পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রিকশাচালক আল আমিনকে হত্যা ও লাশ গুমের মামলায় সাবেক রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার সকালে তাঁকে জেলার চিফ জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করা হয়।
বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মির্জা সারোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার রাতে ঢাকা থেকে সাবেক রেলপথ মন্ত্রী ও পঞ্চগড়-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম সুজনকে পঞ্চগড়ে আনা হয়। আজ সকালে জেলা কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। সকাল ১০টায় প্রথমে তাঁকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগের মামলায় আদালতের কাছে নুরুল ইসলাম সুজনের জামিনের বিরোধিতা করে। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করেন। পরে তাঁকে আবার পঞ্চগড় কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা থেকে জানা গেছে, নিখোঁজ রিকশাচালক আল আমিনের বাবা মো. মনু বাদী হয়ে গত ১০ নভেম্বর পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা করেন। এর আগে গত ৫ আগস্ট সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে পঞ্চগড় জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেন আল আমিন। দুপুরে দুই তরুণের সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব পাটোয়ারীর বাড়ির সামনে আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশে রিকশাচালকের ওপর হামলা চালানো হয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আল আমিনকে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়। এরপর তাঁকে টেনেহিঁচড়ে ছাত্রলীগ নেতা সাদমান সাকিবের বাড়ির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় আল আমিনের সঙ্গে থাকা রায়হানুল ইসলাম রিফাত ও সুজন ইসলাম নামের দুই তরুণ আহত হন। তবে তাঁদের দুজনকে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করলেও আল আমিনকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর থেকেই আল আমিনকে খুঁজছিল তাঁর পরিবার। খোঁজ না পেয়ে ১৪ আগস্ট পরিবারের পক্ষ থেকে পঞ্চগড় সদর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়। পরে ১০ নভেম্বর আল আমিনের বাবা মো. মনু বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় এই মামলা করেন। মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের ১৯ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
নিখোঁজ আল আমিন পঞ্চগড় পৌরসভার দরজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। তাঁর চার বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। আল আমিন পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আদম সুফি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া আল আমিন নামের এক রিকশাচালককে হত্যা ও লাশ গুমের মামলায় সাবেক রেলপথ মন্ত্রীকে আজ গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়েছেন, আমরা সরকারপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করেছি। আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করেছে। এই আসামির বিরুদ্ধে রিমান্ডের প্রার্থনা আসছে।
পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রিকশাচালক আল আমিনকে হত্যা ও লাশ গুমের মামলায় সাবেক রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার সকালে তাঁকে জেলার চিফ জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করা হয়।
বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মির্জা সারোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার রাতে ঢাকা থেকে সাবেক রেলপথ মন্ত্রী ও পঞ্চগড়-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম সুজনকে পঞ্চগড়ে আনা হয়। আজ সকালে জেলা কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। সকাল ১০টায় প্রথমে তাঁকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগের মামলায় আদালতের কাছে নুরুল ইসলাম সুজনের জামিনের বিরোধিতা করে। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করেন। পরে তাঁকে আবার পঞ্চগড় কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা থেকে জানা গেছে, নিখোঁজ রিকশাচালক আল আমিনের বাবা মো. মনু বাদী হয়ে গত ১০ নভেম্বর পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা করেন। এর আগে গত ৫ আগস্ট সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে পঞ্চগড় জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেন আল আমিন। দুপুরে দুই তরুণের সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব পাটোয়ারীর বাড়ির সামনে আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশে রিকশাচালকের ওপর হামলা চালানো হয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আল আমিনকে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়। এরপর তাঁকে টেনেহিঁচড়ে ছাত্রলীগ নেতা সাদমান সাকিবের বাড়ির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় আল আমিনের সঙ্গে থাকা রায়হানুল ইসলাম রিফাত ও সুজন ইসলাম নামের দুই তরুণ আহত হন। তবে তাঁদের দুজনকে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করলেও আল আমিনকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর থেকেই আল আমিনকে খুঁজছিল তাঁর পরিবার। খোঁজ না পেয়ে ১৪ আগস্ট পরিবারের পক্ষ থেকে পঞ্চগড় সদর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়। পরে ১০ নভেম্বর আল আমিনের বাবা মো. মনু বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় এই মামলা করেন। মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের ১৯ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
নিখোঁজ আল আমিন পঞ্চগড় পৌরসভার দরজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। তাঁর চার বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। আল আমিন পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আদম সুফি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া আল আমিন নামের এক রিকশাচালককে হত্যা ও লাশ গুমের মামলায় সাবেক রেলপথ মন্ত্রীকে আজ গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়েছেন, আমরা সরকারপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করেছি। আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করেছে। এই আসামির বিরুদ্ধে রিমান্ডের প্রার্থনা আসছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আটক হন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা নাজমুল কবির শিশির। আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকার মো. নয়ন মাস্টারের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমান নামের এক যুবদল নেতার লাশ পেয়েছে পরিবার। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
১ ঘণ্টা আগেইতালি নেওয়া কথা বলে ফরিদপুর থেকে দুই জনকে নেওয়া হয়েছিল লিবিয়ায়। সেখানে নেওয়ার পর তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এরপর নেওয়া হয় মুক্তিপণ। তবে এতেও মুক্তি মেলেনি। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই দুই যুবককে। ঢাকা, ফরিদপুর, লিবিয়া, গুলি, হত্যা, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগেএক মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। আর আসামির সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। সরকার পতনের পর গত ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ১৭টি। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২টি।
১ ঘণ্টা আগে