Ajker Patrika

পাউবোর ১০ কোটি টাকার দুটি সেচখালের কাজে অনিয়মের অভিযোগ 

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
পাউবোর ১০ কোটি টাকার দুটি সেচখালের কাজে অনিয়মের অভিযোগ 

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আওতাধীন কিশোরগঞ্জ উপজেলার দুটি টারসিয়ারী খালে প্রায় ১০ কোটি টাকার সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে টি-৫টি সেচ খালের পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির কার্যকরী সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

জানা গেছে, রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় বাস্তবায়নাধীন তিস্তা সেচ প্রকল্প এলাকা পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় টি-১ আর টারসিয়ারী সেচ খালের দু’পাশের ডাইক মেরামত ও পুনরাবৃত্তির কাজে ৬ কোটি ৪১ লাখ ৫ হাজার ৪১৭ টাকা ও তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকায় পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পে টি-৫টি টারসিয়ারী সেচ খালে ৩ কোটি ৪ লাখ ৮৭ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। ওই সেচ খাল দুটি নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। 

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, সেচ খাল সংস্কারকাজে ব্যাপক অনিয়ম ও ঘাপলা রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে ঠিকাদারেরা যোগসাজশ করে শিডিউল ও ইস্টিমিট অনুযায়ী কাজ না করে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছে। সিসি ঢালাইয়ের নিচের বেডে ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি বালু ও পানি দিয়ে মাটি দৃঢ়করণ করে তারপর সিসি ঢালাই করার কথা। কিন্তু তা না করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি বালু দিয়ে মাটি দৃঢ়করণ ছাড়াই ঢালাইয়ের কাজ করেছে। এতে করে ভারী বন্যায় মাটি সরে গিয়ে খাল ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও সেচ খালের পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হোসাইন মোহাম্মদ ছাদেকুল ইসলাম অভিযোগে বলেছেন, সিসি ও আরসিসি ঢালাইয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ সিমেন্ট, নিম্নমানের বালু ও খারাপ পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। 

 ক্যানেলের সংস্কার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ সিমেন্টসরেজমিনে টি-১ সেচ খাল পরিদর্শনকালে এলাকার কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, এই সেচ খালের কাজ অনিয়মে ভরা। কিন্তু তদারকিতে কেউ নেই। কাজের সময় শাখা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম থাকেন লাপাত্তা। ফলে ইচ্ছেমতোই কাজ করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। 

অভিযোগের বিষয়ে প্রকল্প দুটির ঠিকাদার অসিম সিং ও হারুন অর রশিদের সঙ্গে কথা হলে বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘যারা অভিযোগ দিয়েছেন তাঁরা আমাদের কাছ থেকে সুবিধা চেয়েছিল। না পেয়ে অভিযোগ করেছেন। তা ছাড়া কাজের সময় তদারকি কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে কাজ বাস্তবায়ন করে নিচ্ছেন।’ 

এ বিষয়ে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আখিনুজ্জামান বলেন, ‘আমরা প্রকল্প এলাকাগুলো পরিদর্শন করে কাজের মান ভালো দেখেছি। আর কোথাও কোনো অনিয়ম হলে সেই দায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিতে হবে।’ 

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু তাহের বলেন, এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত