আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম

‘বান হইলে যে ক্ষতি হয়, না হইলে আমগো এর চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। চরের জমিতে ধান, কলাই আর আগাম বাদাম ফলানো যায় না। এবার সময়মতো বান না হওয়ায় চরে এগুলা আবাদ করা যায় নাই। ধান না হইলে মাইনষের খাওনের কষ্ট হইব।’
বর্ষাকালে পর্যাপ্ত পরিমাণে মৌসুমি বৃষ্টি আর বন্যার দেখা না মেলায় কৃষির ক্ষতি নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জের কৃষক মতিয়ার।
একই রকম হতাশার কথা শোনান রাজিবপুর উপজেলার কৃষকনেতা শহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, সময়মতো বন্যা না হলে পলির অভাবে জমির উর্বরতা শক্তি থাকে না। ফলে ভালো আবাদ হয় না। আবার বিলম্বে হওয়া বন্যায় ক্ষতি হয়। এবার বর্ষাকালে বন্যা না হওয়ায় তাঁকে আমন চাষ নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে। যাঁরা পাট আবাদ করেছেন, তাঁরা পানির অভাবে জাগ দিতে পারছেন না। এখন আবার ভাদ্র-আশ্বিনে বন্যা হলে ফসল নষ্ট হয়ে খুব ক্ষতি হবে। কৃষির জন্য সময়মতো বন্যা লাগে।
শুধু মতিয়ার বা শহিদুল নন, জেলার আরও কয়েকজন কৃষক জানান, বন্যার সময় ও ধরনের পরিবর্তনে কৃষিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণেও এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বন্যা ও বৃষ্টিপাতের পঞ্জিকায় এই পরিবর্তন এসেছে। গত কয়েক বছরে মৌসুমি বন্যার পরিবর্তে আকস্মিক বন্যার প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, ব্রহ্মপুত্র, ধরলাসহ জেলার প্রধান নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ২০২২ সালের জুনে ও ২০২৩ সালের জুন-জুলাই মাসে বন্যা হয়। ২০২৪ সালের জুন-জুলাইয়ে দুই দফা বন্যা শেষে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ফের বন্যা আঘাত হানে। তিন দফা বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে জেলার কৃষি ও মৎস্য খাত। কিন্তু ২০২৫ সালে আগস্টেও বন্যার দেখা মেলেনি। বৃষ্টিপাতের পরিমাণেও এসেছে পরিবর্তন। সময়মতো বন্যা ও বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষিতে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। চরাঞ্চলে আমন ও পাট চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, গত পাঁচ বছরে মৌসুমি বন্যার স্থলে আকস্মিক বন্যার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও ধরনে পরিবর্তন এসেছে। প্রধান নদী অববাহিকায় বড় বন্যার জন্য কয়েক সপ্তাহজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। অল্প সময়ে অধিক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে এই পরিবর্তন আবহাওয়া বা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কি না, তা বুঝতে আরও কয়েক বছর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করতে হবে।
নদীতীরবর্তী অঞ্চলের কৃষকেরা বলছেন, বৃষ্টিপাতের আকস্মিক পরিবর্তন কৃষিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এর ফলে এ বছর তাঁরা সময়মতো ধান ও অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকে পানির অভাবে সেচ দিয়ে জমি চাষ করছেন আবার কেউবা জমি পতিত অবস্থায় ফেলে রেখেছেন।
চাষাবাদের উপযুক্ত সময়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাওয়া এবং মৌসুমি বন্যার সময়ে পরিবর্তন আসাকে আবহাওয়া ও জলবায়ুর বৈশ্বিক পরিবর্তনের প্রভাব বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিশ্বজুড়ে পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ায় আবহাওয়ায় পরিবর্তন এসেছে। এর ফলে বৃষ্টিপাত ও বন্যার সময়ে পরিবর্তন এসেছে; যার প্রভাব পড়ছে কৃষিতে।
এ ক্ষেত্রে কৃষকদের করণীয় বিষয়ে উপাচার্য বলেন, কৃষিতে লেট ভ্যারাইটি (বিলম্বিত জাত) বাছাই করতে হবে। লেট ভ্যারাইটি কিন্তু ফলন ভালো হবে এমন জাত উদ্ভাবন করতে হবে। বন্যা-সহনশীল জাত উদ্ভাবন করে কৃষকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এই অঞ্চলের কৃষির সমস্যা নিয়ে গবেষণা করে কৃষির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
এ নিয়ে কথা হলে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ড. মো. মামুনুর রহমান বলেন, বিলম্বিত বন্যায় কৃষির অনেক ক্ষতি হয়। এ বছর জুলাই-আগস্টে বন্যা হয়নি। এ ছাড়া পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে কুড়িগ্রামে পাট চাষে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। আবার সেপ্টেম্বরে বন্যা হলে কৃষির মারাত্মক ক্ষতি হবে। আগে থেকে পূর্বাভাস পেলে কৃষকদের প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হয়। সে ক্ষেত্রে কৃষকেরা বিকল্প হিসেবে উঁচু স্থানে আপৎকালীন বীজতলা তৈরি করে রাখতে পারেন।

‘বান হইলে যে ক্ষতি হয়, না হইলে আমগো এর চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। চরের জমিতে ধান, কলাই আর আগাম বাদাম ফলানো যায় না। এবার সময়মতো বান না হওয়ায় চরে এগুলা আবাদ করা যায় নাই। ধান না হইলে মাইনষের খাওনের কষ্ট হইব।’
বর্ষাকালে পর্যাপ্ত পরিমাণে মৌসুমি বৃষ্টি আর বন্যার দেখা না মেলায় কৃষির ক্ষতি নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জের কৃষক মতিয়ার।
একই রকম হতাশার কথা শোনান রাজিবপুর উপজেলার কৃষকনেতা শহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, সময়মতো বন্যা না হলে পলির অভাবে জমির উর্বরতা শক্তি থাকে না। ফলে ভালো আবাদ হয় না। আবার বিলম্বে হওয়া বন্যায় ক্ষতি হয়। এবার বর্ষাকালে বন্যা না হওয়ায় তাঁকে আমন চাষ নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে। যাঁরা পাট আবাদ করেছেন, তাঁরা পানির অভাবে জাগ দিতে পারছেন না। এখন আবার ভাদ্র-আশ্বিনে বন্যা হলে ফসল নষ্ট হয়ে খুব ক্ষতি হবে। কৃষির জন্য সময়মতো বন্যা লাগে।
শুধু মতিয়ার বা শহিদুল নন, জেলার আরও কয়েকজন কৃষক জানান, বন্যার সময় ও ধরনের পরিবর্তনে কৃষিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণেও এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বন্যা ও বৃষ্টিপাতের পঞ্জিকায় এই পরিবর্তন এসেছে। গত কয়েক বছরে মৌসুমি বন্যার পরিবর্তে আকস্মিক বন্যার প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, ব্রহ্মপুত্র, ধরলাসহ জেলার প্রধান নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ২০২২ সালের জুনে ও ২০২৩ সালের জুন-জুলাই মাসে বন্যা হয়। ২০২৪ সালের জুন-জুলাইয়ে দুই দফা বন্যা শেষে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ফের বন্যা আঘাত হানে। তিন দফা বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে জেলার কৃষি ও মৎস্য খাত। কিন্তু ২০২৫ সালে আগস্টেও বন্যার দেখা মেলেনি। বৃষ্টিপাতের পরিমাণেও এসেছে পরিবর্তন। সময়মতো বন্যা ও বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষিতে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। চরাঞ্চলে আমন ও পাট চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, গত পাঁচ বছরে মৌসুমি বন্যার স্থলে আকস্মিক বন্যার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও ধরনে পরিবর্তন এসেছে। প্রধান নদী অববাহিকায় বড় বন্যার জন্য কয়েক সপ্তাহজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। অল্প সময়ে অধিক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে এই পরিবর্তন আবহাওয়া বা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কি না, তা বুঝতে আরও কয়েক বছর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করতে হবে।
নদীতীরবর্তী অঞ্চলের কৃষকেরা বলছেন, বৃষ্টিপাতের আকস্মিক পরিবর্তন কৃষিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এর ফলে এ বছর তাঁরা সময়মতো ধান ও অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকে পানির অভাবে সেচ দিয়ে জমি চাষ করছেন আবার কেউবা জমি পতিত অবস্থায় ফেলে রেখেছেন।
চাষাবাদের উপযুক্ত সময়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাওয়া এবং মৌসুমি বন্যার সময়ে পরিবর্তন আসাকে আবহাওয়া ও জলবায়ুর বৈশ্বিক পরিবর্তনের প্রভাব বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিশ্বজুড়ে পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ায় আবহাওয়ায় পরিবর্তন এসেছে। এর ফলে বৃষ্টিপাত ও বন্যার সময়ে পরিবর্তন এসেছে; যার প্রভাব পড়ছে কৃষিতে।
এ ক্ষেত্রে কৃষকদের করণীয় বিষয়ে উপাচার্য বলেন, কৃষিতে লেট ভ্যারাইটি (বিলম্বিত জাত) বাছাই করতে হবে। লেট ভ্যারাইটি কিন্তু ফলন ভালো হবে এমন জাত উদ্ভাবন করতে হবে। বন্যা-সহনশীল জাত উদ্ভাবন করে কৃষকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এই অঞ্চলের কৃষির সমস্যা নিয়ে গবেষণা করে কৃষির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
এ নিয়ে কথা হলে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ড. মো. মামুনুর রহমান বলেন, বিলম্বিত বন্যায় কৃষির অনেক ক্ষতি হয়। এ বছর জুলাই-আগস্টে বন্যা হয়নি। এ ছাড়া পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে কুড়িগ্রামে পাট চাষে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। আবার সেপ্টেম্বরে বন্যা হলে কৃষির মারাত্মক ক্ষতি হবে। আগে থেকে পূর্বাভাস পেলে কৃষকদের প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হয়। সে ক্ষেত্রে কৃষকেরা বিকল্প হিসেবে উঁচু স্থানে আপৎকালীন বীজতলা তৈরি করে রাখতে পারেন।
আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম

‘বান হইলে যে ক্ষতি হয়, না হইলে আমগো এর চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। চরের জমিতে ধান, কলাই আর আগাম বাদাম ফলানো যায় না। এবার সময়মতো বান না হওয়ায় চরে এগুলা আবাদ করা যায় নাই। ধান না হইলে মাইনষের খাওনের কষ্ট হইব।’
বর্ষাকালে পর্যাপ্ত পরিমাণে মৌসুমি বৃষ্টি আর বন্যার দেখা না মেলায় কৃষির ক্ষতি নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জের কৃষক মতিয়ার।
একই রকম হতাশার কথা শোনান রাজিবপুর উপজেলার কৃষকনেতা শহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, সময়মতো বন্যা না হলে পলির অভাবে জমির উর্বরতা শক্তি থাকে না। ফলে ভালো আবাদ হয় না। আবার বিলম্বে হওয়া বন্যায় ক্ষতি হয়। এবার বর্ষাকালে বন্যা না হওয়ায় তাঁকে আমন চাষ নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে। যাঁরা পাট আবাদ করেছেন, তাঁরা পানির অভাবে জাগ দিতে পারছেন না। এখন আবার ভাদ্র-আশ্বিনে বন্যা হলে ফসল নষ্ট হয়ে খুব ক্ষতি হবে। কৃষির জন্য সময়মতো বন্যা লাগে।
শুধু মতিয়ার বা শহিদুল নন, জেলার আরও কয়েকজন কৃষক জানান, বন্যার সময় ও ধরনের পরিবর্তনে কৃষিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণেও এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বন্যা ও বৃষ্টিপাতের পঞ্জিকায় এই পরিবর্তন এসেছে। গত কয়েক বছরে মৌসুমি বন্যার পরিবর্তে আকস্মিক বন্যার প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, ব্রহ্মপুত্র, ধরলাসহ জেলার প্রধান নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ২০২২ সালের জুনে ও ২০২৩ সালের জুন-জুলাই মাসে বন্যা হয়। ২০২৪ সালের জুন-জুলাইয়ে দুই দফা বন্যা শেষে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ফের বন্যা আঘাত হানে। তিন দফা বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে জেলার কৃষি ও মৎস্য খাত। কিন্তু ২০২৫ সালে আগস্টেও বন্যার দেখা মেলেনি। বৃষ্টিপাতের পরিমাণেও এসেছে পরিবর্তন। সময়মতো বন্যা ও বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষিতে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। চরাঞ্চলে আমন ও পাট চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, গত পাঁচ বছরে মৌসুমি বন্যার স্থলে আকস্মিক বন্যার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও ধরনে পরিবর্তন এসেছে। প্রধান নদী অববাহিকায় বড় বন্যার জন্য কয়েক সপ্তাহজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। অল্প সময়ে অধিক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে এই পরিবর্তন আবহাওয়া বা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কি না, তা বুঝতে আরও কয়েক বছর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করতে হবে।
নদীতীরবর্তী অঞ্চলের কৃষকেরা বলছেন, বৃষ্টিপাতের আকস্মিক পরিবর্তন কৃষিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এর ফলে এ বছর তাঁরা সময়মতো ধান ও অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকে পানির অভাবে সেচ দিয়ে জমি চাষ করছেন আবার কেউবা জমি পতিত অবস্থায় ফেলে রেখেছেন।
চাষাবাদের উপযুক্ত সময়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাওয়া এবং মৌসুমি বন্যার সময়ে পরিবর্তন আসাকে আবহাওয়া ও জলবায়ুর বৈশ্বিক পরিবর্তনের প্রভাব বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিশ্বজুড়ে পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ায় আবহাওয়ায় পরিবর্তন এসেছে। এর ফলে বৃষ্টিপাত ও বন্যার সময়ে পরিবর্তন এসেছে; যার প্রভাব পড়ছে কৃষিতে।
এ ক্ষেত্রে কৃষকদের করণীয় বিষয়ে উপাচার্য বলেন, কৃষিতে লেট ভ্যারাইটি (বিলম্বিত জাত) বাছাই করতে হবে। লেট ভ্যারাইটি কিন্তু ফলন ভালো হবে এমন জাত উদ্ভাবন করতে হবে। বন্যা-সহনশীল জাত উদ্ভাবন করে কৃষকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এই অঞ্চলের কৃষির সমস্যা নিয়ে গবেষণা করে কৃষির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
এ নিয়ে কথা হলে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ড. মো. মামুনুর রহমান বলেন, বিলম্বিত বন্যায় কৃষির অনেক ক্ষতি হয়। এ বছর জুলাই-আগস্টে বন্যা হয়নি। এ ছাড়া পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে কুড়িগ্রামে পাট চাষে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। আবার সেপ্টেম্বরে বন্যা হলে কৃষির মারাত্মক ক্ষতি হবে। আগে থেকে পূর্বাভাস পেলে কৃষকদের প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হয়। সে ক্ষেত্রে কৃষকেরা বিকল্প হিসেবে উঁচু স্থানে আপৎকালীন বীজতলা তৈরি করে রাখতে পারেন।

‘বান হইলে যে ক্ষতি হয়, না হইলে আমগো এর চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। চরের জমিতে ধান, কলাই আর আগাম বাদাম ফলানো যায় না। এবার সময়মতো বান না হওয়ায় চরে এগুলা আবাদ করা যায় নাই। ধান না হইলে মাইনষের খাওনের কষ্ট হইব।’
বর্ষাকালে পর্যাপ্ত পরিমাণে মৌসুমি বৃষ্টি আর বন্যার দেখা না মেলায় কৃষির ক্ষতি নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জের কৃষক মতিয়ার।
একই রকম হতাশার কথা শোনান রাজিবপুর উপজেলার কৃষকনেতা শহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, সময়মতো বন্যা না হলে পলির অভাবে জমির উর্বরতা শক্তি থাকে না। ফলে ভালো আবাদ হয় না। আবার বিলম্বে হওয়া বন্যায় ক্ষতি হয়। এবার বর্ষাকালে বন্যা না হওয়ায় তাঁকে আমন চাষ নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে। যাঁরা পাট আবাদ করেছেন, তাঁরা পানির অভাবে জাগ দিতে পারছেন না। এখন আবার ভাদ্র-আশ্বিনে বন্যা হলে ফসল নষ্ট হয়ে খুব ক্ষতি হবে। কৃষির জন্য সময়মতো বন্যা লাগে।
শুধু মতিয়ার বা শহিদুল নন, জেলার আরও কয়েকজন কৃষক জানান, বন্যার সময় ও ধরনের পরিবর্তনে কৃষিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণেও এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বন্যা ও বৃষ্টিপাতের পঞ্জিকায় এই পরিবর্তন এসেছে। গত কয়েক বছরে মৌসুমি বন্যার পরিবর্তে আকস্মিক বন্যার প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, ব্রহ্মপুত্র, ধরলাসহ জেলার প্রধান নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ২০২২ সালের জুনে ও ২০২৩ সালের জুন-জুলাই মাসে বন্যা হয়। ২০২৪ সালের জুন-জুলাইয়ে দুই দফা বন্যা শেষে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ফের বন্যা আঘাত হানে। তিন দফা বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে জেলার কৃষি ও মৎস্য খাত। কিন্তু ২০২৫ সালে আগস্টেও বন্যার দেখা মেলেনি। বৃষ্টিপাতের পরিমাণেও এসেছে পরিবর্তন। সময়মতো বন্যা ও বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষিতে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। চরাঞ্চলে আমন ও পাট চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, গত পাঁচ বছরে মৌসুমি বন্যার স্থলে আকস্মিক বন্যার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও ধরনে পরিবর্তন এসেছে। প্রধান নদী অববাহিকায় বড় বন্যার জন্য কয়েক সপ্তাহজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। অল্প সময়ে অধিক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে এই পরিবর্তন আবহাওয়া বা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কি না, তা বুঝতে আরও কয়েক বছর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করতে হবে।
নদীতীরবর্তী অঞ্চলের কৃষকেরা বলছেন, বৃষ্টিপাতের আকস্মিক পরিবর্তন কৃষিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এর ফলে এ বছর তাঁরা সময়মতো ধান ও অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকে পানির অভাবে সেচ দিয়ে জমি চাষ করছেন আবার কেউবা জমি পতিত অবস্থায় ফেলে রেখেছেন।
চাষাবাদের উপযুক্ত সময়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাওয়া এবং মৌসুমি বন্যার সময়ে পরিবর্তন আসাকে আবহাওয়া ও জলবায়ুর বৈশ্বিক পরিবর্তনের প্রভাব বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিশ্বজুড়ে পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ায় আবহাওয়ায় পরিবর্তন এসেছে। এর ফলে বৃষ্টিপাত ও বন্যার সময়ে পরিবর্তন এসেছে; যার প্রভাব পড়ছে কৃষিতে।
এ ক্ষেত্রে কৃষকদের করণীয় বিষয়ে উপাচার্য বলেন, কৃষিতে লেট ভ্যারাইটি (বিলম্বিত জাত) বাছাই করতে হবে। লেট ভ্যারাইটি কিন্তু ফলন ভালো হবে এমন জাত উদ্ভাবন করতে হবে। বন্যা-সহনশীল জাত উদ্ভাবন করে কৃষকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এই অঞ্চলের কৃষির সমস্যা নিয়ে গবেষণা করে কৃষির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
এ নিয়ে কথা হলে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ড. মো. মামুনুর রহমান বলেন, বিলম্বিত বন্যায় কৃষির অনেক ক্ষতি হয়। এ বছর জুলাই-আগস্টে বন্যা হয়নি। এ ছাড়া পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে কুড়িগ্রামে পাট চাষে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। আবার সেপ্টেম্বরে বন্যা হলে কৃষির মারাত্মক ক্ষতি হবে। আগে থেকে পূর্বাভাস পেলে কৃষকদের প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হয়। সে ক্ষেত্রে কৃষকেরা বিকল্প হিসেবে উঁচু স্থানে আপৎকালীন বীজতলা তৈরি করে রাখতে পারেন।

নিহত ব্যক্তির স্বজন, এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মুখোশ পরা এক বা একাধিক দুর্বৃত্ত ঘরের ছাদ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে ছকিনা বেগমের কক্ষে ঢোকে। এ সময় তিনি চিৎকার করলে দুর্বৃত্তরা তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।
২৪ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিটির উদ্যোগে কাকডাকা ভোরে শুরু হওয়া এই হাফ ম্যারাথনে ২১ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার ও ২ কিলোমিটার—এই চার ক্যাটাগরিতে দৌড় অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের ২০টি জেলার দৌড়বিদদের পাশাপাশি কয়েকজন বিদেশি দৌড়বিদও অংশগ্রহণ করেন।
২৭ মিনিট আগে
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলার বিভিন্ন অংশে আজ শনিবার ভোরে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ভোর ৫টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা এই অবরোধের ফলে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এবং যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে।
৩০ মিনিট আগে
সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের পকেটে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। এতে লেখা রয়েছে, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। চিরকুট অনুযায়ী হৃদয় রায়ের বাড়ি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার রামকলা গ্রামে।
৩৪ মিনিট আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মটকা মসজিদ এলাকায় ঘরে ঢুকে ছকিনা বেগম (৫০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত ব্যক্তির স্বজন, এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মুখোশ পরা এক বা একাধিক দুর্বৃত্ত ঘরের ছাদ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে ছকিনা বেগমের কক্ষে ঢোকে। এ সময় তিনি চিৎকার করলে দুর্বৃত্তরা তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।
পরে চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছকিনা বেগমকে উদ্ধার করে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে এবং পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। নিহত ছকিনা বেগমের স্বামী সাফি উল্যাহ তিন বছর আগে মারা যান। তাঁর দুই সন্তান বিদেশে থাকেন।
এই ঘটনায় ঘর থেকে কোনো টাকা বা মালপত্র লুটের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা। তবে ডাকাতির সময় বাধা দেওয়ায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা।
লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজাউল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে পূর্বশত্রুতা বা পরিকল্পিতভাবে নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ডাকাতির বিষয়টিও তদন্তের আওতায় রয়েছে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মটকা মসজিদ এলাকায় ঘরে ঢুকে ছকিনা বেগম (৫০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত ব্যক্তির স্বজন, এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মুখোশ পরা এক বা একাধিক দুর্বৃত্ত ঘরের ছাদ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে ছকিনা বেগমের কক্ষে ঢোকে। এ সময় তিনি চিৎকার করলে দুর্বৃত্তরা তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।
পরে চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছকিনা বেগমকে উদ্ধার করে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে এবং পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। নিহত ছকিনা বেগমের স্বামী সাফি উল্যাহ তিন বছর আগে মারা যান। তাঁর দুই সন্তান বিদেশে থাকেন।
এই ঘটনায় ঘর থেকে কোনো টাকা বা মালপত্র লুটের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা। তবে ডাকাতির সময় বাধা দেওয়ায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা।
লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজাউল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে পূর্বশত্রুতা বা পরিকল্পিতভাবে নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ডাকাতির বিষয়টিও তদন্তের আওতায় রয়েছে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

‘বান হইলে যে ক্ষতি হয়, না হইলে আমগো এর চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। চরের জমিতে ধান, কলাই আর আগাম বাদাম ফলানো যায় না। এবার সময়মতো বান না হওয়ায় চরে এগুলা আবাদ করা যায় নাই। ধান না হইলে মাইনষের খাওনের কষ্ট হইব।’ বর্ষাকালে পর্যাপ্ত পরিমাণে মৌসুমি বৃষ্টি আর বন্যার দেখা না মেলায় কৃষির ক্ষতি নিয়ে কথাগুলো...
২১ আগস্ট ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিটির উদ্যোগে কাকডাকা ভোরে শুরু হওয়া এই হাফ ম্যারাথনে ২১ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার ও ২ কিলোমিটার—এই চার ক্যাটাগরিতে দৌড় অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের ২০টি জেলার দৌড়বিদদের পাশাপাশি কয়েকজন বিদেশি দৌড়বিদও অংশগ্রহণ করেন।
২৭ মিনিট আগে
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলার বিভিন্ন অংশে আজ শনিবার ভোরে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ভোর ৫টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা এই অবরোধের ফলে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এবং যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে।
৩০ মিনিট আগে
সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের পকেটে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। এতে লেখা রয়েছে, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। চিরকুট অনুযায়ী হৃদয় রায়ের বাড়ি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার রামকলা গ্রামে।
৩৪ মিনিট আগেব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে হাফ ম্যারাথন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোরে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় নারী-পুরুষ, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের প্রায় ৩৫০ দৌড়বিদ অংশ নেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিটির উদ্যোগে কাকডাকা ভোরে শুরু হওয়া এই হাফ ম্যারাথনে ২১ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার ও ২ কিলোমিটার—এই চার ক্যাটাগরিতে দৌড় অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের ২০ জেলার দৌড়বিদদের পাশাপাশি কয়েকজন বিদেশি দৌড়বিদও অংশগ্রহণ করেন।
সকাল পৌনে ৬টায় জেলার শিমরাইলকান্দি ব্রিজ এলাকা থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে বিজয়নগর উপজেলার পত্তন এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। শীতের সকালে এমন ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন ঘিরে দৌড়বিদ ও দর্শকদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।
আয়োজকেরা জানান, প্রযুক্তির অপব্যবহার থেকে মানুষকে দূরে রাখা, তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করা এবং নেশামুক্ত সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিযোগিতা শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও প্রাইজমানি তুলে দেওয়া হয়।

শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে হাফ ম্যারাথন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোরে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় নারী-পুরুষ, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের প্রায় ৩৫০ দৌড়বিদ অংশ নেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিটির উদ্যোগে কাকডাকা ভোরে শুরু হওয়া এই হাফ ম্যারাথনে ২১ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার ও ২ কিলোমিটার—এই চার ক্যাটাগরিতে দৌড় অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের ২০ জেলার দৌড়বিদদের পাশাপাশি কয়েকজন বিদেশি দৌড়বিদও অংশগ্রহণ করেন।
সকাল পৌনে ৬টায় জেলার শিমরাইলকান্দি ব্রিজ এলাকা থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে বিজয়নগর উপজেলার পত্তন এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। শীতের সকালে এমন ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন ঘিরে দৌড়বিদ ও দর্শকদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।
আয়োজকেরা জানান, প্রযুক্তির অপব্যবহার থেকে মানুষকে দূরে রাখা, তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করা এবং নেশামুক্ত সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিযোগিতা শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও প্রাইজমানি তুলে দেওয়া হয়।

‘বান হইলে যে ক্ষতি হয়, না হইলে আমগো এর চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। চরের জমিতে ধান, কলাই আর আগাম বাদাম ফলানো যায় না। এবার সময়মতো বান না হওয়ায় চরে এগুলা আবাদ করা যায় নাই। ধান না হইলে মাইনষের খাওনের কষ্ট হইব।’ বর্ষাকালে পর্যাপ্ত পরিমাণে মৌসুমি বৃষ্টি আর বন্যার দেখা না মেলায় কৃষির ক্ষতি নিয়ে কথাগুলো...
২১ আগস্ট ২০২৫
নিহত ব্যক্তির স্বজন, এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মুখোশ পরা এক বা একাধিক দুর্বৃত্ত ঘরের ছাদ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে ছকিনা বেগমের কক্ষে ঢোকে। এ সময় তিনি চিৎকার করলে দুর্বৃত্তরা তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।
২৪ মিনিট আগে
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলার বিভিন্ন অংশে আজ শনিবার ভোরে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ভোর ৫টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা এই অবরোধের ফলে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এবং যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে।
৩০ মিনিট আগে
সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের পকেটে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। এতে লেখা রয়েছে, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। চিরকুট অনুযায়ী হৃদয় রায়ের বাড়ি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার রামকলা গ্রামে।
৩৪ মিনিট আগেমাদারীপুর প্রতিনিধি

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলার বিভিন্ন অংশে আজ শনিবার ভোরে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ভোর ৫টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা এই অবরোধের ফলে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এবং যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সাধুর ব্রিজ থেকে মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর পর্যন্ত মহাসড়কের মোট আটটি স্থানে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়। ভোর ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত এই অবরোধ চলে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এই মহাসড়ক অবরোধের নেতৃত্ব দেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খান। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা আওয়ামী লীগের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন। অনেকের মুখেই হেলমেট ও মাস্ক পরা অবস্থায় দেখা যায়।
বিক্ষোভ চলাকালীন শফিক খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আজকে তারা আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে চান। এই নির্বাচন বাঙালি মানবে না, মানে না। আজকে মাদারীপুর, রাজৈর বরিশালে কোনো গাড়ি চলবে না। আমরা শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো কিছু চিনিনা, কিছু মানি না, মানব না।’

এ সময় নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দেয়। তাদের মোটরসাইকেল নিয়েও মিছিল করতে দেখা যায়।
অবরোধের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়রা। মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার সাইফুল ইসলাম ভূইয়া জানান, তাঁরা ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে খবর পান। দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পাঁচটি এবং স্থানীয়রা আরও তিনটি গাছ অপসারণ করেন। গাছগুলো সরাতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে।
মাদারীপুরের মোস্তফাপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন আল রশিদ বলেন, ‘বিক্ষোভকারীরা অল্প সময়ের জন্য সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল। পুলিশ দেখে দ্রুত তারা পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক গাছগুলো সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয় এবং বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলার বিভিন্ন অংশে আজ শনিবার ভোরে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ভোর ৫টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা এই অবরোধের ফলে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এবং যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সাধুর ব্রিজ থেকে মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর পর্যন্ত মহাসড়কের মোট আটটি স্থানে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়। ভোর ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত এই অবরোধ চলে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এই মহাসড়ক অবরোধের নেতৃত্ব দেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খান। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা আওয়ামী লীগের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন। অনেকের মুখেই হেলমেট ও মাস্ক পরা অবস্থায় দেখা যায়।
বিক্ষোভ চলাকালীন শফিক খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আজকে তারা আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করতে চান। এই নির্বাচন বাঙালি মানবে না, মানে না। আজকে মাদারীপুর, রাজৈর বরিশালে কোনো গাড়ি চলবে না। আমরা শেখ হাসিনা ছাড়া কোনো কিছু চিনিনা, কিছু মানি না, মানব না।’

এ সময় নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দেয়। তাদের মোটরসাইকেল নিয়েও মিছিল করতে দেখা যায়।
অবরোধের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়রা। মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার সাইফুল ইসলাম ভূইয়া জানান, তাঁরা ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে খবর পান। দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পাঁচটি এবং স্থানীয়রা আরও তিনটি গাছ অপসারণ করেন। গাছগুলো সরাতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে।
মাদারীপুরের মোস্তফাপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন আল রশিদ বলেন, ‘বিক্ষোভকারীরা অল্প সময়ের জন্য সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল। পুলিশ দেখে দ্রুত তারা পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক গাছগুলো সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয় এবং বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’

‘বান হইলে যে ক্ষতি হয়, না হইলে আমগো এর চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। চরের জমিতে ধান, কলাই আর আগাম বাদাম ফলানো যায় না। এবার সময়মতো বান না হওয়ায় চরে এগুলা আবাদ করা যায় নাই। ধান না হইলে মাইনষের খাওনের কষ্ট হইব।’ বর্ষাকালে পর্যাপ্ত পরিমাণে মৌসুমি বৃষ্টি আর বন্যার দেখা না মেলায় কৃষির ক্ষতি নিয়ে কথাগুলো...
২১ আগস্ট ২০২৫
নিহত ব্যক্তির স্বজন, এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মুখোশ পরা এক বা একাধিক দুর্বৃত্ত ঘরের ছাদ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে ছকিনা বেগমের কক্ষে ঢোকে। এ সময় তিনি চিৎকার করলে দুর্বৃত্তরা তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।
২৪ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিটির উদ্যোগে কাকডাকা ভোরে শুরু হওয়া এই হাফ ম্যারাথনে ২১ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার ও ২ কিলোমিটার—এই চার ক্যাটাগরিতে দৌড় অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের ২০টি জেলার দৌড়বিদদের পাশাপাশি কয়েকজন বিদেশি দৌড়বিদও অংশগ্রহণ করেন।
২৭ মিনিট আগে
সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের পকেটে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। এতে লেখা রয়েছে, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। চিরকুট অনুযায়ী হৃদয় রায়ের বাড়ি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার রামকলা গ্রামে।
৩৪ মিনিট আগেনীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারী-সৈয়দপুর রেলপথে ট্রেনে কাটা পড়ে হৃদয় রায় (২৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে নীলফামারী পৌর এলাকার আদর্শপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের পকেটে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। এতে লেখা রয়েছে, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। চিরকুট অনুযায়ী হৃদয় রায়ের বাড়ি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার রামকলা গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সোয়া ৬টার দিকে ওই যুবক রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন। এ সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তিনি ট্রেনে কাটা পড়েন।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ-উন নবী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নীলফামারী-সৈয়দপুর রেলপথে ট্রেনে কাটা পড়ে হৃদয় রায় (২৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে নীলফামারী পৌর এলাকার আদর্শপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের পকেটে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। এতে লেখা রয়েছে, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। চিরকুট অনুযায়ী হৃদয় রায়ের বাড়ি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার রামকলা গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সোয়া ৬টার দিকে ওই যুবক রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন। এ সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তিনি ট্রেনে কাটা পড়েন।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ-উন নবী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

‘বান হইলে যে ক্ষতি হয়, না হইলে আমগো এর চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। চরের জমিতে ধান, কলাই আর আগাম বাদাম ফলানো যায় না। এবার সময়মতো বান না হওয়ায় চরে এগুলা আবাদ করা যায় নাই। ধান না হইলে মাইনষের খাওনের কষ্ট হইব।’ বর্ষাকালে পর্যাপ্ত পরিমাণে মৌসুমি বৃষ্টি আর বন্যার দেখা না মেলায় কৃষির ক্ষতি নিয়ে কথাগুলো...
২১ আগস্ট ২০২৫
নিহত ব্যক্তির স্বজন, এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মুখোশ পরা এক বা একাধিক দুর্বৃত্ত ঘরের ছাদ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে ছকিনা বেগমের কক্ষে ঢোকে। এ সময় তিনি চিৎকার করলে দুর্বৃত্তরা তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।
২৪ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিটির উদ্যোগে কাকডাকা ভোরে শুরু হওয়া এই হাফ ম্যারাথনে ২১ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার ও ২ কিলোমিটার—এই চার ক্যাটাগরিতে দৌড় অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের ২০টি জেলার দৌড়বিদদের পাশাপাশি কয়েকজন বিদেশি দৌড়বিদও অংশগ্রহণ করেন।
২৭ মিনিট আগে
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলার বিভিন্ন অংশে আজ শনিবার ভোরে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ভোর ৫টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা এই অবরোধের ফলে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এবং যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে।
৩০ মিনিট আগে