Ajker Patrika

জুয়ার টাকার জন্য অটো ছিনতাই করে চালককে হত্যা

রংপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ২৩: ০৩
জুয়ার টাকার জন্য অটো ছিনতাই করে চালককে হত্যা

নিখোঁজের চার দিন পর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক কামরুল হাসানের (২৩) লাশ ধানখেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর ১৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নেশা ও জুয়ার টাকা পরিশোধের জন্যই অটোরিকশা ছিনতাইয়ের সময় কামরুলকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপকমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, নেশা ও জুয়া খেলার কারণে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন রংপুর নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুরা এলাকার ভাড়াটিয়া মোজাম্মেল হকের ছেলে ফাইয়াজ ওরফে ফাইনাল (২৫), একই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে শাকিল হাসান (২০) ও ফজলুর রহমানের ছেলে রাশেদ (২৫)। ঋণের টাকা জোগাড় করতে তিনজনে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। ৩১ মার্চ অটোচালক কামরুল হাসান বাসায় ইফতার করে ভাড়ার খাটার জন্য অটোরিকশা নিয়ে শহরের উদ্দেশ্যে বের হন, এ সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী তিন বন্ধু ফাইয়াজ, শাকিল ও রাশেদ বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে কামরুলকে অটোসহ দারোগার মোড়ের গাছবাগানে নিয়ে যান। গাছবাগানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা শেষে অন্ধকার হলে কথাবার্তার একপর্যায়ে তিন বন্ধু অটোচালককে আঘাত করেন। এ সময় কামরুল পালানোর চেষ্টা করলে পা পিছলে ধানখেতে পড়ে যান। ওই খেতের পানিতেই তাঁর মাথা ডুবিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন তিন বন্ধু। পরে ছিনতাই করা অটোরিকশাটি নেন রাশেদ এবং নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নেন ফাইয়াজ। অটোর ব্যাটারি বিক্রির ৩৫ হাজার টাকা তিন বন্ধু ভাগ করে নিয়ে গা ঢাকা দেন।

পুলিশের উপকমিশনার আবু মারুফ জানান, ৩১ মার্চ কামরুল হাসান নিখোঁজের ঘটনায় ১ এপ্রিল তাঁর বাবা কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এদিকে গতকাল সোমবার দুপুরে পীরজাবাদ দারোগার মোড় এলাকার ধানখেত থেকে নগরীর লাকীপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে কামরুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মা রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে ১৮ ঘণ্টার মধ্যেই হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন বলে জানান উপকমিশনার আবু মারুফ। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়ায় আসামি ফাইয়াজ, শাকিল ও রাশেদ পুলিশের কাছে অটোচালককে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে পাঠানো হবে।

ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুজ্জামান, রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজ রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হোসেন আলীসহ বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত