ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা শিল্পী বেগম (৩৬) একদিন আগে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। গর্ভে সন্তান আসার কিছুদিন পর স্বামী রায়হান আলী বাড়ি ছেড়ে চলে যান। তাতে আয়-রোজগার বন্ধ থাকায় বাড়িভাড়া ও মুদি দোকানে ১০ হাজার টাকা দেনা হয়েছিল শিল্পীর। এর মধ্যেই গত বুধবার চতুর্থ সন্তানের জন্ম দেন শিল্পী। এরপর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই দিনই ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
একদিকে সংসারের খরচ, অন্যদিকে পাওনাদারের নিয়মিত চাপ—সব মিলিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন শিল্পী। এ অবস্থায় হাসপাতালে অবস্থানকালে দেনা শোধ করতে নিঃসন্তান দম্পতির কাছে ৩০ হাজার টাকায় নবজাতককে বিক্রি করে দেন তিনি। ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে এ ঘটনাটি গতকাল বৃহস্পতিবার ঘটলেও আজ শুক্রবার শিল্পীর কান্নাকাটিতে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এদিকে খবরটি স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। পরে সদর উপজেলা প্রশাসনও বিষয়টি জানতে পেরে খোঁজ নেয় শিল্পী বেগমের। ঘটনার সত্যতা পেয়ে শিল্পীকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর উপহার দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। একই সঙ্গে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেওয়ারও উদ্যোগ নেন তিনি।
এ বিষয়ে ইউএনও বেলায়েত হোসেন বলেন, অভাবের তাড়নায় শিল্পী বেগম নামের এক নারী তাঁর নবজাতককে বিক্রি করে দেন। বিষয়টি জানতে পেরে আজ সরেজমিনে দেখতে এসেছি। শিশুটিকে আর্থিক দুরবস্থার কারণে মানুষ করতে পারবেন না বলে মনে হয়েছিল তাঁর। এ কারণে নবজাতককে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেন তিনি।’
ইউএনও আরও বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা তাঁর পাশে থাকার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে সদর উপজেলার সালান্দর এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর তাঁকে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি যেখানে ভাড়া থাকছেন, এখন থেকে তাঁকে আর ভাড়া বাড়িতে থাকতে হবে না। অন্যদিকে যাঁরা শিশুটিকে নিয়েছেন, তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করছি, যাতে আমরা শিশুটিকে মায়ের কোলে আবার ফিরিয়ে দিতে পারি।’
শিল্পী বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় ১৩ বছর আগে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের রায়হান আলীর সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছরের মাথায় প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। কয়েক বছর পর আরেক ছেলে ও মেয়ের জন্ম হয়। চতুর্থ সন্তান গর্ভে আসার পর বাড়ি ছেড়ে চলে যান আমার স্বামী। পরে মাঝেমধ্যে খোঁজ নিলেও সন্তানদের ভরণ পোষণের টাকাপয়সা দিতেন না।’
শিল্পী আরও বলেন, ‘অভাবের সংসারে গর্ভের সন্তানকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করেছি। তবু সংসারের অনটন কোনোভাবে মেটাতে পারছিলাম না। একপর্যায়ে বাড়ি ভাড়া ও মুদি দোকানে বাকি করি প্রায় ১০ হাজার টাকা।’
শিল্পী বেগম বলেন, ‘অভাবে কারণে দেনার টাকা দিতে পারিনি। পরে সন্তান বিক্রি করে দেই। সন্তানকে অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার পর রাতে ঘুমাতে পারিনি। সারা রাত এক গ্লাস পানিও খাইনি। বুকের ভেতরটা কেমন খাঁ খাঁ করছিল। আমার কোনো কিছুই ভালো লাগছিল না। সারাক্ষণ কান্না করছিলাম। পরে উপজেলা প্রশাসন নতুন ঘর দিয়ে আশা দিলেন আমার বুকের ধনরে ফিরায়া দিব।’
এদিকে শিশুকে দত্তক নেওয়া দিনাজপুরের বালুবাড়ি এলাকার মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ‘নিঃসন্তান হওয়ায় শিশুটিকে দত্তক নিয়েছি। এখন শিশুটির মা যদি তাকে নিয়ে যেতে চায়, আমরা দিয়ে দিব। বর্তমানে স্ত্রীসহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটি নিয়ে অবস্থান করছি। নবজাতক বাচ্চাটির ঠান্ডা লাগায় চিকিৎসক তাকে ভর্তি রেখেছেন।’
ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা শিল্পী বেগম (৩৬) একদিন আগে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। গর্ভে সন্তান আসার কিছুদিন পর স্বামী রায়হান আলী বাড়ি ছেড়ে চলে যান। তাতে আয়-রোজগার বন্ধ থাকায় বাড়িভাড়া ও মুদি দোকানে ১০ হাজার টাকা দেনা হয়েছিল শিল্পীর। এর মধ্যেই গত বুধবার চতুর্থ সন্তানের জন্ম দেন শিল্পী। এরপর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই দিনই ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
একদিকে সংসারের খরচ, অন্যদিকে পাওনাদারের নিয়মিত চাপ—সব মিলিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন শিল্পী। এ অবস্থায় হাসপাতালে অবস্থানকালে দেনা শোধ করতে নিঃসন্তান দম্পতির কাছে ৩০ হাজার টাকায় নবজাতককে বিক্রি করে দেন তিনি। ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে এ ঘটনাটি গতকাল বৃহস্পতিবার ঘটলেও আজ শুক্রবার শিল্পীর কান্নাকাটিতে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এদিকে খবরটি স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। পরে সদর উপজেলা প্রশাসনও বিষয়টি জানতে পেরে খোঁজ নেয় শিল্পী বেগমের। ঘটনার সত্যতা পেয়ে শিল্পীকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর উপহার দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। একই সঙ্গে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেওয়ারও উদ্যোগ নেন তিনি।
এ বিষয়ে ইউএনও বেলায়েত হোসেন বলেন, অভাবের তাড়নায় শিল্পী বেগম নামের এক নারী তাঁর নবজাতককে বিক্রি করে দেন। বিষয়টি জানতে পেরে আজ সরেজমিনে দেখতে এসেছি। শিশুটিকে আর্থিক দুরবস্থার কারণে মানুষ করতে পারবেন না বলে মনে হয়েছিল তাঁর। এ কারণে নবজাতককে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেন তিনি।’
ইউএনও আরও বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা তাঁর পাশে থাকার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে সদর উপজেলার সালান্দর এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর তাঁকে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি যেখানে ভাড়া থাকছেন, এখন থেকে তাঁকে আর ভাড়া বাড়িতে থাকতে হবে না। অন্যদিকে যাঁরা শিশুটিকে নিয়েছেন, তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করছি, যাতে আমরা শিশুটিকে মায়ের কোলে আবার ফিরিয়ে দিতে পারি।’
শিল্পী বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় ১৩ বছর আগে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের রায়হান আলীর সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছরের মাথায় প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। কয়েক বছর পর আরেক ছেলে ও মেয়ের জন্ম হয়। চতুর্থ সন্তান গর্ভে আসার পর বাড়ি ছেড়ে চলে যান আমার স্বামী। পরে মাঝেমধ্যে খোঁজ নিলেও সন্তানদের ভরণ পোষণের টাকাপয়সা দিতেন না।’
শিল্পী আরও বলেন, ‘অভাবের সংসারে গর্ভের সন্তানকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করেছি। তবু সংসারের অনটন কোনোভাবে মেটাতে পারছিলাম না। একপর্যায়ে বাড়ি ভাড়া ও মুদি দোকানে বাকি করি প্রায় ১০ হাজার টাকা।’
শিল্পী বেগম বলেন, ‘অভাবে কারণে দেনার টাকা দিতে পারিনি। পরে সন্তান বিক্রি করে দেই। সন্তানকে অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার পর রাতে ঘুমাতে পারিনি। সারা রাত এক গ্লাস পানিও খাইনি। বুকের ভেতরটা কেমন খাঁ খাঁ করছিল। আমার কোনো কিছুই ভালো লাগছিল না। সারাক্ষণ কান্না করছিলাম। পরে উপজেলা প্রশাসন নতুন ঘর দিয়ে আশা দিলেন আমার বুকের ধনরে ফিরায়া দিব।’
এদিকে শিশুকে দত্তক নেওয়া দিনাজপুরের বালুবাড়ি এলাকার মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ‘নিঃসন্তান হওয়ায় শিশুটিকে দত্তক নিয়েছি। এখন শিশুটির মা যদি তাকে নিয়ে যেতে চায়, আমরা দিয়ে দিব। বর্তমানে স্ত্রীসহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটি নিয়ে অবস্থান করছি। নবজাতক বাচ্চাটির ঠান্ডা লাগায় চিকিৎসক তাকে ভর্তি রেখেছেন।’
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং জহুরুল হক বিমান ঘাঁটিতে জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য পাইপলাইনে জেট ফুয়েল সরবরাহের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী আগস্ট মাসে এই পাইপলাইনের কমিশনিং হওয়ার কথা রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও পদ্মা অয়েল কোম্পানির সহকারী...
৩ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরায় মরিচ্চাপ নদীর ওপর নির্মিত সাতটি সেতু ধসে পড়েছে। এতে সদর ও আশাশুনি উপজেলার অন্তত ২৫টি গ্রামের মানুষের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাদের অভিযোগ, সেতুর নিচ দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন এবং নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সেতু নির্মাণ করায় এমন বিপর্যয় ঘটেছে।
৩ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা চলছে পরিত্যক্তঘোষিত এক ভবনে। সেখানে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও সেটিতে এখনো রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে।
৩ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের গৌরীপুর এবং কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মোট ১৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পাশাপাশি অনেক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য। অবসর, মৃত্যু ও মামলার কারণে এই পদগুলো শূন্য হয়েছে বলে শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে। এতে জোড়াতালি দিয়ে কোনোরকমে...
৩ ঘণ্টা আগে