Ajker Patrika

বিভাগের বড় ভাইয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে মৃত্যু বেরোবি শিক্ষার্থীর  

বেরোবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮: ৪৮
বিভাগের বড় ভাইয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে মৃত্যু বেরোবি শিক্ষার্থীর  

আগামী ২৬ তারিখে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে যেন ব্যাঘাত না ঘটে সে কারণে ক্যাম্পাস ছেড়ে ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাননি রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আফ্রিদি। তবে বিভাগের বড় ভাইয়ের বাড়ি রংপুর থেকে কাছে হওয়ায় তাঁর দাওয়াতে স্বল্প সময়ের জন্য গিয়েছিলেন। রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন ঠিকই, কিন্তু আর উঠলেন না। 

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হার্টঅ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে আফ্রিদির। 

আজ সোমবার রংপুরের পীরগঞ্জে বিভাগের বড় ভাইয়ের বাড়িতে রাতে খেয়ে ঘুম থেকে না জাগায় স্থানীয় চিকিৎসক ডাকা হলে তিনি এসে আফ্রিদিকে মৃত ঘোষণা করেন। 

ওই শিক্ষার্থীর নাম ইমাম আফ্রিদি আগুন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১১তম আবর্তনের শিক্ষার্থী। তাঁর বাড়ি যশোরের বাঘাপাড়ায়। 

সহপাঠী ও বিভাগের অন্যান্য শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার বিভাগের ১০ম আবর্তনের শিক্ষার্থী সৌখিনের বাড়ি পীরগঞ্জের রাজারামপুরে দাওয়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষে স্থানীয় দর্শনীয় জায়গা ঘুরে রাতে তাদের বাড়িতেই অবস্থান করেন। সৌখিনসহ আজ তাঁর ক্যাম্পাসে ফেরার কথা ছিল। 

এ বিষয়ে বিভাগের বড় ভাই সৌখিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আফ্রিদির সঙ্গে আমার অনেক ভালো সম্পর্ক। সে ঈদে বাড়িতে না যাওয়ায় তাকে আমাদের বাড়িতে ঈদ করতে বলি। কিন্তু সে বিসিএস পরীক্ষার জন্য ভালো করে প্রস্তুতি নেবে বলে জানায়। পরে আমি যেদিন ক্যাম্পাসে ফিরব এর আগের দিন তাঁকে (আফ্রিদি) জানালে সে আসবে বলে জানায়। যাতে পরদিন আমরা একসঙ্গে ক্যাম্পাসে ফিরতে পারি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘পরে গতকাল (রোববার) বিকেল ৫টার দিকে আফ্রিদি আমাদের বাড়িতে আসে। খাওয়া-দাওয়া করে একটু আশপাশের জায়গায় ঘোরাঘুরি করি। রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে আমরা সামনের বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে গল্প করে প্রায় রাত একটার দিকে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে খাওয়ার জন্য তাঁকে ডাকতে গেলে, তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির লোকজনকে ডাকি। পরে বাড়ির লোকজন পাড়ার এক গ্রাম্য ডাক্তারকে ডেকে আনে এবং ডাক্তার ওকে দেখার পর মারা গেছে বলে জানায়।’ 

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. শরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি অবগত হয়েছি। আফ্রিদি গতকাল ওর বিভাগের বড় ভাইয়ের বাড়িতে যায়। ওখানে সারা দিন খাওয়া-দাওয়া, ঘোরাফেরা শেষে রাতে ঘুমায়। তবে সকালে তাঁকে আর ঘুম থেকে তোলা যায়নি।’ 

পীরগঞ্জ থানা-পুলিশের সঙ্গে আফ্রিদির পরিবারের যোগাযোগ হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা মরদেহে নিতে ইতিমধ্যে রওনা হয়েছেন বলেও জানান তিনি। 

এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ঘটনাটিকে আমাদের কাছে স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই মনে হয়েছে। আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত