প্রতিনিধি, নীলফামারী
যৌতুকের টাকা না পেয়ে ফারজানা লিজা সোমা (২২) নামের এক গৃহবধূকে ভাশুর ও স্বামী অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বর্তমানে ওই গৃহবধূ গুরুতর আহত হয়ে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে জেলা সদরের কচুকাটা ইউনিয়নের কচুকাটা বন্দরপাড়ার ঘটনাটি ঘটে।
সোমা বন্দরপাড়ার আলমাস খানের স্ত্রী। আলমাস খান ওই এলাকার মৃত্যু মনসুর আলীর ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত তিন বছর আগে আলমাস খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সোমা। জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পশ্চিম পাড়া গ্রামের ফরহাদ হোসেন সম্রাটের মেয়ে সোমা।
বিয়ের সময় নগদ দুই লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দেন সোমার বাবা। প্রথমদিকে তাঁদের দাম্পত্য জীবন ভালোভাবে চললেও পরবর্তী সময় আরও এক লাখ টাকার দাবি করেন তাঁর স্বামী। এ নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয় ঝগড়া বিবাদ। স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ঘটে সম্পর্কের ঘাটতি। এরই মধ্যে সোমার কোল জুড়ে আসে একটি কন্যা সন্তান। বর্তমানে শিশুটির বয়স ১ বছর ৬ মাস। গরিব বাবা যৌতুকের টাকা শোধ করতে না পেরে তাঁর জীবনে নেমে আসে অন্ধকার।
আজ শনিবার দুপুরে নীলফামারীর জেনারেল হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সোমা বলেন, `গরিব বাবা অভাবের সংসারে আমার সুখের জন্য নগদ দুই লাখ টাকা যৌতুক দিয়েছিল। এরপরও অন্যায়ভাবে আরও এক লাখ টাকার জন্য আমার স্বামী প্রায় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। গত শুক্রবার ফের টাকার জন্য শারীরিক নির্যাতন করলে আমি সাফ জানিয়ে দেই আমার বাবা আর এক টাকাও দিতে পারবে না। এ নিয়ে আমার স্বামী ও ভাশুর মিলে আমাকে মারধর করে। বাধ্য হয়ে বাবার বাড়িতে ফোন দিলে আমার চাচা এসে পুলিশ দিয়ে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমি তাদের শাস্তিসহ ন্যায্য বিচার চাই।'
সোমার চাচা শামীম হোসেন বাবু জানান, মেয়ের সুখের জন্য অনেক কষ্ট করে নগদ দুই লাখ টাকা যৌতুক দিয়েছি। জামাই ফের এক লাখ টাকার দাবি করেন। ওই টাকা দিতে না পেরে মেয়ের ওপর নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় গত শুক্রবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান বলে জানান তিনি।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউপ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে তাঁর চিকিৎসার জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত তাঁর পরিবারের পক্ষে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
যৌতুকের টাকা না পেয়ে ফারজানা লিজা সোমা (২২) নামের এক গৃহবধূকে ভাশুর ও স্বামী অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বর্তমানে ওই গৃহবধূ গুরুতর আহত হয়ে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে জেলা সদরের কচুকাটা ইউনিয়নের কচুকাটা বন্দরপাড়ার ঘটনাটি ঘটে।
সোমা বন্দরপাড়ার আলমাস খানের স্ত্রী। আলমাস খান ওই এলাকার মৃত্যু মনসুর আলীর ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত তিন বছর আগে আলমাস খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সোমা। জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পশ্চিম পাড়া গ্রামের ফরহাদ হোসেন সম্রাটের মেয়ে সোমা।
বিয়ের সময় নগদ দুই লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দেন সোমার বাবা। প্রথমদিকে তাঁদের দাম্পত্য জীবন ভালোভাবে চললেও পরবর্তী সময় আরও এক লাখ টাকার দাবি করেন তাঁর স্বামী। এ নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয় ঝগড়া বিবাদ। স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ঘটে সম্পর্কের ঘাটতি। এরই মধ্যে সোমার কোল জুড়ে আসে একটি কন্যা সন্তান। বর্তমানে শিশুটির বয়স ১ বছর ৬ মাস। গরিব বাবা যৌতুকের টাকা শোধ করতে না পেরে তাঁর জীবনে নেমে আসে অন্ধকার।
আজ শনিবার দুপুরে নীলফামারীর জেনারেল হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সোমা বলেন, `গরিব বাবা অভাবের সংসারে আমার সুখের জন্য নগদ দুই লাখ টাকা যৌতুক দিয়েছিল। এরপরও অন্যায়ভাবে আরও এক লাখ টাকার জন্য আমার স্বামী প্রায় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। গত শুক্রবার ফের টাকার জন্য শারীরিক নির্যাতন করলে আমি সাফ জানিয়ে দেই আমার বাবা আর এক টাকাও দিতে পারবে না। এ নিয়ে আমার স্বামী ও ভাশুর মিলে আমাকে মারধর করে। বাধ্য হয়ে বাবার বাড়িতে ফোন দিলে আমার চাচা এসে পুলিশ দিয়ে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমি তাদের শাস্তিসহ ন্যায্য বিচার চাই।'
সোমার চাচা শামীম হোসেন বাবু জানান, মেয়ের সুখের জন্য অনেক কষ্ট করে নগদ দুই লাখ টাকা যৌতুক দিয়েছি। জামাই ফের এক লাখ টাকার দাবি করেন। ওই টাকা দিতে না পেরে মেয়ের ওপর নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় গত শুক্রবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান বলে জানান তিনি।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউপ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে তাঁর চিকিৎসার জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত তাঁর পরিবারের পক্ষে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ২৮টি মাদক সংক্রান্ত মামলার আসামি মবু মিয়াকে (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার (৯ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম।
১৬ মিনিট আগেফেনীর পরশুরামে কোরবানির গরুর চামড়া নদীতে ফেলার অভিযোগে শুক্কুর আলী (৪৩) নামে এক মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের মালিপাথর গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
৩১ মিনিট আগেঝালকাঠির সদর উপজেলায় নবগ্রাম ফকিরবাড়ি সংলগ্ন মকরমপুর দরবার শরীফ দাখিল মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে থাকা মেহগনি গাছ বেচে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সুপার মাওলানা হারুন আর রসিদ।
৪২ মিনিট আগেচুরির উদ্দেশ্যে গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করেন শ্যালক ও দুলাভাইসহ তিনজন। কিন্তু চিনে ফেলায় গলা কেটে হত্যা করা হয় গৃহবধুকে। লাশ ফেলে দেওয়া হয় পুকুরে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর হত্যায় জড়িত রাব্বী নামে একজনকে আটক করলে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।
১ ঘণ্টা আগে