কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. সিরাজুদ্দৌলাকে ‘মাদকাসক্ত’ অভিহিত করে তাঁর ডোপ টেস্টের দাবি জানিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন মন্টু।
নিজের বিরুদ্ধে উপজেলার ২০ জন সরকারি কর্মকর্তার অভিযোগকে পিআইও এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের ষড়যন্ত্র দাবি করে এমন মন্তব্য করেন চেয়ারম্যান।
তবে উপজেলা চেয়ারম্যানের এমন অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি পিআইও সিরাজুদ্দৌলা। তিনি বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান আমার পিতৃতুল্য। তাঁর এমন মন্তব্যের বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।’
উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু অভিযোগ করে বলেন, ‘পিআইও সিরাজুদ্দৌলা শতভাগ নেশাগ্রস্ত। তিনি দিনে কয়েকবার নেশা করেন। তিনি ফেনসিডিল ও ট্যাবলেটে (ইয়াবা) আসক্ত। নেশা করার কারণে তিনি ঠিকমতো অফিস করেন না। একজন কর্মকর্তা মাদকাসক্ত থাকলে তাঁর অফিস চালাবে কে?’
নিজের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের দেওয়া অভিযোগ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, ‘অভিযোগের ভাষাগুলো ঠিক নয়। সঠিক হলে মানা যেত। সমন্বয় মিটিংয়ে আমি পিআইওকে বলেছি, আপনি অফিস করেন না কেন? সারা দিন আপনি নেশা করে বেড়ান। গতবারের মতো টিআর, কাবিখাসহ প্রকল্পের টাকা ফেরত দেবেন, নাকি এবারও ডিসেম্বর মাসে তুলে রাখা হচ্ছে! এভাবে বলেছি। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার টাকার বিনিময়ে গোপনে কমিটি অনুমোদন দিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য করেন, এসব বলেছি। এ জন্য তাঁরা দুজন মিলে অন্য অফিসারদের নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। তাঁরা বিধি বহির্ভূতভাবে ইউএনও বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।’
পিআইওর ডোপ টেস্ট করার দাবি জানিয়ে চেয়ারম্যান মন্টু বলেন, ‘অবশ্যই তাঁর ডোপ টেস্ট করা উচিত। একজন কর্মকর্তা সব সময় মাদকাসক্ত থাকলে তাঁর অফিস চালাবে কে?’
‘তারা ইচ্ছামতো অনিয়ম করে যাবে আর তাদের কাছে জবাব চাওয়া যাবে না? নাকি তারা আসছে আর যা খুশি তাই করে যাবে?’ প্রশ্ন রাখেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা।
চেয়ারম্যানের তোলা অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন দাবি করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ্ মো. তারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিসাইডিং অফিসার দেন। এক্স, ওয়াই, জেড কাকে দেন এটা আমি জানি না। ম্যানেজিং কমিটি গঠনের বিষয়ে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
মাদক সেবনসহ চেয়ারম্যানের করা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে পিআইও সিরাজুদ্দৌলা বলেন, ‘আমি সরকারের ত্রাণ শাখার মতো একটি স্পর্শকাতর জায়গায় কাজ করি। পক্ষ-বিপক্ষ সবাইকে সন্তুষ্ট রাখতে পারি না। তিনি (চেয়ারম্যান) রাগ বা ক্ষোভ থেকে যদি আমার বিরুদ্ধে কিছু বলেন তাহলে আমার কী মন্তব্য করা যাবে, বলেন! তিনি মুক্তিযোদ্ধা, আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি আমার পিতৃতুল্য। ওই বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।’
ডোপ টেস্টের বিষয়ে পিআইও বলেন, ‘আমি সরকারি কর্মচারী। রাষ্ট্র চাইলে অবশ্যই সেটা করতে রাজি আছি। তবে আমি আবারও বলি, তাঁর (চেয়ারম্যান) বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।’
প্রসঙ্গত, পিআইও সিরাজুদ্দৌলার বিরুদ্ধে প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে বিল প্রদান, সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন না করা, প্রকল্পের টাকা ফেরত দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীন ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের দরপত্রের লটারিতে ফলাফল পাল্টে দেওয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলাও রয়েছে।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. সিরাজুদ্দৌলাকে ‘মাদকাসক্ত’ অভিহিত করে তাঁর ডোপ টেস্টের দাবি জানিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন মন্টু।
নিজের বিরুদ্ধে উপজেলার ২০ জন সরকারি কর্মকর্তার অভিযোগকে পিআইও এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের ষড়যন্ত্র দাবি করে এমন মন্তব্য করেন চেয়ারম্যান।
তবে উপজেলা চেয়ারম্যানের এমন অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি পিআইও সিরাজুদ্দৌলা। তিনি বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান আমার পিতৃতুল্য। তাঁর এমন মন্তব্যের বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।’
উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু অভিযোগ করে বলেন, ‘পিআইও সিরাজুদ্দৌলা শতভাগ নেশাগ্রস্ত। তিনি দিনে কয়েকবার নেশা করেন। তিনি ফেনসিডিল ও ট্যাবলেটে (ইয়াবা) আসক্ত। নেশা করার কারণে তিনি ঠিকমতো অফিস করেন না। একজন কর্মকর্তা মাদকাসক্ত থাকলে তাঁর অফিস চালাবে কে?’
নিজের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের দেওয়া অভিযোগ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, ‘অভিযোগের ভাষাগুলো ঠিক নয়। সঠিক হলে মানা যেত। সমন্বয় মিটিংয়ে আমি পিআইওকে বলেছি, আপনি অফিস করেন না কেন? সারা দিন আপনি নেশা করে বেড়ান। গতবারের মতো টিআর, কাবিখাসহ প্রকল্পের টাকা ফেরত দেবেন, নাকি এবারও ডিসেম্বর মাসে তুলে রাখা হচ্ছে! এভাবে বলেছি। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার টাকার বিনিময়ে গোপনে কমিটি অনুমোদন দিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য করেন, এসব বলেছি। এ জন্য তাঁরা দুজন মিলে অন্য অফিসারদের নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। তাঁরা বিধি বহির্ভূতভাবে ইউএনও বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।’
পিআইওর ডোপ টেস্ট করার দাবি জানিয়ে চেয়ারম্যান মন্টু বলেন, ‘অবশ্যই তাঁর ডোপ টেস্ট করা উচিত। একজন কর্মকর্তা সব সময় মাদকাসক্ত থাকলে তাঁর অফিস চালাবে কে?’
‘তারা ইচ্ছামতো অনিয়ম করে যাবে আর তাদের কাছে জবাব চাওয়া যাবে না? নাকি তারা আসছে আর যা খুশি তাই করে যাবে?’ প্রশ্ন রাখেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা।
চেয়ারম্যানের তোলা অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন দাবি করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ্ মো. তারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিসাইডিং অফিসার দেন। এক্স, ওয়াই, জেড কাকে দেন এটা আমি জানি না। ম্যানেজিং কমিটি গঠনের বিষয়ে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
মাদক সেবনসহ চেয়ারম্যানের করা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে পিআইও সিরাজুদ্দৌলা বলেন, ‘আমি সরকারের ত্রাণ শাখার মতো একটি স্পর্শকাতর জায়গায় কাজ করি। পক্ষ-বিপক্ষ সবাইকে সন্তুষ্ট রাখতে পারি না। তিনি (চেয়ারম্যান) রাগ বা ক্ষোভ থেকে যদি আমার বিরুদ্ধে কিছু বলেন তাহলে আমার কী মন্তব্য করা যাবে, বলেন! তিনি মুক্তিযোদ্ধা, আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি আমার পিতৃতুল্য। ওই বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।’
ডোপ টেস্টের বিষয়ে পিআইও বলেন, ‘আমি সরকারি কর্মচারী। রাষ্ট্র চাইলে অবশ্যই সেটা করতে রাজি আছি। তবে আমি আবারও বলি, তাঁর (চেয়ারম্যান) বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।’
প্রসঙ্গত, পিআইও সিরাজুদ্দৌলার বিরুদ্ধে প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে বিল প্রদান, সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন না করা, প্রকল্পের টাকা ফেরত দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীন ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের দরপত্রের লটারিতে ফলাফল পাল্টে দেওয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলাও রয়েছে।
‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’ (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে হরিহর নদ পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ উল্লম্ব-অনুভূমিক জায়গা না রেখে হরিহর নদের ওপর যশোর সদর উপজেলার গোয়ালদাহ বাজারে আরেকটি অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণ করছে স্
৪১ মিনিট আগেগাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মজুত থাকা সরকারি বিপুল ওষুধ নষ্ট হয়ে গেছে। সময়মতো রোগীদের মাঝে বিতরণ না করায় ওষুধগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে সরকারি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে; একই সঙ্গে সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে হাজারো রোগী।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) আওতায় ‘নিরাপদ পথচারী পারাপারে পাইলট প্রকল্প’ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সহযোগিতায় পাইলট প্রকল্পটি রোববার (২০ এপ্রিল ২০২৫) থেকে শুরু হয়ে ৮ মে পর্যন্ত চলবে।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন কারওয়ান বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আলাল উদ্দিন হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত মূল দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তেজগাঁও থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. শামীম হোসেন (২৮) ও মো. ইয়াসিন আরাফাত ওরফে মুরগি ইয়াসিন (২১)।
২ ঘণ্টা আগে