ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি
ছেলে সন্তানের আশায় পরপর তিনটি কন্যাসন্তানের মা হন কমলা বেগম (৩৫)। চতুর্থবার ছেলে সন্তান গর্ভে এসেছিল। কিন্তু সন্তান পৃথিবীর আলো দেখার তিন ঘণ্টা পর নিজের জীবনই সাঙ্গ হলো কমলার। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়নের জহুরুল ইসলামের মেয়ে কমলা বেগম। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বিয়ে হয় তাঁর। তাঁর স্বামী পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের জলদান পাড়ার মো. সিরাজুল ইসলাম। বিয়ের পর ছেলে সন্তানের আশা করেছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। কিন্তু প্রথম সন্তানটি হয় ফুটফুটে একটি মেয়ে। পরিবারে নতুন সদস্যের আগমনে কেউ খুশি হয়নি। ছেলে সন্তানের আশায় দ্বিতীয় সন্তান নেন কমলা-সিরাজুল দম্পতি। কিন্তু সে আশার গুঁড়েও বালি। সেবারও কন্যাশিশুর জন্ম হয়। হাল না ছেড়ে তৃতীয় সন্তান নেন তাঁরা। এবারও কন্যা সন্তান। এত কম বয়সে পারিবারিক চাপ ও একের পর এক সন্তান প্রসব করায় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় কমলার। হার্টও দুর্বল হয়ে যায়। নানা অসুখ বাসা বাঁধে। এরপরও ছেলে সন্তানের আশায় আবার গর্ভধারণ করেন কমলা। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ২টার দিকে স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেন কমলা।
এবার ছেলে সন্তান হওয়ায় আনন্দে ভাসে পুরো পরিবারে। নবজাতককে শালদুধ খাওয়ান, বুকে চেপে আদর করেন কমলা। তবে সন্তান প্রসবের ৩ ঘণ্টা পর বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। চিকিৎসা শুরু করারও সুযোগ দেননি। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কমলা।
কমলা বেগমের বাবা জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘ছোটবেলাতেই কমলার বিয়ে দিয়ে দেই। বিয়ের পর তার তিনটি মেয়ে হয়। এর মধ্যে বড় মেয়ে সেলিনার বিয়ে হয়েছে এবং নাতনিও হয়েছে। মেজো মেয়ে মেরিনা আক্তার (১৩) একটি মাদ্রাসায় ও ছোট মেয়ে রিয়া মনি (১০) স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। তিনটি মেয়ের পর আমার মেয়ে কিছুটা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপরও ছেলে সন্তানের আশায় সে সন্তান নিতে চায়।’
জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার আমার মেয়ের প্রসব বেদনা উঠলে আমরা তাকে ডোমার শহরের ডক্টরস ক্লিনিকে নিয়ে যাই। সেখানে রাত ২টার দিকে সে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। পুত্র হওয়ার সংবাদে পরিবারের মাঝে খুশির বন্যা বয়ে যায়। সিজারের পর জ্ঞান ফিরে কমলা তার ছেলের মুখ দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বুকে ব্যথা শুরু হয় তার। এর কিছুক্ষণ পর ভোরের দিকে হাঁচি দিয়ে তার রক্ত বমি হয়। বিষয়টি ডাক্তারকে জানালে তিনি রংপুর নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। আমরা রংপুর নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতির মধ্যেই সে ক্লিনিকে মারা যায়।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডক্টরস ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক ডা. মাসুম আহম্মেদ বলেন, ‘কমলা নামে এক গৃহবধূর সিজারের মাধ্যমে ছেলে সন্তান জন্ম হয়। ভোরের দিকে হার্ট অ্যাটাক হয়ে নবজাতকের মা কমলা বেগম মারা যান। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
ছেলে সন্তানের আশায় পরপর তিনটি কন্যাসন্তানের মা হন কমলা বেগম (৩৫)। চতুর্থবার ছেলে সন্তান গর্ভে এসেছিল। কিন্তু সন্তান পৃথিবীর আলো দেখার তিন ঘণ্টা পর নিজের জীবনই সাঙ্গ হলো কমলার। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়নের জহুরুল ইসলামের মেয়ে কমলা বেগম। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বিয়ে হয় তাঁর। তাঁর স্বামী পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের জলদান পাড়ার মো. সিরাজুল ইসলাম। বিয়ের পর ছেলে সন্তানের আশা করেছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। কিন্তু প্রথম সন্তানটি হয় ফুটফুটে একটি মেয়ে। পরিবারে নতুন সদস্যের আগমনে কেউ খুশি হয়নি। ছেলে সন্তানের আশায় দ্বিতীয় সন্তান নেন কমলা-সিরাজুল দম্পতি। কিন্তু সে আশার গুঁড়েও বালি। সেবারও কন্যাশিশুর জন্ম হয়। হাল না ছেড়ে তৃতীয় সন্তান নেন তাঁরা। এবারও কন্যা সন্তান। এত কম বয়সে পারিবারিক চাপ ও একের পর এক সন্তান প্রসব করায় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় কমলার। হার্টও দুর্বল হয়ে যায়। নানা অসুখ বাসা বাঁধে। এরপরও ছেলে সন্তানের আশায় আবার গর্ভধারণ করেন কমলা। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ২টার দিকে স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেন কমলা।
এবার ছেলে সন্তান হওয়ায় আনন্দে ভাসে পুরো পরিবারে। নবজাতককে শালদুধ খাওয়ান, বুকে চেপে আদর করেন কমলা। তবে সন্তান প্রসবের ৩ ঘণ্টা পর বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। চিকিৎসা শুরু করারও সুযোগ দেননি। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কমলা।
কমলা বেগমের বাবা জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘ছোটবেলাতেই কমলার বিয়ে দিয়ে দেই। বিয়ের পর তার তিনটি মেয়ে হয়। এর মধ্যে বড় মেয়ে সেলিনার বিয়ে হয়েছে এবং নাতনিও হয়েছে। মেজো মেয়ে মেরিনা আক্তার (১৩) একটি মাদ্রাসায় ও ছোট মেয়ে রিয়া মনি (১০) স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। তিনটি মেয়ের পর আমার মেয়ে কিছুটা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপরও ছেলে সন্তানের আশায় সে সন্তান নিতে চায়।’
জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার আমার মেয়ের প্রসব বেদনা উঠলে আমরা তাকে ডোমার শহরের ডক্টরস ক্লিনিকে নিয়ে যাই। সেখানে রাত ২টার দিকে সে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। পুত্র হওয়ার সংবাদে পরিবারের মাঝে খুশির বন্যা বয়ে যায়। সিজারের পর জ্ঞান ফিরে কমলা তার ছেলের মুখ দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বুকে ব্যথা শুরু হয় তার। এর কিছুক্ষণ পর ভোরের দিকে হাঁচি দিয়ে তার রক্ত বমি হয়। বিষয়টি ডাক্তারকে জানালে তিনি রংপুর নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। আমরা রংপুর নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতির মধ্যেই সে ক্লিনিকে মারা যায়।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডক্টরস ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক ডা. মাসুম আহম্মেদ বলেন, ‘কমলা নামে এক গৃহবধূর সিজারের মাধ্যমে ছেলে সন্তান জন্ম হয়। ভোরের দিকে হার্ট অ্যাটাক হয়ে নবজাতকের মা কমলা বেগম মারা যান। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
২৬ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
২৭ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
৪৩ মিনিট আগেমাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
২ ঘণ্টা আগে