Ajker Patrika

একই স্থানে কবরস্থান ও শ্মশান, দুই গ্রামবাসীর মধ্যে বিরোধ

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
একই স্থানে কবরস্থান ও শ্মশান, দুই গ্রামবাসীর মধ্যে বিরোধ

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে একই জায়গায় কবরস্থান ও শ্মশান হওয়াকে কেন্দ্র করে হিন্দু ও মুসলিম ধর্মাবলম্বী দুই গ্রামবাসীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলার কাজিহালের পুখুরীহাট নীলপুকুর গ্রামের বাসিন্দারা ফুলবাড়ী থানা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাজিহালের পুখুরী মৌজার নীলপুকুর গ্রামের ১১৪১ নম্বর দাগের সরকারি খাস জমিতে মদন পুকুর নামে একটি পুকুর পাড়ের জমি শ্মশান হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন পুখুরী হাট ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠী। অপরদিকে, ওই পুকুরের অপর পাড়ে কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন নীলপুখুর গ্রামের একাংশের মুসলিম ধর্মাবলম্বী গ্রামবাসীরা। এ নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার নীলপুখুর গ্রামের মজিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির মায়ের মৃত্যু হলে তাঁকে দাফন করতে গেলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শ্মশানের জমি দাবি করে সেখানে কবর দিতে নিষেধ করেন। এতে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে নতুন করে বিরোধ সৃষ্টি হয়। 

এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পক্ষে পুখুরি ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কাজল চন্দ্রর ছেলে দুলাল চন্দ্র বাদী হয়ে নীলপুখুর গ্রামের বাসিন্দা মুসলিম ধর্মাবলম্বী মজিদুলসহ ৪ জনকে বিবাদী করে ফুলবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। একই ঘটনায় এর আগে হিন্দু ধর্মাবলম্বী দুলালসহ কয়েকজনকে বিবাদী করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছেন নীলপুখুর গ্রামের মো. মজিদুল ইসলাম। 

পুখুরী ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাসিন্দারা জানান, পুকুরটি সরকারি খাস জায়গায় এবং কাগজে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ব্যবহারের কথা উল্লেখ রয়েছে। তাই তাঁরা দীর্ঘদিন থেকে ওই পুকুরটির পাড় শ্মশান হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন।

নীল পুকুর গ্রামের মুসলিম ধর্মাবলম্বী মজিদুলসহ গ্রামবাসীরা জানান, ওই জায়গাটি সরকারি খাস খতিয়ানের জায়গা এবং জায়গায়টি তাঁরা দীর্ঘ ৫০ বছর থেকে কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি যেহেতু ধর্মীয়, তাই উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছি। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিয়াজ উদ্দিন বলেন, উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জমির মাঝখানে একটি সীমানা প্রাচীর দিয়ে বিষয়টি চিরস্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করব। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

রাবির অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন নিয়ম ভঙ্গের জন্য ট্রান্স নারী শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার, জানতে চান ১৬২ নাগরিক

শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল চালুতে বাধা রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত