Ajker Patrika

নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, বিকল যক্ষ্মা শনাক্তের জিন এক্সপার্ট

সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২: ৩৯
নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, বিকল যক্ষ্মা শনাক্তের জিন এক্সপার্ট

নানা সমস্যায় জর্জরিত ঠাকুরগাঁওয়ের একমাত্র বক্ষব্যাধি ক্লিনিক। জেলা শহরের সত্যপীর ব্রিজ এলাকায় অবস্থিত ক্লিনিকটির পুরোনো ভবন, জনবলের সংকট, নিরাপত্তার অভাব ও নষ্ট যক্ষ্মা শনাক্তের জিন এক্সপার্ট মেশিন নিয়ে কোনো রকমে চলছে এর কার্যক্রম। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সেবাপ্রার্থীরা। 

ক্লিনিক সূত্রে জানা যায়, দ্রুত ও নির্ভুল যক্ষ্মা রোগী শনাক্তের জন্য ২০১৪ সালে প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের একটি জিন এক্সপার্ট মেশিন ক্লিনিকে বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। চালুর পর থেকে ঠাকুরগাঁও ও এর আশপাশের জেলাগুলো থেকে প্রতিদিন শত শত রোগী এই মেশিনের সাহায্যে যক্ষ্মা নির্ণয় করছে। গত সাত বছর ধরে মেশিনটি দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হলেও ২০২১ সালের শেষের দিকে মেশিনটি নষ্ট হয়ে যায়। বিকল মেশিন মেরামতের জন্য একাধিকবার স্বাস্থ্য বিভাগে চিঠি দিয়েও সাড়া পাচ্ছে না ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ৫৮ বছরের পুরোনো এই চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র সংস্কারের অভাবে বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। পলেস্তারা উঠে গেছে বিভিন্ন স্থানে। 

ক্লিনিকের ল্যাব সহকারী মেহেদুল ইসলাম বলেন, আগে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ জন রোগীর স্যাম্পল জিন এক্সাপার্ট মেশিন দ্বারা যক্ষ্মারোগ নির্ণয় করা যেত। এতে অল্প সময়ে দ্রুত রোগ শনাক্ত করা হয়। তবে এখন দৈনিক দুই থেকে তিনজন রোগীর পরীক্ষা করা হয়। জিন এক্সাপার্ট মেশিনের চারটি মোডিউলের মধ্যে তিনটিই অকেজো। 

ল্যাব সাপোর্ট সহকারী মামুনুর রশিদ বলেন, ‘ক্লিনিকের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটিও অ্যানালগ হওয়ায় তা ১৬ বছর ধরে রোগ নির্ণয়ে অকার্যকর। এতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বিড়ম্বনায় পড়ে।’ 

ক্লিনিকে একমাত্র মেডিকেল অফিসারই সবাইকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেনবক্ষব্যাধি ক্লিনিকের মেডিকেল অফিসার শুভেন্দু কুমার দেবনাথ বলেন, ‘বিকল হওয়া জিন এক্সাপার্ট মেশিনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কয়েকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি। একই সঙ্গে একটি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনের জন্যও আবেদন করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগে কয়েক দফা চিঠি দিলেও এখনো সাড়া পাওয়া যায়নি।’ এই চিকিৎসক আরও বলেন, ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদটিও ১১ বছর ধরে শূন্য। একজন চিকিৎসক দিয়ে এখানে প্রতিদিন ৪০-৫০ জন রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেন। 

জেলা সিভিল সার্জন নূর নেওয়াজ আহমেদ বলেন, ‘জিন এক্সপার্ট মেশিনের নষ্ট মোডিউলগুলোর বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করেছি। অন্যদিকে ক্লিনিক ভবনটি অনেক পুরোনো। তাই জীর্ণদশা। ভবনটি সংস্কারের জন্য স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। শূন্য কনসালট্যান্ট পদটি পূরণের জন্য ঢাকায় জানানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চকরিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

হোয়াইট হাউসে মধ্যাহ্নভোজের আগেই বের হয়ে যেতে বলা হয় জেলেনস্কিকে

‘আমাদের অনুমতি ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করলে থানা ঘেরাও করব’, সরকারি কর্মকর্তার বক্তব্য ভাইরাল

সিরিয়ায় রাশিয়ার ঘাঁটি রাখতে যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলের তদবির

এনসিপির কর্মীদের ঢাকায় আনতে সরকারের বাস রিকুইজিশন, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত