Ajker Patrika

‘বানের পানি আসলে হামার বিপদ হয়’

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
‘বানের পানি আসলে হামার বিপদ হয়’

‘বানের পানি আসলে হামার বিপদ হয়’, ‘হাটবাজার করবের পায় না’, ‘অল্প এহনা ঝড়ি হইলে পানি জমি থাকে’-এসব কথা বলছিলেন কুড়িগ্রামের চিলমারীর রমনা মডেল ইউনিয়নের সুরাইয়া বেগম (৪৫), আমিনুল ইসলাম (৫২), মজনু মিয়া (৩৪)।

জানা যায়, উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকার মাঠের পাড় ভোলার ছড়ায় ২০১৫ সালের বন্যায় ভেঙে যায় চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি। পরে স্থানীয়দের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে দুর্ভোগ কমাতে একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। স্থানীয়দের উদ্যোগে সেখানে আরও একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। 

গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী আতিকা ও মারুফা আক্তার বলেন, ‘আমরা এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন কলেজ যাতায়াত করি। এইদিক দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় লাগে, নড়বড়ে সাঁকোটা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। এখন যদি সরকারের মাধ্যমে এখানে একটা রাস্তাসহ ব্রিজ নির্মাণ করে দেয় তাহলে ভালোভাবে চলাচল করতে পারব।’ 

স্থানীয় সুফিয়া বেগম (৫০) বলেন, ‘বানের পানি আইসলে ছাও পাওয়া নিয়ে খুব বিপদে পরতে হয়। কখন জানি পানিতে পরে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে।’ 

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মনসুর আলী বলেন, ‘এখানে চলাচল করতে অনেক সমস্যা হয়। যদি এটা স্থানীয় প্রশাসন নজরে নিয়ে রাস্তাসহ একটি ব্রিজ করে দেন তাহলে এই দুর্ভোগ থেকে এখানকার মানুষ মুক্তি পাবে। আমি বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানাব।’ 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত