রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরের পীরগাছায় কালো তালিকাভুক্ত সংগঠন হেজবুত তাওহীদের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে হেজবুত তাওহীদের অফিসসহ চার কর্মীর বাড়িতে। এ ছাড়া দুই কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এতে উভয় পক্ষের অনন্ত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার উপজেলার পারুল ইউনিয়নের নাগদাহ সিদাম এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বেলা ২টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চলে। এরপর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হেজবুত তাওহীদের বৈঠকে স্থানীয় ব্যক্তিরা বাধা দিতে গেলে তাঁরা হামলা চালান। হেজবুত তাওহীদের নেতা-কর্মীরা চায়নিজ কুড়াল, রামদা, পিস্তসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন। হিজবুত তাওহীদের নেতৃত্বে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জিল্লাহ।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাগদাহ সিদাম এলাকায় হেজবুত তাওহীদের বিভাগীয় কর্মী সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। প্যান্ডেল টাঙানো হলে তা গতকাল রোববার স্থানীয় জনতা ভেঙে দেয়। এরপর আজ হেজবুত তাওহীদের রংপুর বিভাগীয় আমির আব্দুল কুদ্দুস শামীমের বাড়িতে ৪০-৫০ জন কর্মী গোপন বৈঠক করছিলেন। বৈঠকের খবর পেয়ে এলাকাবাসী তাঁদের বাধা দেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং মুহূর্তে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষ চলাকালে হেজবুত তাওহীদের চার কর্মীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং আরও দুই কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদের প্রায় ২০টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থেকে আসা হেজবুত তাওহীদের কর্মী হাসিম উদ্দিন বলেন, ‘নাগদাহ সিদাম এলাকায় হিজবুত তাওহীদের কর্মী সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্থানীয় জনগণ বাধা দেয় এবং প্যান্ডেল ভেঙে দেয়। এ জন্য আমরা আর কর্মী সমাবেশ করব না। তাই আমাদের কর্মীদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার জন্য আজ সকালে আসি। কিন্তু স্থানীয় জনতা “হেজুবত তাওহীদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দাও ভেঙে দাও” স্লোগান নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা করে। বাড়িঘর ভেঙে দেয়।’
জানতে চাইলে নীলফামারী জেলার হেজবুত তাওহীদের সভাপতি নুর আলম সরকার বলেন, ‘সাংগঠনিক কথাবার্তার জন্য আমরা এসেছিলাম। কিন্তু আমাদের ওপর হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আমাদের অপরাধ আমরা হেজবুত তাওহীদ করি। আমাদের কাছে কোনো অস্ত্র নেই।’
এ বিষয়ে জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) আসিফা আফরোজ আদরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে এবং দুই নারীকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হক সুমন বলেন, পারুল ইউনিয়নে মঙ্গলবার হেজবুত তাওহীদের একটি সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। সেই সমাবেশ ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তা থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত। সংঘর্ষের পর পুরো এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
রংপুরের পীরগাছায় কালো তালিকাভুক্ত সংগঠন হেজবুত তাওহীদের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে হেজবুত তাওহীদের অফিসসহ চার কর্মীর বাড়িতে। এ ছাড়া দুই কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এতে উভয় পক্ষের অনন্ত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার উপজেলার পারুল ইউনিয়নের নাগদাহ সিদাম এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বেলা ২টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চলে। এরপর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হেজবুত তাওহীদের বৈঠকে স্থানীয় ব্যক্তিরা বাধা দিতে গেলে তাঁরা হামলা চালান। হেজবুত তাওহীদের নেতা-কর্মীরা চায়নিজ কুড়াল, রামদা, পিস্তসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন। হিজবুত তাওহীদের নেতৃত্বে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জিল্লাহ।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাগদাহ সিদাম এলাকায় হেজবুত তাওহীদের বিভাগীয় কর্মী সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। প্যান্ডেল টাঙানো হলে তা গতকাল রোববার স্থানীয় জনতা ভেঙে দেয়। এরপর আজ হেজবুত তাওহীদের রংপুর বিভাগীয় আমির আব্দুল কুদ্দুস শামীমের বাড়িতে ৪০-৫০ জন কর্মী গোপন বৈঠক করছিলেন। বৈঠকের খবর পেয়ে এলাকাবাসী তাঁদের বাধা দেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং মুহূর্তে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষ চলাকালে হেজবুত তাওহীদের চার কর্মীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং আরও দুই কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদের প্রায় ২০টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থেকে আসা হেজবুত তাওহীদের কর্মী হাসিম উদ্দিন বলেন, ‘নাগদাহ সিদাম এলাকায় হিজবুত তাওহীদের কর্মী সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্থানীয় জনগণ বাধা দেয় এবং প্যান্ডেল ভেঙে দেয়। এ জন্য আমরা আর কর্মী সমাবেশ করব না। তাই আমাদের কর্মীদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার জন্য আজ সকালে আসি। কিন্তু স্থানীয় জনতা “হেজুবত তাওহীদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দাও ভেঙে দাও” স্লোগান নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা করে। বাড়িঘর ভেঙে দেয়।’
জানতে চাইলে নীলফামারী জেলার হেজবুত তাওহীদের সভাপতি নুর আলম সরকার বলেন, ‘সাংগঠনিক কথাবার্তার জন্য আমরা এসেছিলাম। কিন্তু আমাদের ওপর হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আমাদের অপরাধ আমরা হেজবুত তাওহীদ করি। আমাদের কাছে কোনো অস্ত্র নেই।’
এ বিষয়ে জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) আসিফা আফরোজ আদরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে এবং দুই নারীকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হক সুমন বলেন, পারুল ইউনিয়নে মঙ্গলবার হেজবুত তাওহীদের একটি সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। সেই সমাবেশ ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তা থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত। সংঘর্ষের পর পুরো এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ব্যবসায়ী আনোয়ার বলেন, ‘আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন সমিতি থেকে ৭০-৮০ লাখ টাকা ঋণ করেছি। এ বছর মেয়েটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাব। এখন তো আমার কিছুই নেই। একেবারে নিঃস্ব আমি।’
২ মিনিট আগেমালয়েশিয়ায় পাঠানোর দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। পরে তাঁরা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় অভিমুখে রওনা হন এবং সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
৩ মিনিট আগেদেশে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়ন বন্ধের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ধর্ষকদের বিচার নিশ্চিতের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীরা প্রতিবাদ মিছিল এবং বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা।
১৭ মিনিট আগেইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন জিয়া পরিষদের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী এক বছরের জন্য কমিটির সভাপতি হিসেবে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফারুকুজ্জামান খান এবং আরবি...
২০ মিনিট আগে