Ajker Patrika

ঠাকুরগাঁওয়ে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে বাড়ছে গরম কাপড় বিক্রি 

সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২২, ১৪: ০৭
ঠাকুরগাঁওয়ে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে বাড়ছে গরম কাপড় বিক্রি 

হিমালয় পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত ঠাকুরগাঁওয়ে আগেভাগে বইছে শীতের হাওয়া। গত কয়েক দিন ধরে দিনে গরম অনুভূত হলেও সন্ধ্যা নামার পরপরই কুয়াশায় বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা। দিনের তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি রাতে ও সকালে শীতল হাওয়ায় কাঁপন ধরাচ্ছে শরীরে। শীত থেকে রক্ষা পেতে সবাই বাজারে ছুটছে গরম কাপড়ের খোঁজে। জমে উঠেছে জেলার শীতবস্ত্রের বাজার।

শহরের বড় মাঠের উত্তর পাশে সড়কের ধারে গরম কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। পাশাপাশি সদর উপজেলার শিবগঞ্জ, খোঁচাবাড়ী, রুহিয়া, রামনাথ, গড়েয়া, কালমেঘ, যাদুরাণী, ফাড়াবাড়ী, বেগুনবাড়ীসহ বিভিন্ন হাট-বাজারেও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা গরম কাপড় বিক্রি শুরু করেছেন। ফুটপাতের এই দোকানগুলোতে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষ ছাড়াও গরম কাপড় কিনতে আসেন মধ্যবিত্ত আয়ের লোকজন।

অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ফুটপাতে গরম কাপড়ের দাম আগের চেয়ে বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে খুচরা শীতবস্ত্রেও। বড় মাঠ সড়কের পাশে মৌসুমি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শীতের তীব্রতা বেশি না হওয়ায় হাতমোজা, কানটুপির বিক্রি বাড়েনি। তার পরও অন্য গরম কাপড়ের ব্যবসা মোটামুটি ভালো যাচ্ছে।’ তাঁর পাশেই গরম পোশাকের পসরা নিয়ে বসেছেন আব্দুল মোমেন নামের একজন। একটু পরপর হাঁক দিয়ে ক্রেতা টানার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘হালকা শীতের শুরুতে বেশ ভালোই বেচাকেনা চলছে।’

শহরের শাহপাড়া থেকে শীতের পোশাক কিনতে আসা আফরিন বেগম বলেন, ‘শীতের শুরুতে চাহিদা বেশি থাকায় মার্কেটগুলোতে দাম বেশি চাইছে। সে তুলনায় ফুটপাতের কাপড় অনেক সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়।’ গফুর সর্দার নামে একজন বলেন, ‘এখানে কিছুটা কম দামে কাপড় পাওয়া যায় বলেই সন্তানদের জন্য এখান থেকে কাপড় কিনি।’

এ দিকে শীতের শুরুতে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা। ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সাজ্জাদ হায়দার শাহিন বলেন, ‘শিশু ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বেড়ে চলেছে। বর্তমানে ১৭০ জন শিশু ভর্তি রয়েছে, যার অধিকাংশই নিউমোনিয়া, ঠান্ডা জ্বর, ডায়রিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত।’ শিশুদের ঠান্ডাজনিত সমস্যা এড়াতে অভিভাবকদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে বাড়তি যত্ন নেওয়ার কথাও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত