ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
বাল্যবিবাহের কবল থেকে রক্ষা পেয়ে এসএসসি পাস করে কলেজে পড়ছেন রীমা আক্তার (১৮)। তিনি যখন দশম শ্রেণির ছাত্রী, তখন তাঁর পরিবার বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। রীমার ছোট বোন সীমা খাতুনের প্রচেষ্টায় বন্ধ হয় সেই বাল্যবিবাহ। এসএসসি পাস করে ভূরুঙ্গামারী মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন রীমা।
রীমা আক্তার ও সীমা খাতুন কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ী ইউনিয়নের উত্তর তিলাই গ্রামের কৃষক এনামুল হকের মেয়ে। সংসারের অভাব-অনটনের কারণে কিশোরী রীমাকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এনামুল হক।
রীমার বয়স তখন ১৭ বছর। তিনি উপজেলা শিলখুড়ী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তাঁর ছোট বোন সীমা তখন একই বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। বাল্যবিবাহ রীমার জীবন নষ্ট করে দেবে—এমন চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে সীমার মনে। পরিবারের সদস্যদের কাছে বাল্যবিবাহের কুফল তুলে ধরে সীমা। তাদের বোঝায় বাল্যবিবাহ একটি অপরাধ। বাল্যবিবাহ দেওয়া হলে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে, এমনকি জেলেও যেতে হতে পারে।
কিশোরী সীমার প্রচেষ্টার কাছে হার মেনে রীমার বিয়ে বন্ধ করে দেয় পরিবার। বাল্যবিবাহের কবল থেকে মুক্তি পেয়ে রীমা তাঁর পড়া লেখা চালিয়ে যান। তিনি এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় পাস করে ভূরুঙ্গামারী মহিলা কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছেন।
সীমা বলে, ‘বাল্যবিবাহ ও এর কুফল সম্পর্কে আগে জানতাম না। এমনকি হটলাইন নম্বরে ফোন দিলে সেবা পাওয়া যায়, সেটাও জানতাম না। যখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি, তখন একদিন আমাদের গ্রামে মহিদেব যুব সমাজ কল্যাণ সমিতির এক আপা (ফিল্ড ফ্যাসিলেটিটর) আসেন। তাঁর কাছে স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনের কথা জানতে পারি। সেই যুব সংগঠনে যুক্ত হই। সেখান থেকে বাল্যবিবাহ ও এর কুফল সম্পর্কে জানতে পেরে বড় বোনের বাল্যবিবাহ বন্ধ করি।’
রীমা বলেন, ‘বিয়েতে আমার মত ছিল না। বিয়ের বয়স না হতেই পরিবার বাল্যবিবাহ দিতে চেয়েছিল। ছোট বোনের চেষ্টায় বাল্যবিবাহের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছি। এসএসসি পাস করে এখন একাদশ শ্রেণিতে পড়ছি।’
রীমা ও সীমার মা রেনুকা বেগম বলেন, ‘অল্প বয়সে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা আমাদের ভুল ছিল। সীমা আমাকে বোঝায় অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে হলে বিভিন্ন সমস্যা হয়। আমি বিষয়টা বুঝতে পেরে ওদের বাবাকে বোঝালে তিনি বিয়ে বন্ধ করে দেন। মেয়ে এখন কলেজে পড়ছে, এতে আমরা খুশি।’
কিশোরী সীমা চায় লেখা পড়া করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে। আর রীমা চায় পড়াশোনা শেষ করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে।
বাল্যবিবাহের কবল থেকে রক্ষা পেয়ে এসএসসি পাস করে কলেজে পড়ছেন রীমা আক্তার (১৮)। তিনি যখন দশম শ্রেণির ছাত্রী, তখন তাঁর পরিবার বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। রীমার ছোট বোন সীমা খাতুনের প্রচেষ্টায় বন্ধ হয় সেই বাল্যবিবাহ। এসএসসি পাস করে ভূরুঙ্গামারী মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন রীমা।
রীমা আক্তার ও সীমা খাতুন কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ী ইউনিয়নের উত্তর তিলাই গ্রামের কৃষক এনামুল হকের মেয়ে। সংসারের অভাব-অনটনের কারণে কিশোরী রীমাকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এনামুল হক।
রীমার বয়স তখন ১৭ বছর। তিনি উপজেলা শিলখুড়ী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তাঁর ছোট বোন সীমা তখন একই বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। বাল্যবিবাহ রীমার জীবন নষ্ট করে দেবে—এমন চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে সীমার মনে। পরিবারের সদস্যদের কাছে বাল্যবিবাহের কুফল তুলে ধরে সীমা। তাদের বোঝায় বাল্যবিবাহ একটি অপরাধ। বাল্যবিবাহ দেওয়া হলে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে, এমনকি জেলেও যেতে হতে পারে।
কিশোরী সীমার প্রচেষ্টার কাছে হার মেনে রীমার বিয়ে বন্ধ করে দেয় পরিবার। বাল্যবিবাহের কবল থেকে মুক্তি পেয়ে রীমা তাঁর পড়া লেখা চালিয়ে যান। তিনি এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় পাস করে ভূরুঙ্গামারী মহিলা কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছেন।
সীমা বলে, ‘বাল্যবিবাহ ও এর কুফল সম্পর্কে আগে জানতাম না। এমনকি হটলাইন নম্বরে ফোন দিলে সেবা পাওয়া যায়, সেটাও জানতাম না। যখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি, তখন একদিন আমাদের গ্রামে মহিদেব যুব সমাজ কল্যাণ সমিতির এক আপা (ফিল্ড ফ্যাসিলেটিটর) আসেন। তাঁর কাছে স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনের কথা জানতে পারি। সেই যুব সংগঠনে যুক্ত হই। সেখান থেকে বাল্যবিবাহ ও এর কুফল সম্পর্কে জানতে পেরে বড় বোনের বাল্যবিবাহ বন্ধ করি।’
রীমা বলেন, ‘বিয়েতে আমার মত ছিল না। বিয়ের বয়স না হতেই পরিবার বাল্যবিবাহ দিতে চেয়েছিল। ছোট বোনের চেষ্টায় বাল্যবিবাহের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছি। এসএসসি পাস করে এখন একাদশ শ্রেণিতে পড়ছি।’
রীমা ও সীমার মা রেনুকা বেগম বলেন, ‘অল্প বয়সে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা আমাদের ভুল ছিল। সীমা আমাকে বোঝায় অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে হলে বিভিন্ন সমস্যা হয়। আমি বিষয়টা বুঝতে পেরে ওদের বাবাকে বোঝালে তিনি বিয়ে বন্ধ করে দেন। মেয়ে এখন কলেজে পড়ছে, এতে আমরা খুশি।’
কিশোরী সীমা চায় লেখা পড়া করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে। আর রীমা চায় পড়াশোনা শেষ করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে।
নরসিংদীতে নিজের ঘরে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের পর প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে পাওয়া গেছে তাঁর পলাতক স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ। নিহত দম্পতি হলেন সদর উপজেলার বালুসাইর গ্রামের রাজু মিয়া (৪২) ও তাঁর স্ত্রী মানছুরা বেগম (৩৮)। গতকাল শুক্রবার রাতে ঘরে মানছুরার ও আজ শনিবার সকালে বাবুরহাটে রাজ
৪ মিনিট আগেকুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পাশাপাশি চুল কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সেই সঙ্গে ঘরে থাকা টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুট করে নিয়েছে তারা। যাওয়ার সময় ঘরের জামাকাপড় জড়ো করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় ওই দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
১১ মিনিট আগেকাভার্ড ভ্যান চুরি করে সেটিকে টুকরো টুকরো করে বিক্রি করেছে চোর চক্র। ওই চক্রের তিন সদস্যকে শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করেছে সাভার মডেল থানা-পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে কাভার্ড ভ্যানের অংশবিশেষ।
২৭ মিনিট আগেআওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যোগ্যতা উপেক্ষা করে দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে পদোন্নতি, পদায়ন ও চাকরিচ্যুতির মাধ্যমে একটি ‘দলদাস আমলাতন্ত্র’ গড়ে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরা
২৯ মিনিট আগে