Ajker Patrika

নীলফামারীতে নামছে তাপমাত্রার পারদ, কুয়াশায় বিঘ্ন উড়োজাহাজ চলাচল 

নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীতে নামছে তাপমাত্রার পারদ, কুয়াশায় বিঘ্ন উড়োজাহাজ চলাচল 

গত মঙ্গলবার থেকে আজ শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি নীলফামারীর আকাশে। মধ্যরাত থেকে দিনব্যাপী এ অঞ্চলে হালকা বাতাসের সঙ্গে কুয়াশায় থাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সকাল ১১টা পর্যন্ত কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় সৈয়দপুরগামী তিনটি উড়োজাহাজ ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেনি। 

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ। যা গতকাল বৃহস্পতিবার একই সময়ে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ। 

কুয়াশা ও বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে বলে জানান আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন। তিনি বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ১১টায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে দৃষ্টিসীমা ৮০০ মিটার থাকায় সূচি অনুযায়ী তিনটি ফ্লাইট অবতরণ করেনি। রানওয়েতে ফ্লাইট উঠানামার জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিসীমা ২ হাজার মিটার। 

এদিকে শীতের তীব্রতায় শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট বেড়েছে। কাবু হয়ে পড়েছে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেছেন তারা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এ অঞ্চলের তাপমাত্রা আরও কমবে বলে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। 

নীলফামারী সদরের সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম শাহ আজকের পত্রিকাকে জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন শত কম্বল পাওয়া গেছে। পরে নিজস্ব উদ্যোগে ইউনিয়নের শীতার্ত মানুষদের মাঝে ৭ হাজার কম্বল বিতরণ করেছেন বলেও জানান তিনি। 

সৈয়দপুর বিমানবন্দর ম্যানেজার সুপ্লব ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত মঙ্গলবার থেকে ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কম থাকার কারণে সকালের দিকে বিমানবন্দরে ফ্লাইট উঠানামা ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে সকাল থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে সূচি অনুযায়ী ঢাকা থেকে সৈয়দপুরগামী ফ্লাইটগুলো চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।’ এদিকে ঘন কুয়াশা হলেও সকালের এসব ফ্লাইট বাতিলও করা হচ্ছে না। আজ দুপুর ১২টার পর ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। 

নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ আজকের পত্রিকাকে জানান, এরই মধ্যে জেলার ছয়টি উপজেলায় ৪০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উদ্যোগে এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ করছে। শীতার্তদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দের জন্য নতুন করে আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত