রংপুর প্রতিনিধি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম অভিযোগ করেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলে জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ হবে না কেন? আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা কীভাবে রংপুরে এত বড় মিছিল করতে পারে, তা-ও আবার অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত মেয়রকে পুনরায় বসানোর জন্য?’
তিনি বলেন, ‘অন্য রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীরা যখন বিক্ষোভ করেন, তখন প্রথম অস্ত্র নিয়ে হামলা করে কারা? তদন্ত করতে হলে সেখান থেকেই শুরু করতে হবে। মামলা হলে জাতীয় পার্টির কর্মীদের বিরুদ্ধেই হওয়া উচিত। গ্রেপ্তারও তাদেরই আগে হওয়া উচিত।’
রংপুরের সেনপাড়ায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাসভবন ‘দ্য স্কাই ভিউ’তে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে তাঁর উপস্থিতিতেই বিক্ষোভ মিছিল থেকে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে বলে দাবি এনসিপির। এ ঘটনার পর শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পায়রা চত্বরে ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের’ জেলা ও মহানগর আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ ও ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম।
খবর পেয়ে বৃষ্টির মধ্যেই সেখানে ছুটে যান সারজিস আলম। রাত ২টার দিকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় বিএনপির কয়েকজন নেতাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে সেনাবাহিনী।
সারজিস আলম বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি, জামায়াত কিংবা এনসিপি—যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। কিন্তু রাত ১টা-২টার সময় তা না করে দিনের বেলায় অফিস সময়ে ডেকে নেওয়া উচিত। আমরা তদন্তে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবেশ উত্তপ্ত করার জন্য হামলার মতো কাজ করে, তাতে দু-একটা মোটরসাইকেল পুড়ে গেলেও তার দায় নিরপরাধ আন্দোলনকারীদের ওপর চাপানো যাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ ভূমিকা দরকার।’
জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে সারজিস আলম বলেন, ‘জি এম কাদের এখানে এসে স্থানীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। এটা স্পষ্টত আওয়ামী লীগকে পুনরায় সংগঠিত করার প্রক্রিয়া। এটি আমরা, এনসিপি, বিএনপি, জামায়াত—কেউই মেনে নিতে পারি না।’
তিনি বলেন, ‘বিক্ষোভে প্রথম হামলা চালায় জি এম কাদেরের সমর্থকেরা। দেশি অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে তারা হামলা করে। এসবের স্পষ্ট ভিডিও ফুটেজ আছে। এরপর কেউ নিজেদের রক্ষা করতে গিয়ে জি এম কাদেরের বাসায় হামলা করেছে কি না, কিংবা অন্য কেউ করেছে—তা তদন্তেই পরিষ্কার হবে।’
রংপুরে বর্তমানে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জি এম কাদেরের আগমন, তাঁর মিটিং, সাবেক মেয়র মোস্তফাকে ফের পদে বসানোর প্রচেষ্টা—সব মিলিয়ে রংপুরে এক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি।’
২০১৪ সালের অভ্যুত্থান-পূর্ববর্তী সময়ের আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে সারজিস আলম বলেন, ‘বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি—সবাই ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে লড়েছে। সে সময় বিএনপির বহু নেতা-কর্মী গুম, খুন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। জামায়াতের নেতারাও নিপীড়িত হয়েছেন। অথচ জাতীয় পার্টি ক্ষমতার সঙ্গে আপস করে আওয়ামী লীগকে বৈধতা দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এটা স্পষ্ট, আওয়ামী লীগ যে ভূমিকা রেখেছে, তার বি-টিম হিসেবে জাতীয় পার্টিও একই কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ যেই পরিণতির দিকে যাচ্ছে, জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রেও একই পরিণতি কাম্য।’
সারজিস আলম অভিযোগ করেন, জাতীয় পার্টির ব্যানারে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করছেন। ‘এভাবে একটি দলে অন্য দলের সন্ত্রাসীদের ঢুকিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে, যা শুধু রংপুর নয়, সারা দেশের জন্যই হুমকিস্বরূপ।’।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম অভিযোগ করেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলে জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ হবে না কেন? আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা কীভাবে রংপুরে এত বড় মিছিল করতে পারে, তা-ও আবার অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত মেয়রকে পুনরায় বসানোর জন্য?’
তিনি বলেন, ‘অন্য রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীরা যখন বিক্ষোভ করেন, তখন প্রথম অস্ত্র নিয়ে হামলা করে কারা? তদন্ত করতে হলে সেখান থেকেই শুরু করতে হবে। মামলা হলে জাতীয় পার্টির কর্মীদের বিরুদ্ধেই হওয়া উচিত। গ্রেপ্তারও তাদেরই আগে হওয়া উচিত।’
রংপুরের সেনপাড়ায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাসভবন ‘দ্য স্কাই ভিউ’তে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে তাঁর উপস্থিতিতেই বিক্ষোভ মিছিল থেকে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে বলে দাবি এনসিপির। এ ঘটনার পর শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পায়রা চত্বরে ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের’ জেলা ও মহানগর আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ ও ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম।
খবর পেয়ে বৃষ্টির মধ্যেই সেখানে ছুটে যান সারজিস আলম। রাত ২টার দিকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় বিএনপির কয়েকজন নেতাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে সেনাবাহিনী।
সারজিস আলম বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি, জামায়াত কিংবা এনসিপি—যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। কিন্তু রাত ১টা-২টার সময় তা না করে দিনের বেলায় অফিস সময়ে ডেকে নেওয়া উচিত। আমরা তদন্তে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবেশ উত্তপ্ত করার জন্য হামলার মতো কাজ করে, তাতে দু-একটা মোটরসাইকেল পুড়ে গেলেও তার দায় নিরপরাধ আন্দোলনকারীদের ওপর চাপানো যাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ ভূমিকা দরকার।’
জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে সারজিস আলম বলেন, ‘জি এম কাদের এখানে এসে স্থানীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। এটা স্পষ্টত আওয়ামী লীগকে পুনরায় সংগঠিত করার প্রক্রিয়া। এটি আমরা, এনসিপি, বিএনপি, জামায়াত—কেউই মেনে নিতে পারি না।’
তিনি বলেন, ‘বিক্ষোভে প্রথম হামলা চালায় জি এম কাদেরের সমর্থকেরা। দেশি অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে তারা হামলা করে। এসবের স্পষ্ট ভিডিও ফুটেজ আছে। এরপর কেউ নিজেদের রক্ষা করতে গিয়ে জি এম কাদেরের বাসায় হামলা করেছে কি না, কিংবা অন্য কেউ করেছে—তা তদন্তেই পরিষ্কার হবে।’
রংপুরে বর্তমানে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জি এম কাদেরের আগমন, তাঁর মিটিং, সাবেক মেয়র মোস্তফাকে ফের পদে বসানোর প্রচেষ্টা—সব মিলিয়ে রংপুরে এক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি।’
২০১৪ সালের অভ্যুত্থান-পূর্ববর্তী সময়ের আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে সারজিস আলম বলেন, ‘বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি—সবাই ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে লড়েছে। সে সময় বিএনপির বহু নেতা-কর্মী গুম, খুন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। জামায়াতের নেতারাও নিপীড়িত হয়েছেন। অথচ জাতীয় পার্টি ক্ষমতার সঙ্গে আপস করে আওয়ামী লীগকে বৈধতা দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এটা স্পষ্ট, আওয়ামী লীগ যে ভূমিকা রেখেছে, তার বি-টিম হিসেবে জাতীয় পার্টিও একই কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ যেই পরিণতির দিকে যাচ্ছে, জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রেও একই পরিণতি কাম্য।’
সারজিস আলম অভিযোগ করেন, জাতীয় পার্টির ব্যানারে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করছেন। ‘এভাবে একটি দলে অন্য দলের সন্ত্রাসীদের ঢুকিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে, যা শুধু রংপুর নয়, সারা দেশের জন্যই হুমকিস্বরূপ।’।
সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) দরপত্রের মাধ্যমে উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আশরাফুল ইসলাম দিপু ফরাজি ও উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব জাহিদুল ইসলাম রাসেল বাঁধ সংস্কারের ঠিকাদারি কাজ পান। উপজেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া দুই মাস সময়ের মধ্যে তাঁদের বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।
৫ মিনিট আগেরাজধানীর গুলশানে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
২৯ মিনিট আগেআজ রোববার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনা বাজার এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কারখানার কয়েক শ শ্রমিক। সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সকাল ১০টার দিকে মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
৪১ মিনিট আগেভুল ট্রেনে উঠে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামি টাঙ্গাইলের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে পৃথকভাবে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুজন বিচারকের কাছে তাঁরা জবানবন্দি দেন। রাত ৯টার দিকে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারক মিনহাজ উদ্দিন ফরাজী এবং রুমেলিয়া
১ ঘণ্টা আগে