দিনাজপুর ও বীরগঞ্জ প্রতিনিধি
অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী নিজেদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবি করে অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করে কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠান, টিউশন ফি কমানো, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান না হওয়াসহ নানা অভিযোগ তোলেন। একপর্যায়ে অধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগের দাবি তুলে ওই অধ্যক্ষকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়।
নিরুপায় হয়ে তাতে স্বাক্ষর করে কলেজ ত্যাগ করেন কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাসুদুল হক। এ ঘটনা গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার বীরগঞ্জ সরকারি কলেজের।
কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ ড. মাসুদুল হক ২০২১ সালের আগস্ট মাসে ওই কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে ২০০৪ সালে দিনাজপুর সরকারি কলেজে দর্শন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন তিনি। ড. মাসুদুল হক শিক্ষকতার পাশাপাশি একজন কবি, প্রাবন্ধিক ও গবেষক।
আজ বৃহস্পতিবার মাসুদুল হককে অধ্যক্ষের পদ থেকে এভাবে অপসারণ ও পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করানোর একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও দেখে দেশব্যাপী শিক্ষক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
শিক্ষকের পদত্যাগের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলা শহরের বিজয় চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। ১০ শিক্ষার্থীর একটি প্রতিনিধিদল ওই অধ্যক্ষকে দিনাজপুর শহরের বাসা থেকে নিয়ে যায়। সমাবেশ থেকে ফুলের মালা পরিয়ে পুনরায় অধ্যক্ষের আসনে বসানো হয় তাঁকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সময়ে কলেজে ছাত্রলীগের একক আধিপত্য ছিল। কলেজের কিছু খুচরা মালামাল বিক্রির অর্থ স্যার কলেজের ব্যাংক হিসাবে জমা রেখেছেন। ছাত্রলীগের নেতারা সেখান থেকে কিছু টাকা দাবি করেছিল। স্যার তাদের দাবি পূরণ না করায় মূলত কলেজের তৎকালীন ছাত্রলীগের কিছু নেতা–কর্মী গতকাল ছাত্রলীগ কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক রুদ্রের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ব্যানার ব্যবহার করে অধ্যক্ষের পদত্যাগের বিক্ষোভ মিছিল করে তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করে।’
বিজয় চত্বরে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অধ্যক্ষ ড. মাসুদুল হক বলেন, ‘কতিপয় শিক্ষার্থী ও শিক্ষক তাদের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য এ রকম একটি ঘটনার জন্ম দিল।’ তবে তাঁদের বিরুদ্ধে তাঁর কোনো অভিযোগ নেই বলে জানান তিনি।
ব্যক্তিজীবনে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ছিলেন না—এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হচ্ছে শেখার জায়গা। কোনো শিক্ষক যদি কলেজে অনিয়মিত হন, শিক্ষার্থীদের সঠিক পাঠদান না করেন—সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এমন হীন ব্যক্তি আক্রোশের শিকার হলাম।’
অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী নিজেদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবি করে অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করে কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠান, টিউশন ফি কমানো, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান না হওয়াসহ নানা অভিযোগ তোলেন। একপর্যায়ে অধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগের দাবি তুলে ওই অধ্যক্ষকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়।
নিরুপায় হয়ে তাতে স্বাক্ষর করে কলেজ ত্যাগ করেন কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাসুদুল হক। এ ঘটনা গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার বীরগঞ্জ সরকারি কলেজের।
কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ ড. মাসুদুল হক ২০২১ সালের আগস্ট মাসে ওই কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে ২০০৪ সালে দিনাজপুর সরকারি কলেজে দর্শন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন তিনি। ড. মাসুদুল হক শিক্ষকতার পাশাপাশি একজন কবি, প্রাবন্ধিক ও গবেষক।
আজ বৃহস্পতিবার মাসুদুল হককে অধ্যক্ষের পদ থেকে এভাবে অপসারণ ও পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করানোর একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও দেখে দেশব্যাপী শিক্ষক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
শিক্ষকের পদত্যাগের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলা শহরের বিজয় চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। ১০ শিক্ষার্থীর একটি প্রতিনিধিদল ওই অধ্যক্ষকে দিনাজপুর শহরের বাসা থেকে নিয়ে যায়। সমাবেশ থেকে ফুলের মালা পরিয়ে পুনরায় অধ্যক্ষের আসনে বসানো হয় তাঁকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সময়ে কলেজে ছাত্রলীগের একক আধিপত্য ছিল। কলেজের কিছু খুচরা মালামাল বিক্রির অর্থ স্যার কলেজের ব্যাংক হিসাবে জমা রেখেছেন। ছাত্রলীগের নেতারা সেখান থেকে কিছু টাকা দাবি করেছিল। স্যার তাদের দাবি পূরণ না করায় মূলত কলেজের তৎকালীন ছাত্রলীগের কিছু নেতা–কর্মী গতকাল ছাত্রলীগ কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক রুদ্রের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ব্যানার ব্যবহার করে অধ্যক্ষের পদত্যাগের বিক্ষোভ মিছিল করে তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করে।’
বিজয় চত্বরে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অধ্যক্ষ ড. মাসুদুল হক বলেন, ‘কতিপয় শিক্ষার্থী ও শিক্ষক তাদের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য এ রকম একটি ঘটনার জন্ম দিল।’ তবে তাঁদের বিরুদ্ধে তাঁর কোনো অভিযোগ নেই বলে জানান তিনি।
ব্যক্তিজীবনে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ছিলেন না—এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হচ্ছে শেখার জায়গা। কোনো শিক্ষক যদি কলেজে অনিয়মিত হন, শিক্ষার্থীদের সঠিক পাঠদান না করেন—সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এমন হীন ব্যক্তি আক্রোশের শিকার হলাম।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
২ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
২ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৩ ঘণ্টা আগে