নীলফামারী প্রতিনিধি
বাগান থেকে সুপারি চুরি করে বিক্রি করতেন বাজারে। সেখানে কয়েকজনের সঙ্গে গড়ে ওঠে সখ্যতা। এরপর শুরু করেন ছাগল চুরি। আরও কয়েকজনের সখ্যতায় সেখান থেকে হয়ে ওঠেন গরু চোর। এমন একটি গরু চোর চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে নীলফামারীর জলঢাকা পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. গোলাম সবুর।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জলঢাকার বগুলাগাড়ী পশ্চিমপাড়া গ্রামের তরিকুল ইসলাম (২৩), বগুলাগাড়ী বারঘড়িয়া ধাড়াবেচাটারী গ্রামের ছাদেকুল ইসলাম (২৩), কদমতলী হাজীপাড়া গ্রামের উমর ফারুক (২৫), বগুলাগাড়ী মাঝাপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (২৫) ও পূর্বকাঁঠালী ক্যানেলেরপাড় গ্রামের শংকর চন্দ্র রায় (১৯)।
পুলিশ সুপার গোলাম সবুর জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের শালনগ্রাম বটতলী গ্রামের কমলকান্ত রায়ের বাড়ি থেকে ছয়টি গরু চুরি হয়। ওই রাতেই জলঢাকা থানায় একটি মামলা দায়ের হলে চুরি যাওয়া গরু উদ্ধার করতে অভিযানে নামে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে তরিকুল ইসলাম দলনেতা। দুই সহযোগী শংকর ও ছাদেকুলকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির বাগান থেকে সুপারি চুরি করে জলঢাকা বাজারে বিক্রি করতেন। ওই বাজারে তাঁদের সঙ্গে পরিচয় হয় ওমর ফারুক ও আব্দুর রাজ্জাকের। পরে তাঁরা সংঘবদ্ধ হয়ে তরিকুলের নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ছাগল চুরি করে হাটবাজারে বিক্রি করতেন।
এভাবে এলাকায় অর্ধশত ছাগল চুরির পর আরও কিছু চোরের সখ্যতায় গরু চুরি শুরু করেন তাঁরা। এ কাজে শংকর ও ছাদেকুল দিনের বেলায় শালনগ্রাম, সাইডনালা, বারোগ্রাম এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে গরুর সন্ধান করেন।
পরে তরিকুলের নেতৃত্বে শংকর, ছাদেকুল রাজ্জাকসহ অন্য সহযোগীরা রাতে ওই বাড়ি থেকে গরু চুরি করে নিয়ে নির্জন স্থানে অপেক্ষা করতে থাকেন। এরপর তরিকুল মোবাইল ফোনে কল দিলে মিনি ট্রাক নিয়ে হাজির হতেন উমর ফারুক। এরপর তাঁরা চোরাই গরু ট্রাকে তুলে বিভিন্ন হাট-বাজারে নিয়ে বিক্রি করতেন। এভাবে তাঁরা গত দেড় বছরে মোট ৪৮টি গরু চুরি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর ও জলঢাকা থানার পরিদর্শক মুক্তারুল আলম উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে।
জলঢাকা থানার পরিদর্শক মো. মুক্তারুল আলম জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে তরিকুল, শংকর, ছাদেকুল বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর দুই আসামি উমর ফারুক ও আব্দুর রাজ্জাককে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে গরু চুরির কাজে ব্যবহৃত মিনি ট্রাক ও গরু উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
বাগান থেকে সুপারি চুরি করে বিক্রি করতেন বাজারে। সেখানে কয়েকজনের সঙ্গে গড়ে ওঠে সখ্যতা। এরপর শুরু করেন ছাগল চুরি। আরও কয়েকজনের সখ্যতায় সেখান থেকে হয়ে ওঠেন গরু চোর। এমন একটি গরু চোর চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে নীলফামারীর জলঢাকা পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. গোলাম সবুর।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জলঢাকার বগুলাগাড়ী পশ্চিমপাড়া গ্রামের তরিকুল ইসলাম (২৩), বগুলাগাড়ী বারঘড়িয়া ধাড়াবেচাটারী গ্রামের ছাদেকুল ইসলাম (২৩), কদমতলী হাজীপাড়া গ্রামের উমর ফারুক (২৫), বগুলাগাড়ী মাঝাপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (২৫) ও পূর্বকাঁঠালী ক্যানেলেরপাড় গ্রামের শংকর চন্দ্র রায় (১৯)।
পুলিশ সুপার গোলাম সবুর জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের শালনগ্রাম বটতলী গ্রামের কমলকান্ত রায়ের বাড়ি থেকে ছয়টি গরু চুরি হয়। ওই রাতেই জলঢাকা থানায় একটি মামলা দায়ের হলে চুরি যাওয়া গরু উদ্ধার করতে অভিযানে নামে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে তরিকুল ইসলাম দলনেতা। দুই সহযোগী শংকর ও ছাদেকুলকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির বাগান থেকে সুপারি চুরি করে জলঢাকা বাজারে বিক্রি করতেন। ওই বাজারে তাঁদের সঙ্গে পরিচয় হয় ওমর ফারুক ও আব্দুর রাজ্জাকের। পরে তাঁরা সংঘবদ্ধ হয়ে তরিকুলের নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ছাগল চুরি করে হাটবাজারে বিক্রি করতেন।
এভাবে এলাকায় অর্ধশত ছাগল চুরির পর আরও কিছু চোরের সখ্যতায় গরু চুরি শুরু করেন তাঁরা। এ কাজে শংকর ও ছাদেকুল দিনের বেলায় শালনগ্রাম, সাইডনালা, বারোগ্রাম এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে গরুর সন্ধান করেন।
পরে তরিকুলের নেতৃত্বে শংকর, ছাদেকুল রাজ্জাকসহ অন্য সহযোগীরা রাতে ওই বাড়ি থেকে গরু চুরি করে নিয়ে নির্জন স্থানে অপেক্ষা করতে থাকেন। এরপর তরিকুল মোবাইল ফোনে কল দিলে মিনি ট্রাক নিয়ে হাজির হতেন উমর ফারুক। এরপর তাঁরা চোরাই গরু ট্রাকে তুলে বিভিন্ন হাট-বাজারে নিয়ে বিক্রি করতেন। এভাবে তাঁরা গত দেড় বছরে মোট ৪৮টি গরু চুরি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর ও জলঢাকা থানার পরিদর্শক মুক্তারুল আলম উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে।
জলঢাকা থানার পরিদর্শক মো. মুক্তারুল আলম জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে তরিকুল, শংকর, ছাদেকুল বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর দুই আসামি উমর ফারুক ও আব্দুর রাজ্জাককে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে গরু চুরির কাজে ব্যবহৃত মিনি ট্রাক ও গরু উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আটক হন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা নাজমুল কবির শিশির। আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকার মো. নয়ন মাস্টারের ছেলে।
৩৭ মিনিট আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমান নামের এক যুবদল নেতার লাশ পেয়েছে পরিবার। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
৩৯ মিনিট আগেইতালি নেওয়া কথা বলে ফরিদপুর থেকে দুই জনকে নেওয়া হয়েছিল লিবিয়ায়। সেখানে নেওয়ার পর তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এরপর নেওয়া হয় মুক্তিপণ। তবে এতেও মুক্তি মেলেনি। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই দুই যুবককে। ঢাকা, ফরিদপুর, লিবিয়া, গুলি, হত্যা, জেলার খবর
৩৯ মিনিট আগেএক মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। আর আসামির সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। সরকার পতনের পর গত ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ১৭টি। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২টি।
১ ঘণ্টা আগে