই বর্ষার জন্য নিজেদের নতুন নৌকা তৈরি ও মেরামত করে প্রস্তুত রাখছেন।
তিস্তাতীরবর্তী নৌকার মাঝি, জেলে ও কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, প্রতিবছরই পুরোনো নৌকা মেরামত করতে হয়। অন্যথায় বর্ষা মৌসুমে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। শুষ্ক মৌসুমের মেরামতকৃত নৌকা দিয়ে পুরো বর্ষা মৌসুমে নদী পারাপার, সবজি ও মালামাল পরিবহন করতে হয়। এ ছাড়া স্থানীয় জেলেরা নৌকা নিয়ে বর্ষা মৌসুমে নদীর গভীরে মাছ ধরতে যান। বর্ষা মৌসুমে আবার অনেকে মাসিক ভিত্তিতে নৌকা ভাড়াও দেন।
চর কিসামত ঘাটের মাঝি জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রতি শুকনো মৌসুমে তিস্তা নদীতে পানি কম থাকে। এ সময় পুরোনো নৌকাগুলো মেরামত করে নিতে হয়। তিনি ইতিমধ্যে একটি বড় নৌকাসহ তিনটি নৌকা মেরামত করে বর্ষার জন্য প্রস্তুত রেখেছেন। তিন টন ধারণক্ষমতার নৌকা মেরামতে বর্তমান সময়ে ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। একই নৌকা নতুন করে বানাতে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। ১০ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন নৌকা তৈরিতে লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়। এ সময় নৌকার কারিগরদের পারিশ্রমিকও অনেক বেড়ে যায়। হাত (দেড় ফুট) হিসেবে নৌকা মেরামতের মজুরি নির্ধারণ করা হয়। প্রতি হাত (দেড় ফুট) নৌকা মেরামতে ১০০ টাকা দিতে হয়। এভাবে প্রতিটি বড় নৌকা মেরামতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা মজুরি দিতে হয় কারিগরদের। এমনকি চলতি মৌসুমে নৌকা মেরামত করে যাওয়ার সময় কারিগরদের আগামী মৌসুমের জন্য অগ্রিম টাকাও প্রদান করা হয়।
নৌকার কারিগর মাহমুদ আলী জানান, নৌকা তৈরি ও মেরামত তাঁর পূর্বপুরুষের পেশা। তিনি গত ৪০ বছর ধরে এই পেশা ধরে রেখেছেন। প্রতি মৌসুমে তিনি ছোট-বড় প্রকারভেদে ২০টি নৌকা তৈরি করেন। পুরোনো নৌকাও মেরামত করেন। এখন চলছে নৌকা মেরামতের শেষ সময়। ছোট নৌকা তৈরিতে ২ থেকে ৪ এবং বড় নৌকা তৈরিতে ২৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগে। নতুন নৌকা তৈরিতে বিশেষ করে আকাশমণি, মেহগনি, কড়ই, ছামালিশগাছ বেশি ব্যবহার করা হয়। ছোট নৌকা তৈরিতে ১০ থেকে ১২ হাজার এবং বড় নৌকা তৈরিতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত মজুরি নেওয়া হয়। পুরোনো নৌকা মেরামতে নৌকার আকার অনুযায়ী ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মজুরি নেওয়া হয়।
ডিমলা উপজেলার খগা খড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন জানান, বর্ষা মৌসুমে এসব চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা নৌকা। তাই এই সময়ে নৌকা তৈরি ও মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। চরের এসব মানুষ শুকনো মৌসুমে তিস্তায় মাছ ধরে এবং কেউ কৃষিশ্রমিক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করেন। দুর্যোগকালীন এসব পরিবারকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হয়।
আগুনে দগ্ধ রোগীদের শারীরিক আঘাতের সঙ্গে সঙ্গে প্রবল মানসিক ধাক্কাও সইতে হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে মানসিক আঘাতের মাত্রাটা বেশি। রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত শিশুদের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হঠাৎ বিমান ধসে আগুন ধরে যাওয়া, চোখের সামনে সহপাঠীদের...
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে মাত্র দুটি বৈদ্যুতিক বাল্ব, দুটি সিলিং ফ্যান ও একটি ফ্রিজ চালিয়ে ঝালমুড়ি বিক্রেতা মো. আবদুল মান্নানের বাড়িতে এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১০ লাখ ৯২ হাজার ৮৬৪ টাকা। এ ‘ভুতুড়ে বিল’ পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী। ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝেও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
১ ঘণ্টা আগেমেঘনার ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ভোলার মনপুরা উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটনকেন্দ্র দখিনা হাওয়া সৈকতের বেশ কিছু অংশ। ফলে দূরদূরান্ত থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা সেখানে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের ৩৮ কিলোমিটার এলাকায় বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করছেন। গত ৭ মাসে মহাসড়কের এই অংশে অর্ধশতাধিক দুর্ঘটনায় ৩৮ জনের প্রাণহানি ও শতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে