নীলফামারীর সৈয়দপুর
রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
নীলফামারীর সৈয়দপুরে ২ নম্বর রেলগেট থেকে রেলওয়ে কারখানা পর্যন্ত ৩টি লুপ লাইন। প্রতিটি লুপ লাইনের দৈর্ঘ্য দুই কিলোমিটার। লুপ লাইনগুলোর বিভিন্ন স্থানে রেললাইনের পাতের নিচের স্লিপার নেই। এমনকি কিছু স্থান থেকে রেললাইনের পাতও গায়েব। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ রেলপথে প্রায় দুই হাজার স্লিপার উধাও হয়ে গেছে, যার দাম প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, লুপ লাইনগুলো অনেক পুরোনো। তাই কিছু স্লিপার ভেঙে গেছে। বাকিগুলো চুরি হয়েছে। তবে স্থানীয় লোকজন বলছেন, রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সহযোগিতায় স্লিপারগুলো চুরি হয়। এ কারণে এসব পথে রেলওয়ে কারখানায় মেরামতে আসা রেলকোচ প্রায় সময়ে লাইনচ্যুত হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ১০, ১১ ও ১২ নম্বর গেটের সামনে, রেলস্টেশন-সংলগ্ন এলাকাসহ প্রায় অর্ধ- কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিভিন্ন স্থানে রেললাইনে শতাধিক স্লিপার নেই। এসব জায়গার খানিক পরপর স্লিপার উধাও।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুরে ৫টি লুপ লাইন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে মালবাহী ট্রেন পরিবহনের জন্য দুটি রেলওয়ে স্টেশনের অধীন। অপর তিনটি লুপ লাইন দিয়ে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় মেরামতের জন্য রেলওয়ে কোচ আনা-নেওয়া করা হয়। এই লুপ লাইন তিনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি কিলোমিটার রেলপথে রেললাইনের পাতের নিচে ১ হাজার ৪০০ কাঠ, লোহা বা সিমেন্টের স্লিপার থাকে। প্রতিটি স্লিপারের সঙ্গে রেললাইনের পাত চারটি করে ক্লিপ দিয়ে লাগানো হয়। সেই হিসাবে এসব রেলপথে ৪ হাজার ৮০০ স্লিপার থাকার কথা। এর মধ্যে ২ হাজার স্লিপারই নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ে কারখানার প্রকৌশল বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি স্লিপারের দাম ৮ হাজার টাকা হিসাবে চুরি যাওয়া স্লিপারগুলোর দাম প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। স্লিপার না থাকায় ওই পথের রেললাইন নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। এতে মেরামতে আসা কোচগুলো প্রায় সময় লাইনচ্যুত হয়।
রেলওয়ে কারখানাসংলগ্ন ইসলামবাগ বড় মসজিদ এলাকার ফারুক আহম্মেদ বলেন, ‘দিনদুপুরেই এই রেললাইন থেকে স্লিপারগুলো খুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে রেলওয়ের লোকজন দেখেও না দেখার ভান করেন।’
রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন কারখানার শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ রোবায়েতুর রহমান বলেন, ‘এভাবে রেললাইন থেকে স্লিপার উধাও হওয়াটা সত্যিই উদ্বেগের।’ এর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের দায়ী করেন তিনি।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার প্রকৌশল বিভাগের সিনিয়র সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (ইনচার্জ) মোরসালিন রহমান বলেন, ‘এই লুপ লাইনগুলোর স্লিপার অনেক পুরোনো। অধিকাংশই কাঠের। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় ও কোচ চলাচলের কারণে অনেক স্লিপার ভেঙে নষ্ট হয়েছে। কিছু চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। ইতিমধ্যে রেলওয়ে স্টেশন অংশে লুপ লাইনের সংস্কার করে নতুন স্লিপার লাগানো হয়েছে।’ স্লিপার চুরির বিষয়ে স্থানীয় রেলওয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি এ কর্মস্থলে নতুন। তাই অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হবে।’
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন নবী এ বিষয়ে বলেন, স্লিপার চুরির বিষয়ে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে ২ নম্বর রেলগেট থেকে রেলওয়ে কারখানা পর্যন্ত ৩টি লুপ লাইন। প্রতিটি লুপ লাইনের দৈর্ঘ্য দুই কিলোমিটার। লুপ লাইনগুলোর বিভিন্ন স্থানে রেললাইনের পাতের নিচের স্লিপার নেই। এমনকি কিছু স্থান থেকে রেললাইনের পাতও গায়েব। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ রেলপথে প্রায় দুই হাজার স্লিপার উধাও হয়ে গেছে, যার দাম প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, লুপ লাইনগুলো অনেক পুরোনো। তাই কিছু স্লিপার ভেঙে গেছে। বাকিগুলো চুরি হয়েছে। তবে স্থানীয় লোকজন বলছেন, রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সহযোগিতায় স্লিপারগুলো চুরি হয়। এ কারণে এসব পথে রেলওয়ে কারখানায় মেরামতে আসা রেলকোচ প্রায় সময়ে লাইনচ্যুত হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ১০, ১১ ও ১২ নম্বর গেটের সামনে, রেলস্টেশন-সংলগ্ন এলাকাসহ প্রায় অর্ধ- কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিভিন্ন স্থানে রেললাইনে শতাধিক স্লিপার নেই। এসব জায়গার খানিক পরপর স্লিপার উধাও।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুরে ৫টি লুপ লাইন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে মালবাহী ট্রেন পরিবহনের জন্য দুটি রেলওয়ে স্টেশনের অধীন। অপর তিনটি লুপ লাইন দিয়ে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় মেরামতের জন্য রেলওয়ে কোচ আনা-নেওয়া করা হয়। এই লুপ লাইন তিনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি কিলোমিটার রেলপথে রেললাইনের পাতের নিচে ১ হাজার ৪০০ কাঠ, লোহা বা সিমেন্টের স্লিপার থাকে। প্রতিটি স্লিপারের সঙ্গে রেললাইনের পাত চারটি করে ক্লিপ দিয়ে লাগানো হয়। সেই হিসাবে এসব রেলপথে ৪ হাজার ৮০০ স্লিপার থাকার কথা। এর মধ্যে ২ হাজার স্লিপারই নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ে কারখানার প্রকৌশল বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি স্লিপারের দাম ৮ হাজার টাকা হিসাবে চুরি যাওয়া স্লিপারগুলোর দাম প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। স্লিপার না থাকায় ওই পথের রেললাইন নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। এতে মেরামতে আসা কোচগুলো প্রায় সময় লাইনচ্যুত হয়।
রেলওয়ে কারখানাসংলগ্ন ইসলামবাগ বড় মসজিদ এলাকার ফারুক আহম্মেদ বলেন, ‘দিনদুপুরেই এই রেললাইন থেকে স্লিপারগুলো খুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে রেলওয়ের লোকজন দেখেও না দেখার ভান করেন।’
রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন কারখানার শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ রোবায়েতুর রহমান বলেন, ‘এভাবে রেললাইন থেকে স্লিপার উধাও হওয়াটা সত্যিই উদ্বেগের।’ এর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের দায়ী করেন তিনি।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার প্রকৌশল বিভাগের সিনিয়র সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (ইনচার্জ) মোরসালিন রহমান বলেন, ‘এই লুপ লাইনগুলোর স্লিপার অনেক পুরোনো। অধিকাংশই কাঠের। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় ও কোচ চলাচলের কারণে অনেক স্লিপার ভেঙে নষ্ট হয়েছে। কিছু চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। ইতিমধ্যে রেলওয়ে স্টেশন অংশে লুপ লাইনের সংস্কার করে নতুন স্লিপার লাগানো হয়েছে।’ স্লিপার চুরির বিষয়ে স্থানীয় রেলওয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি এ কর্মস্থলে নতুন। তাই অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হবে।’
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন নবী এ বিষয়ে বলেন, স্লিপার চুরির বিষয়ে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
এর আগে ২০১৯ সালে প্রথমবার কৃত্রিম উপায়ে ইনকিউবেটরে ২৫টি, ২০২১ সালে ২৮টি, ২০২২ সালে ১১টি, ২০২৩ সালে ১৬টি, ২০২৪ সালে ৩৫টিসহ মোট ১১৫টি অজগরের ছানা ফোটানো হয়। গত ০৪ ও ১৪ এপ্রিল দুইটি অজগর থেকে পাওয়া ৪৫টি ডিম সংগ্রহ করে হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে বসানো হয়।
৫ মিনিট আগেতিনি বলেন, “দেশে ইদানীং কিছু রাজনৈতিক দলের দখল ও লুটপাট জনগণ প্রত্যক্ষ করছে। সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে বলব—নিজেদের সামলান, না হলে জনগণই আপনাদের সামলে দেবে।”
৩০ মিনিট আগেযশোরের মনিরামপুর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে থাকা একটি বন্ধ গণপাঠাগারে বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। পাঠাগারে নামমাত্র একটি চেয়ার এবং দুটি স্টিলের বুকশেলফ কিনে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ করে প্রকল্পের বাকি টাকা পিআইও দপ্তর ও পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান ভাগ-বাঁটোয়ারা করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেসড়কটির স্থায়িত্ব ও সৌন্দর্য রক্ষায় ২০১৯ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। এর আওতায় ৬৬৩ মিটার দৈর্ঘ্যের বাঁধের এক পাশে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ এবং মাটি ভরাট করে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়। একইসঙ্গে ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হয় রোডস লেক ভিউ গার্ডেন।
২ ঘণ্টা আগে